রংপুর ও বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
‘অল্প আয়ের সংসার হলেও আমাদের মাঝে আনন্দের শেষ ছিল না। দুই ছেলেকে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার। বড় ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একটা গুলি আমার সাজানো সংসারটা তছনছ করে দিল। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব? কে চালাবে আমার সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যদি স্বজন হারানোর বেদনা বুঝে থাকেন, তাহলে ১৩ দিনেও আমাদের খোঁজ নিলেন না কেন?’
রংপুর সিটি বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন মিরাজুল ইসলাম (৩৬)। ১৯ জুলাই শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। স্বামীকে হারিয়ে মেহরাব হোসেন নাজিল (১৫) ও হানিফ হোসেন (৩) নামের দুই সন্তান নিয়ে দিশেহারা নাজমিম ইসলাম।
মিরাজুল ইসলাম রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া গ্রামের মৃত সামছুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পাইকারি কলার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আড়াই শতক জমির ওপর টিনের চালের বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই শুক্রবার মিরাজুল ইসলামের বিবাহবার্ষিকী ছিল। সেদিন দুপুরে মুরগি, পোলাওয়ের চাল ও আলু নিয়ে বাড়ি যান। বিকেলে কলার মহাজনকে টাকা দিতে মিরাজুল বাড়ি থেকে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে দোকানের কাছাকাছি পৌঁছালে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মিরাজুল। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিহত মিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি সুনসান। তাঁর স্ত্রী নাজমিম ইসলাম বাড়ির উঠানে চুপচাপ বসে আছেন। তিন বছরের ভাই হানিফকে কোলে নিয়ে বড় ভাই নাজিল। নাজিলও বাবার জন্য কাঁদছে। একপর্যায়ে বড় ভাইয়ের চোখের পানি হাত নিয়ে মুছে দিতে দেখা যায় শিশু হানিফকে। এ সময় মিরাজুলের মা আম্বিয়া বেগমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি আরবি পড়াতে বাইরে গেছেন।
স্ত্রী নাজমিম ইসলাম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার আগের রাতে তাঁর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। দুপুরে বাজার থেকে মুরগি, পোলার চাল ও আলু নিয়ে বাসায় আসেন।’ কাঁদতে কাঁদতে নাজমিম বলেন, ‘স্বামী বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বলল, “তুমি রান্না করো, আমি মহাজনকে দোকানে টাকাটা দিয়ে আসছি। রাতে একসঙ্গে খাবার খাব।” কিন্তু তা আর হলো না। তিনি এলেন লাশ হয়ে।’
মিরাজুলের বড় বোন রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পাঁজরে গুলি লাগে। কিন্তু কী অপরাধ ছিল তাঁর যে গুলি করে হত্যা করতে হবে? তিনি তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
মেরাজুলের কর্মস্থলের মহাজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মিরাজুল অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়াটা বারবার আমার হৃদয়কে নাড়া দিচ্ছে।’
‘অল্প আয়ের সংসার হলেও আমাদের মাঝে আনন্দের শেষ ছিল না। দুই ছেলেকে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার। বড় ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একটা গুলি আমার সাজানো সংসারটা তছনছ করে দিল। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব? কে চালাবে আমার সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যদি স্বজন হারানোর বেদনা বুঝে থাকেন, তাহলে ১৩ দিনেও আমাদের খোঁজ নিলেন না কেন?’
রংপুর সিটি বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন মিরাজুল ইসলাম (৩৬)। ১৯ জুলাই শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। স্বামীকে হারিয়ে মেহরাব হোসেন নাজিল (১৫) ও হানিফ হোসেন (৩) নামের দুই সন্তান নিয়ে দিশেহারা নাজমিম ইসলাম।
মিরাজুল ইসলাম রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া গ্রামের মৃত সামছুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পাইকারি কলার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আড়াই শতক জমির ওপর টিনের চালের বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই শুক্রবার মিরাজুল ইসলামের বিবাহবার্ষিকী ছিল। সেদিন দুপুরে মুরগি, পোলাওয়ের চাল ও আলু নিয়ে বাড়ি যান। বিকেলে কলার মহাজনকে টাকা দিতে মিরাজুল বাড়ি থেকে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে দোকানের কাছাকাছি পৌঁছালে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মিরাজুল। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিহত মিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি সুনসান। তাঁর স্ত্রী নাজমিম ইসলাম বাড়ির উঠানে চুপচাপ বসে আছেন। তিন বছরের ভাই হানিফকে কোলে নিয়ে বড় ভাই নাজিল। নাজিলও বাবার জন্য কাঁদছে। একপর্যায়ে বড় ভাইয়ের চোখের পানি হাত নিয়ে মুছে দিতে দেখা যায় শিশু হানিফকে। এ সময় মিরাজুলের মা আম্বিয়া বেগমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি আরবি পড়াতে বাইরে গেছেন।
স্ত্রী নাজমিম ইসলাম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার আগের রাতে তাঁর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। দুপুরে বাজার থেকে মুরগি, পোলার চাল ও আলু নিয়ে বাসায় আসেন।’ কাঁদতে কাঁদতে নাজমিম বলেন, ‘স্বামী বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বলল, “তুমি রান্না করো, আমি মহাজনকে দোকানে টাকাটা দিয়ে আসছি। রাতে একসঙ্গে খাবার খাব।” কিন্তু তা আর হলো না। তিনি এলেন লাশ হয়ে।’
মিরাজুলের বড় বোন রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পাঁজরে গুলি লাগে। কিন্তু কী অপরাধ ছিল তাঁর যে গুলি করে হত্যা করতে হবে? তিনি তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
মেরাজুলের কর্মস্থলের মহাজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মিরাজুল অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়াটা বারবার আমার হৃদয়কে নাড়া দিচ্ছে।’
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১৫ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে