রংপুর প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে উপেক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের রাস্তায় বাধা দিয়েছে। পুলিশের বাধায় অনেক শিক্ষার্থীরা আসতে পারেননি। সমবেত হওয়ার পরপরই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
এ সময় ‘শিক্ষার্থীদের দমন–পীড়ন বন্ধ কর, জনগণের কথা শোন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ নানা লেখাসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। বৃষ্টির মধ্যে প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় আবু সাঈদের হত্যা মামলায় পুলিশের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর (এফআইআর) কড়া সমালোচনা করেন তাঁরা। আন্দোলন ঘিরে সব হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানানো হয়।
শিক্ষকদের ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা সমাবেশে বলেন, ‘আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ভিডিওতে যাদের হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা গেছে, তাদের নিষ্কৃতি দেওয়ার সুযোগ নাই। কার নির্দেশে এ গুলি চলল। আমরা তার জবাব চাই। শুধু শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে না মামলা হলে আজকে যারা উপস্থিত আছি, সেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও মামলা হতে হবে।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে আবু সাঈদকে কীভাবে গুলি হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় পুলিশের দেওয়া তথ্য বিবরণীতে বলা হচ্ছে যে আন্দোলনকারীদের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমন জঘন্য মিথ্যা আর কোনো দিন দেখা হয়নি। আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে যেভাবে গুলি করা হয়েছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়। এখন মামলায় জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের দমন–পীড়ন না চালিয়ে তাঁদের দেওয়া দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার, পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরতা ও নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা এখন ফেরারি আসামির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপরও হামলা হয়েছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের ন্যায় অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সমাবেশ শেষে শুরু হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট থেকে মডার্ন মোড় ঘুরে শহীদ আবু সাঈদ গেটে শেষ হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ জুমার নামাজের পর দোয়া অনুষ্ঠান ও বেলা ৩টায় গণপদ যাত্রার ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে উপেক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের রাস্তায় বাধা দিয়েছে। পুলিশের বাধায় অনেক শিক্ষার্থীরা আসতে পারেননি। সমবেত হওয়ার পরপরই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
এ সময় ‘শিক্ষার্থীদের দমন–পীড়ন বন্ধ কর, জনগণের কথা শোন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ নানা লেখাসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। বৃষ্টির মধ্যে প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় আবু সাঈদের হত্যা মামলায় পুলিশের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর (এফআইআর) কড়া সমালোচনা করেন তাঁরা। আন্দোলন ঘিরে সব হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানানো হয়।
শিক্ষকদের ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা সমাবেশে বলেন, ‘আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ভিডিওতে যাদের হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা গেছে, তাদের নিষ্কৃতি দেওয়ার সুযোগ নাই। কার নির্দেশে এ গুলি চলল। আমরা তার জবাব চাই। শুধু শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে না মামলা হলে আজকে যারা উপস্থিত আছি, সেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও মামলা হতে হবে।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে আবু সাঈদকে কীভাবে গুলি হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় পুলিশের দেওয়া তথ্য বিবরণীতে বলা হচ্ছে যে আন্দোলনকারীদের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমন জঘন্য মিথ্যা আর কোনো দিন দেখা হয়নি। আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে যেভাবে গুলি করা হয়েছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়। এখন মামলায় জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের দমন–পীড়ন না চালিয়ে তাঁদের দেওয়া দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার, পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরতা ও নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা এখন ফেরারি আসামির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপরও হামলা হয়েছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের ন্যায় অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সমাবেশ শেষে শুরু হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট থেকে মডার্ন মোড় ঘুরে শহীদ আবু সাঈদ গেটে শেষ হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ জুমার নামাজের পর দোয়া অনুষ্ঠান ও বেলা ৩টায় গণপদ যাত্রার ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
চারদিকে মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! তবু হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পরনে স্যুট–টাই, গায়ে কালো রঙের গাউন, মাথায় কালো টুপি। দীর্ঘদিন পর চেনা স্থানে সবাই একত্রিত। কালো টুপিটা আকাশের দিকে ছুড়ে দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন। কেউ নিজের গা থেকে গাউন খুলে মা–বাবার গায়ে পরিয়ে দিচ্ছেন...
২ মিনিট আগেছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে সেখানে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বিকল থাকায় হল ভাড়া নিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এদিকে সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতেও...
৯ মিনিট আগেনীলফামারীর চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর হয়ে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী রুটে ৬টি যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। কম সময়ে স্বল্প খরচে উত্তরাঞ্চলের কৃষিসহ নানান পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ট্রেনগুলোয় লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হয় দুই বছর আগে। তবে এ অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মেলেনি আশানুরূপ সাড়া...
৩০ মিনিট আগেদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না জবি শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে জবি ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন এ কথা বলেন...
২ ঘণ্টা আগে