নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম রহিমা আক্তার ওরফে রেমি (২৪)। ভিডিওতে রেমি বলেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাবা। মৃত্যুর পর আমার প্রিয় মানুষটাকে (স্বামী) আইন-আদালতে ঘুরাবা না।’
রেমি পুঠিয়া উপজেলার গোন্ডগোহালি গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে। প্রায় ৮ বছর আগে পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সাইম ইসলাম ওরফে সাগরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি ছোট মেয়ে আছে। সায়েম একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে পাশের চারঘাট পৌর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন রেমি। পরে তাঁর স্বামী তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যা করার আগে রেমি ২৩ মিনিট, ১২ মিনিট ও ৫ মিনিটের ৩টি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
ভিডিওতে রেমি বলেন, ‘কথা হইলো আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা। প্রথমেই আমার বাবা ও ছোট (সৎ) মাকে বলি আমার প্রিয় মানুষটাকে (স্বামী) জেল, আইন-আদালতের পেছনে ঘুরাবা না। কারণ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তুমি (বাবা)। আজ যদি তুমি বিয়ে না করতে, আমার মাকে নিয়ে সংসার করতে তাহলে আমাকে নিয়ে এসব কথা বলার সাহস পেত না। জেল যদি কাউকে খাটতে হয় সে তোমার (বাবা)। সেটা একমাত্র তোমার। আর কারও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার হাসব্যান্ডকে বলছি, তোমার নামে যদি কেউ এলিগেশন দেয় যে, তোমার মানসিক টর্চারে আমি মারা গেছি-তুমি তার নামে মামলা দিবা। ওর নামে দিবা মামলা, কারণ আমার বাবা-মা ভালো হইলে কেউ সাহস পাইতো।’ রেমি বলেন, ‘আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।’
স্বামীর উদ্দেশে রেমি বলেন, ‘তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে। আমি তোমাদের দুজনকে খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাঁকে সময় দিয়ো।’
এ ঘটনায় চারঘাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলায় রেমির বাবা উল্লেখ করেছেন, ‘মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে সে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ হয়। পারিবারিক কলহ হলে ওই রাতে আমার মেয়ে ও জামাই চারঘাট পৌরসভার মিয়াপুরের ভাড়া বাসায় চলে যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে জামাতা সাগর আমার ছেলে রাগিবকে মোবাইল ফোনে জানান যে, ‘‘তোমার বোন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বেলকনির গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে।’
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রেমির বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হলে বাবা নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এতে একা হয়ে পড়েন রহিমা আক্তার রেমি। এ নিয়ে কটু কথা শুনতে শুনতে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
রাজশাহীতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম রহিমা আক্তার ওরফে রেমি (২৪)। ভিডিওতে রেমি বলেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাবা। মৃত্যুর পর আমার প্রিয় মানুষটাকে (স্বামী) আইন-আদালতে ঘুরাবা না।’
রেমি পুঠিয়া উপজেলার গোন্ডগোহালি গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে। প্রায় ৮ বছর আগে পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সাইম ইসলাম ওরফে সাগরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি ছোট মেয়ে আছে। সায়েম একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে পাশের চারঘাট পৌর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন রেমি। পরে তাঁর স্বামী তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যা করার আগে রেমি ২৩ মিনিট, ১২ মিনিট ও ৫ মিনিটের ৩টি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
ভিডিওতে রেমি বলেন, ‘কথা হইলো আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা। প্রথমেই আমার বাবা ও ছোট (সৎ) মাকে বলি আমার প্রিয় মানুষটাকে (স্বামী) জেল, আইন-আদালতের পেছনে ঘুরাবা না। কারণ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তুমি (বাবা)। আজ যদি তুমি বিয়ে না করতে, আমার মাকে নিয়ে সংসার করতে তাহলে আমাকে নিয়ে এসব কথা বলার সাহস পেত না। জেল যদি কাউকে খাটতে হয় সে তোমার (বাবা)। সেটা একমাত্র তোমার। আর কারও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার হাসব্যান্ডকে বলছি, তোমার নামে যদি কেউ এলিগেশন দেয় যে, তোমার মানসিক টর্চারে আমি মারা গেছি-তুমি তার নামে মামলা দিবা। ওর নামে দিবা মামলা, কারণ আমার বাবা-মা ভালো হইলে কেউ সাহস পাইতো।’ রেমি বলেন, ‘আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।’
স্বামীর উদ্দেশে রেমি বলেন, ‘তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে। আমি তোমাদের দুজনকে খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাঁকে সময় দিয়ো।’
এ ঘটনায় চারঘাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলায় রেমির বাবা উল্লেখ করেছেন, ‘মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে সে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ হয়। পারিবারিক কলহ হলে ওই রাতে আমার মেয়ে ও জামাই চারঘাট পৌরসভার মিয়াপুরের ভাড়া বাসায় চলে যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে জামাতা সাগর আমার ছেলে রাগিবকে মোবাইল ফোনে জানান যে, ‘‘তোমার বোন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বেলকনির গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে।’
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রেমির বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হলে বাবা নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এতে একা হয়ে পড়েন রহিমা আক্তার রেমি। এ নিয়ে কটু কথা শুনতে শুনতে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৬ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে