Ajker Patrika

শীতেই চৌচির নদী খাল বিল পুকুর

  • ক্রমাগত নামছে পানির স্তর, হস্তচালিত বহু নলকূপে আর পানি ওঠে না।
  • বরেন্দ্রের ৭১% এলাকা মাঝারি, উচ্চ ও অতি উচ্চপর্যায়ের পানি সংকটাপন্ন।
 রিমন রহমান, রাজশাহী
বরেন্দ্র অঞ্চলে দিন দিন নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। এতে প্রয়োজনীয় সেচের অভাবে ফেটে যাচ্ছে ফসলি জমি। গতকাল রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ঘিগ্রাম এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরেন্দ্র অঞ্চলে দিন দিন নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। এতে প্রয়োজনীয় সেচের অভাবে ফেটে যাচ্ছে ফসলি জমি। গতকাল রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ঘিগ্রাম এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নদের নাম শিব। পাল আমলে এর ধারেই গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। নদের প্রস্থ কম হলেও গভীরতা এখনো ভালো। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার সেতুর ওপর দুপাশে দেখা গেল, শিব নদে পানি নেই। প্রাণহীন সেই নদের বুকে ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে ধানখেত চৌচির।

পানির অভাবে শীতকালেই বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল, বিল, পুকুর ও নদী-নালা গ্রীষ্মের মতো চৌচির হয়ে গেছে। অথচ গ্রীষ্ম আসতে বাকি আরও প্রায় আড়াই মাস। পুকুরের পানি শুকিয়ে যেতে শুরু করায় মাছচাষিরা পড়েছেন বেকায়দায়। ভূগর্ভস্থ পানি তুলে তাঁরা আবার পুকুর ভরছেন। খাল-বিল আর ছোট ছোট নদ-নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে পড়ে আছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এলাকায় পুরোনো দীর্ঘ একটি খাল নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। নিচের মাটি দুই পাশে তুলে রাখা হয়েছে; কিন্তু খালে পানি নেই।

আলোকছত্র গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষার কয়েকটা মাস আমরা খালে-বিলে পানি দেখি। তারপর আর পানি থাকে না। এখন পুকুরে মাছও চাষ করতে হচ্ছে বরেন্দ্রের ডিপ থেকে পানি নিয়ে। বাড়ির নলকূপগুলো অনেক আগে অকেজো হয়ে পড়েছে। বাড়িতে বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে খাওয়ার পানি তুলতে হচ্ছে।’

ভূগর্ভস্থ পানি নামছেই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নামছে। এ জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদকে দায়ী করা হয়; বিশেষ করে খরা মৌসুমে বোরো চাষের সময় প্রচুর পানি তুলতে হয় সেচের জন্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৯৮৫ সাল থেকে গভীর নলকূপ বসিয়ে এই এলাকায় সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অসংখ্য গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। দিনরাত পানি তোলে গভীর নলকূপগুলো।

গবেষকেরা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের জন্য যে পরিমাণ পানি তোলা হয়, তা বৃষ্টির মাধ্যমে পুনঃপূরণ হচ্ছে না। ফলে পানির স্তর ক্রমাগত নামছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘অনাবৃষ্টি, তীব্র তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড খরায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে মাটির নিচে আর কোনো পানি পাওয়া যাবে না।’

ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং অর্গানাইজেশনের (ওয়ারপো) সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্যমতে, বর্তমানে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৭১ শতাংশ এলাকা মাঝারি, উচ্চ ও অতি উচ্চপর্যায়ের পানি সংকটাপন্ন। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে রাজশাহীর তানোরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমেছে ১১৩ ফুট পর্যন্ত। পুনঃপূরণ না হওয়ায় এক বছরেই গড়ে ৪ ফুট নিচে নেমেছে পানির স্তর।

১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল মাটির ২৬ ফুট নিচে। ২০১০ সালে ৫০ ফুট ও ২০২১ সালে এই স্তর আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৬০ ফুটে। একই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের একটি স্থানে ভূপৃষ্ঠের পানি নেমে যায় ১৫৩ ফুট গভীরে। ২০২৩ সালে পানির স্তর ১৬০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমেছিল।

বরেন্দ্র অঞ্চলের ২১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৭টি ইউনিয়নকে অতি উচ্চ ও উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো)। পানির স্তর সবচেয়ে বেশি নেমেছে নওগাঁর পোরশার ছয়টি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের চারটি ইউনিয়নে। অতি উচ্চ পানি সংকটে রয়েছে গোদাগাড়ী, তানোর, গোমস্তাপুর, নিয়ামতপুর, সাপাহারসহ ৯ উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়ন। গবেষণায় ৪০টি ইউনিয়নকে ‘উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’ ও ৬৫টি ইউনিয়নকে ‘মাঝারি পানি সংকটাপন্ন’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেন ওয়ারপোর গবেষকেরা।

হস্তচালিত নলকূপে পানি ওঠে না

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আশি ও নব্বই দশকে রাজশাহী অঞ্চলের জনপদে হাজার হাজার হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করা হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলের কয়েক লাখ হস্তচালিত নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পেতে বরেন্দ্র অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখন সাবমারসিবল পাম্প বসাতে হয়। সামর্থ্য না থাকলে গ্রামের মানুষকে দূর থেকে বিএমডিএর গভীর নলকূপ থেকেও পানি এনে পান করতে হয়। বাড়ির নারীরাই দূর থেকে পানি আনেন।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীর তানোরের বাঁধাইড় ও পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ঝিলিম ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানি নেই বললেই চলে। ঝিলিমের শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে আমাদের এলাকায় নলকূপে পানি ওঠে না। তখন থেকেই আমাদের পানির কষ্টের শুরু। আগে পুকুরের পানিতে গৃহস্থালির কাজ হতো, এখন পুকুরেও পানি থাকে না। সব কাজই করতে হয় পাম্পে তোলা পানিতে।’

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন কোনো সাধারণ হস্তচালিত নলকূপে পানি ওঠে না। এ অবস্থায় আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে সাবমারসিবল পাম্প দিচ্ছি। কিন্তু দ্রুতই সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সমস্যার সমাধান হবে না।’

হুঁশ ফিরেছে বিএমডিএর

দিনরাত গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তোলার জন্য অনেক দিন ধরে সমালোচিত হচ্ছিল বিএমডিএ। সংস্থাটি তা গায়ে না মেখে বলেছিল, রাজশাহী ও রংপুরে বিএমডিএ প্রায় ১৬ হাজার গভীর নলকূপে পানি তুললেও ব্যক্তিমালিকানায় গভীর-অগভীর নলকূপের সংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার।

অবশেষে বিএমডিএ নতুন একটি সেচ নীতিমালা করেছে, যার মাধ্যমে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচিত রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো মৌসুমে পানি তোলার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে এই সেচ নীতিমালা করা হয়। গত ডিসেম্বরে এর প্রচারপত্র বিলি করা হলে কৃষকেরা তা জানতে পারেন। এ নিয়ে কৃষকদের অবশ্য মন খারাপ।

নতুন সেচ নীতিমালা অনুযায়ী, আসন্ন বোরো মৌসুমের পুরো সময় একটা গভীর নলকূপ ৯৮০ ঘণ্টার বেশি চলবে না। নতুন সেচ নীতিমালা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ সময়ের বাইরে বোরোর জমিতেও আর সেচ দেওয়া হবে না।

বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আটটি উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নামছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিএমডিএ বোরো মৌসুমে অর্ধেক জমিকে বোরো চাষের আওতাবহির্ভূত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ জন্যই ওই মৌসুমে গভীর নলকূপ চালানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ এলাকায় পুনর্ভরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি    
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জের বটতলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জের বটতলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ দিন পর উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিল

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।

কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’

শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

মৌলভীবাজার, প্রতিনিধি
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজন আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত