জয়পুরহাট প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জয়পুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য আসা ভিজিএফের বিশেষ সহায়তার কার্ড ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে।
ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কার্ডের বিতরণের জন্য সরকারের কর্মকর্তারা তদারক করে থাকেন। ভিজিএফ কার্ড কারা পাবেন, এই তালিকা প্রণয়নে কাজ করেন সেই কর্মকর্তারা। নিয়ম অনুসারে, জয়পুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক লায়লুন নাজমা বেগম। এই তিন কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল অন্যান্য কর্মকর্তা জানান, ভিজিএফ চাল বিতরণের কথা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তাঁদের জানিয়েছেন মাত্র। এ-সংক্রান্ত কোনো সভা হয়নি। তাঁদেরকে দুস্থদের কোনো তালিকাও দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলছে, জয়পুরহাট পৌরসভায় এবার ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে ৪৬ দশমিক ২১ টন চাল। এ চাল ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ১০ কেজি হিসেবে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। এই কাজে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত থাকার কথা। তবে এ কাজে বাদ সাধে বিএনপি-জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। পৌর পরিষদের উপস্থিত হয়ে এই তিন সংগঠনের নেতারা তাঁদের মধ্যে কার্ড বণ্টনের দাবি জানান। চাপের মুখে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দাবি মেনে নেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাবেক জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, বিএনপি, জামায়াত এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলীয় কোটার ভিত্তিতে নিজেদের দলের লোকজনের জন্য কার্ডগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের গ্রুপ পেয়েছে ১ হাজার ৬০০টি কার্ডের চাল। এ ছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওহাব গ্রুপ ৪৫০টি, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী হাসিবুল আলম লিটন ৪৫০টি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ পান ৩৮০টি ভিজিএফ কার্ডের চাল।
জয়পুরহাট পৌরসভার সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, বিএনপির গোলজার হোসেন ও নেতা-কর্মীরা, জামায়াত নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্ডের তালিকা করা হয়েছে।
এই অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন জানান, তিনি মিটিংয়ে আছেন। এরপরই সংযোগ কেটে দেন। তবে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ ওহাব জানান, তাঁকে যে কার্ডগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তিনি বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।
জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী হাসিবুল আলম লিটন জানান, তাঁদের ৪৫০টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কার্ডগুলো বিতরণের জন্য পৌর জামায়াতের দায়িত্বশীলদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ জানান, তাঁরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছিলেন ৫০০টি কার্ড; কিন্তু পেয়েছেন ৩৮০টি।
তবে জয়পুরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘দলীয়ভাবে তালিকা প্রস্তুতের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জয়পুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য আসা ভিজিএফের বিশেষ সহায়তার কার্ড ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে।
ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কার্ডের বিতরণের জন্য সরকারের কর্মকর্তারা তদারক করে থাকেন। ভিজিএফ কার্ড কারা পাবেন, এই তালিকা প্রণয়নে কাজ করেন সেই কর্মকর্তারা। নিয়ম অনুসারে, জয়পুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক লায়লুন নাজমা বেগম। এই তিন কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল অন্যান্য কর্মকর্তা জানান, ভিজিএফ চাল বিতরণের কথা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তাঁদের জানিয়েছেন মাত্র। এ-সংক্রান্ত কোনো সভা হয়নি। তাঁদেরকে দুস্থদের কোনো তালিকাও দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলছে, জয়পুরহাট পৌরসভায় এবার ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে ৪৬ দশমিক ২১ টন চাল। এ চাল ৪ হাজার ৬২১টি কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ১০ কেজি হিসেবে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। এই কাজে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত থাকার কথা। তবে এ কাজে বাদ সাধে বিএনপি-জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। পৌর পরিষদের উপস্থিত হয়ে এই তিন সংগঠনের নেতারা তাঁদের মধ্যে কার্ড বণ্টনের দাবি জানান। চাপের মুখে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দাবি মেনে নেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাবেক জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, বিএনপি, জামায়াত এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলীয় কোটার ভিত্তিতে নিজেদের দলের লোকজনের জন্য কার্ডগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের গ্রুপ পেয়েছে ১ হাজার ৬০০টি কার্ডের চাল। এ ছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওহাব গ্রুপ ৪৫০টি, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী হাসিবুল আলম লিটন ৪৫০টি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ পান ৩৮০টি ভিজিএফ কার্ডের চাল।
জয়পুরহাট পৌরসভার সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, বিএনপির গোলজার হোসেন ও নেতা-কর্মীরা, জামায়াত নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্ডের তালিকা করা হয়েছে।
এই অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন জানান, তিনি মিটিংয়ে আছেন। এরপরই সংযোগ কেটে দেন। তবে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ ওহাব জানান, তাঁকে যে কার্ডগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তিনি বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।
জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী হাসিবুল আলম লিটন জানান, তাঁদের ৪৫০টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কার্ডগুলো বিতরণের জন্য পৌর জামায়াতের দায়িত্বশীলদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ জানান, তাঁরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছিলেন ৫০০টি কার্ড; কিন্তু পেয়েছেন ৩৮০টি।
তবে জয়পুরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘দলীয়ভাবে তালিকা প্রস্তুতের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
১ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
২ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
২ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে