Ajker Patrika

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯: ০২
Thumbnail image

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অষ্টম পর্বের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার নামে তাদের কাছ থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে। উত্তেজনার মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যায়। 

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘চাঁদা আদায়ের’ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের প্রতিবাদে জানিয়েছে তারা। মানববন্ধন থেকে ছাত্রলীগকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ চলছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার সকাল থেকে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং (ইন্টার্নশিপ) ভাতা ও জামানতের টাকা দেওয়া শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা সবাই ইন্টার্নশিপের ১৩ হাজার ও জামানত রাখা ৪০০ টাকা করে ফেরত পাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে সেই টাকা হাতে পাওয়ার পর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে আদায় শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ জন্য তারা চেয়ার-টেবিল পেতে বসেন। তারা একটি ফরমে নাম লিখিয়ে এই টাকা নিচ্ছিলেন। তবে এ আয়োজনের বিষয়ে পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষের কোন সম্মতি ছিল না। তারপরেও প্রথম দিন তিন বিভাগের অন্তত ১০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা তোলা হয়। এ ঘটনায় গত সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে গতকাল থেকে টাকা তোলা বন্ধ করে ছাত্রলীগ। 

অনেক শিক্ষার্থী আশঙ্কা করে বলেন, ‘এই টাকায় কোনো অনুষ্ঠানই হবে না। টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যাবে।’ 

 খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে আজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগএ বিষয়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জীহান মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা টাকা তুলছিলাম না। ক্যাম্পাসের ছেলেরাই টাকা তুলছিল। তারা আমাদের বলেছিল, আমরা যেন তাদের সঙ্গে থাকি, সাহায্য করি। কিন্তু ছাত্রলীগ টাকা তুলছে বলে পত্রিকায় নিউজ এসেছে। এর প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করেছি। পাশাপাশি টাকা তুলতে নিষেধ করে দিয়েছি। যে তিন বিভাগের টাকা তোলা হয়েছে, তাদের নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যেন করা হয় সেটাও বলে দিয়েছি।’ 

জীহান দাবি করেন, বিদায়ী শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি নিজেও এক হাজার টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছেন। তবে জীহানের ফরমে ‘আনপেইড’ লেখা দেখা গেছে। এ বিষয়ে জীহান বলেন, ‘আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা খেয়াল করেনি। তাই আনপেইড লিখে রেখেছিল।’ 

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মুহম্মদ আব্দুর রশীদ মল্লিক বলেন, ‘এভাবে টাকা তুলে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের বিন্দুমাত্র সম্মতি নেই। তারপরেও ছাত্রলীগের ছেলেরা একটা ফরম তৈরি করে টাকা তুলতে শুরু করে। তারা যেন টাকা তুলতে না পারে সে জন্য আমরা পুলিশ চেয়েছিলাম। প্রথম দিন পুলিশ এসে কিছু সময় পরে চলে যায়। তাই তারা টাকা তোলে। দ্বিতীয় দিন আবার পুলিশ ডেকেছি। যতক্ষণ টাকা বিতরণ চলেছে, ততক্ষণই পুলিশ ছিল। তাই এ দিন তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত