Ajker Patrika

সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর নওগাঁর বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
খাদ্যমন্ত্রী-ভেঙে ফেলা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাদ্যমন্ত্রী-ভেঙে ফেলা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ জনতা এক্সকাভেটর দিয়ে দলীয় কার্যালয় ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং সন্ধ্যার পর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, দুই জায়গার চিত্র একেবারেই ধ্বংসস্তূপে রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভবনের নিচতলার অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই। দেয়ালগুলো ধসে পড়েছে, জানালা-দরজার কোনো চিহ্ন নেই। শুধু ধুলোমাখা ইট আর ভাঙা কংক্রিটের স্তূপ পড়ে আছে। এ ছাড়া সাততলা ভবনটির চারতলা পর্যন্ত জানালা ও দরজার গ্রিল খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ির অবস্থা আরও শোচনীয়। রাতভর আগুন জ্বলেছে, ঘরের আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সকালে দেখা গেছে, বাড়ির কাঠামো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। জানালা-দরজা, মাইক্রো রাখা ঘরের টিনের চাল, এমনকি রড ও বৈদ্যুতিক সংযোগের তার পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত রাতেই কিছু মাদক সেবনকারী ও সুবিধাভোগীরা লুটপাট চালিয়েছে। যদিও এর আগেই এখানকার অধিকাংশ আসবাব লুট হয়ে গেছে। অবশিষ্ট যতটুকু ছিল সেটিও আর নেই।

আ.লীগ কার্যালয়-নওগাঁর আওয়ামী লীগের কার্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আ.লীগ কার্যালয়-নওগাঁর আওয়ামী লীগের কার্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

একজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কাল রাতে এখানে অনেক মানুষ আসছিল। প্রথমে আন্দোলনের লোকজন ছিল, পরে কিছু লোক এসে যা যা পারল খুলে নিয়ে গেল—দরজা, জানালা, আসবাব, এমনকি ফ্যান-লাইট পর্যন্ত খুলে নিয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নেশাখোর ও কিছু সুবিধাভোগী রাতের অন্ধকারে সব লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা সকালে এসে দেখি, শুধু পুড়ে যাওয়া কাঠামো পড়ে আছে।’

সার্বিক বিষয়ে নওগাঁ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাদনান সাকিব বলেন, ‘বছরের পর বছর আমরা দেখেছি, কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে, কীভাবে সাধারণ মানুষ দুঃশাসনের শিকার হয়েছে। যা হয়েছে তা শোষিত মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই স্থাপনাগুলোতে বসেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরেরা আমাদের সহযোদ্ধা ভাইদের হত্যার পরিকল্পনা করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে স্থান এত দিন অন্যায়, দখলদারি আর ভয়ভীতি ছড়ানোর প্রতীক ছিল, তা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত