Ajker Patrika

জখম হওয়ার খবর থানায় জানানোয় এক পরিবারকে বাড়িতে যেতে বাধার অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
Thumbnail image

নড়াইলের লোহাগড়ায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপালী বেগম (৪৫)। এই ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদেরকে বাড়িতে যেতে বাধাসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। 

থানায় অভিযোগের পরে বাড়িতে যেতে বাধা ও হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এদিকে, থানায় সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন। 

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপালী হলেন লোহাগড়া উপজেলার বাড়িভাঙ্গা গ্রামের রিজাউল করিম মোল্যার স্ত্রী। 

আজ বৃহস্পতিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে আজকের পত্রিকাকে রুপালী বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার সকাল ১০ দিকে বাড়িভাঙ্গা গ্রামের ঝিকু শেখ, রকি শেখ, তৈয়েবুর শেখসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র রামদা, শাবল, রড, হাতুড়ি নিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। এতে আমার মাথায় কোপ লাগে ও বাম হাত-পা ভেঙে যায়। তাঁরা দরজা ভেঙে আমার ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছেন। এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, টিভি ভাঙচুর করেন।’ 

রুপালীর স্বামী রিজাউল করিম বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দায়েরের কারণে আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের বাড়ি যেতে দিচ্ছেন না প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযোগ করার পর আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। আমার স্ত্রী নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ 

রুপালী বেগমের মেয়ে লাকি আক্তার রিয়া বলেন, ‘আমার বাবা চাকরির কারণে বাড়িতে থাকেন না। ঝিকু শেখেরা প্রায়ই আমাদের নির্যাতন করেন। বিনা কারণে আমার মাকে তাঁরা নির্যাতন করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মেরেছেন। প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি। সে জন্য আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না হামলাকারীরা।’ 

হুমকির দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে মো. ঝিকু শেখ বলেন, ‘রুপালী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে বাড়ি যেতে বাধা দিচ্ছি, এ কথা সঠিক নয়। তাঁদেরকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। তাঁদের বাড়ি তাঁরা যাবেন।’ রুপালীকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই নারী খারাপ।’ 

ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বাড়িভাঙ্গা গ্রামে মারামারির ঘটনায় গত মঙ্গলবার রুপালীর বেগমের মেয়ে লাকি আক্তার রিয়া থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুপালী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যেতে পারবেন। কেউ বাধা দিলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত