Ajker Patrika

লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন সাতক্ষীরার চাষিরা

আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৮
লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন সাতক্ষীরার চাষিরা

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে কাঁকড়া চাষ। অল্প জমিতে স্বল্প বিনিয়োগে কাঁকড়া চাষ করা যায় বিধায় প্রান্তিক চাষিরা এ কাজে ঝুঁকছেন। সংশ্লিষ্টদের মতে, কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন পর্যাপ্ত হলে সাতক্ষীরায় কাঁকড়া চাষ আরও বাড়বে। 

সাতক্ষীরা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপকূলীয় এলাকায় এবার কাঁকড়া চাষ হয়েছে ৩১৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। সাত বছর আগে কাঁকড়া চাষ হয়েছিল মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে। বছর হিসাবে সাত বছরে কাঁকড়া চাষ বেড়েছে ছয় গুণ।

কাঁকড়াচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় লোনা পানিতে প্রতিবছরই বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়ার চাষ বাড়ছে। 

শ্যামনগরের কাঁকড়াচাষি অরিন্দম দাস বলেন, ‘আমি ১০ বিঘা জমিতে বাগদা চাষ করতাম। কিন্তু প্রতিবছর লাভের বদলে ক্ষতি হতো বেশি। প্রতিবছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ঘের। ফলে মাছ ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে হয়। তা ছাড়া পোনার লবণসহনীয় ক্ষমতার ভারসাম্য না থাকা এবং ভাইরাসে বাগদা মরে উজাড় হয়ে যায়। তাই এখন ছয় বিঘা জমিতে কাঁকড়া চাষ করছি।’ 

একই এলাকার রায়হান মল্লিক বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশির ভাগ খাঁচা পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করা হয়। বিদেশে সফটশেল কাঁকড়ার চাহিদা বেশি। ৭০০ খাঁচায় কাঁকড়া চাষ করতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ৫ লাখ টাকায়।’ 

কলবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী শ্যামল পাল জানান, এ বছর কাঁকড়ার দাম বেশ ভালো। এ গ্রেডের কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। বি গ্রেডের কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। আর সি গ্রেডের কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। কাঁকড়া সাধারণত ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনে রপ্তানি করা হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী। 

সুন্দরবন থেকে ধরা কাঁকড়া ছাড়া হয় ঘেরের খাঁচায়। বছরের বেশ কিছু দিন জেলেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয় সুন্দরবনে প্রবেশে। সমস্যা সমাধানে হ্যাচারি স্থাপনের কথা বলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। 

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরায় কাঁকড়া চাষ সম্ভাবনাময় একটা খাত। সফটশেলের চাহিদা বেশি। কাঁকড়া প্রসেসিং প্ল্যান্ট রয়েছে শ্যামনগরে, যার মাধ্যমে কাঁকড়া সরাসরি বিদেশে যাচ্ছে। ঝুঁকি কম বলে অনেকেই কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন। সমস্যা হলো পোনা নিয়ে। পোনা সবই সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত। বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও জুন-জুলাইয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তখন পোনার সংকটে পড়েন চাষিরা। তাই হ্যাচারি স্থাপন প্রয়োজন। সরকারিভাবে দেশে শুধু কক্সবাজারে হ্যাচারি রয়েছে। আমরা বেসরকারিভাবে হ্যাচারি স্থাপনে উৎসাহ দিচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত