Ajker Patrika

কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুয়েটে বিক্ষোভ

ঢাবি সংবাদদাতা
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবিতে অব্যাহত আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অনেকে #BUETiansStandWithKUETians হ্যাশট্যাগ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের সড়ক হয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসে। রাজু ভাস্কর্যে এসে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের শিক্ষার্থী আল ফারাবী বলেন, ‘কুয়েট শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানাই কুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে জানান। পরে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অনেককে #BUETiansStandWithKUETians #StandWithKUET ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ লিখে পোস্ট দিতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত