Ajker Patrika

ফরিদপুরে গ্রাহকদের সোয়া কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ০৭
ফরিদপুরে গ্রাহকদের সোয়া কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার এক এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এজেন্টের নাম আক্তারুজ্জামান হাসু (৫৫)। তিনি বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারের বাসিন্দা। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে আক্তারুজ্জামান হাসুর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ব্যাংকের কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ পান গ্রাহকেরা। পরে শাখা ম্যানেজার ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

একাধিক গ্রাহক বলেন, সারা দেশে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম থাকায় নিজ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে এফডিআর করেছিলেন তাঁরা। গ্রাহকদের জমা টাকার রসিদের পরিবর্তে এজেন্ট জামান ট্রেডার্সের একটি হিসাবের ব্যাংক চেক দেওয়া হয় গ্রাহকদের। 

ব্যাংকটির গ্রাহক হেনা পারভীন বলেন, ‘গত ২২ জুলাই আমি ১২ লাখ টাকার একটি এফডিআর করি। আমাকে জামান ট্রেডার্স নামের ইসলামী ব্যাংক বোয়ালমারী শাখার একটি হিসাবের ১২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এখন শুনছি, ব্যাংকের উদ্যোক্তা এ টাকা মূল শাখায় জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে।’

মাধবপুর গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের মেয়ে রুখসানা নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘তিন লাখ টাকা এ ব্যাংকে এফডিআর করেছিলাম। আমাদের একটি চেকও দেয়। এখন অ্যাকাউন্টে দেখছি কোনো টাকা নেই। অনেক কষ্ট করে এই টাকাটা জমা করেছিলাম। এখন আমার টাকার কী হবে জানি না।’

প্রতারণার শিকার কয়েকজন গ্রাহক। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে জানতে চাইলে আউটলেট শাখার সহকারী হিসাবরক্ষক ভাটদী গ্রামের মো. আশিক বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামান আমাদের বলেছেন, এফডিআরের টাকা বোয়ালমারী শাখায় জামান ট্রেডার্সের মূল হিসাবে জমা হবে। গ্রাহকদের এই অ্যাকাউন্টের চেক দিলেই হবে। আমরা তাঁর কথামতো কাজ করে এসেছি। এ বিষয়ে শাখাটির হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া ভালো বলতে পারবেন।’

আউটলেটটির প্রধান হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। যখন আমি বুঝতে পারি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তখন মালিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, তিনি না থাকলেও তাঁর ভাইবোন আছে। তারা টাকা পরিশোধ করে দেবে। আমাদের আউটলেটের প্রায় ৫০ জন গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছেন। তাঁর ফোন নম্বরও ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বন্ধ রয়েছে।’

তবে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান হাসুর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিত শেখ বলেন, ‘জামান ট্রেডার্সের গ্রাহকেরা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান চেক দিয়ে কিছু লেনদেন করেছেন। এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। বর্তমানে তিনি পলাতক। ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্র্যান্ড রয়েছে, আমাদের নাম করে যদি তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে প্রক্রিয়া মানা হয়নি: ইউনেসকো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত