নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ডাক বিভাগের ১৫ কোটির বেশি টাকা ক্ষতি ও অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়—ডাক বিভাগের ‘পোস্ট-ই-সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনে তা ব্যবহার না করে, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯-এর ২৩ ধারা লঙ্ঘন পূর্বক সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রকল্পের অধীন ৫০০টি এইচপিই এমএল ৩০ ও উইনার ব্র্যান্ডের ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সাথে চুক্তি করা হয়। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোতে বিতরণ করা হয়।
পরে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ ঘটনা তদন্তের জন্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব, (টেলিকম) মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত দল ডাক বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন ডাকঘরের মধ্য থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু কিছু ডাকঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
তদন্ত দলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনো কোনো মালামাল প্রকল্প সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়েছে। টেশিসের টঙ্গী, গাজীপুর অফিসে এসব যন্ত্রপাতি অফিসে অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানান, ব্যবহার না জানার কারণে এবং প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি তাঁরা ব্যবহার করেন না। এসব যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে আছে। এমনকি প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত এসব যন্ত্র কোনোটিই ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে।
আরও জানা যায়, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে এসব মেশিন কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার কোনো নির্দেশনা ডাক অধিদপ্তরের প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে আঞ্চলিক অফিসকে প্রদান না করায় এসব যন্ত্র কোনো কাজে আসেনি। প্রকল্পের প্রশিক্ষণ খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকা ধার্য থাকলেও এসব যন্ত্র ব্যবহারের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
এজাহারে বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ক্রয় পরিকল্পনা অনুসারে ক্রয় সম্পাদনের দালিলিক ও বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেলেও ক্রয়কৃত সামগ্রী কার্যক্ষম করার লক্ষ্যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং বিষয়ে ৭ কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার না করে এবং সংশ্লিষ্ট মেশিন ক্রয় করে সরকারের অর্থের অপব্যবহার করেছেন আসামিরা।
আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ডাক বিভাগের ১৫ কোটির বেশি টাকা ক্ষতি ও অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়—ডাক বিভাগের ‘পোস্ট-ই-সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনে তা ব্যবহার না করে, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯-এর ২৩ ধারা লঙ্ঘন পূর্বক সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রকল্পের অধীন ৫০০টি এইচপিই এমএল ৩০ ও উইনার ব্র্যান্ডের ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সাথে চুক্তি করা হয়। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোতে বিতরণ করা হয়।
পরে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ ঘটনা তদন্তের জন্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব, (টেলিকম) মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত দল ডাক বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন ডাকঘরের মধ্য থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু কিছু ডাকঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
তদন্ত দলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনো কোনো মালামাল প্রকল্প সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়েছে। টেশিসের টঙ্গী, গাজীপুর অফিসে এসব যন্ত্রপাতি অফিসে অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানান, ব্যবহার না জানার কারণে এবং প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি তাঁরা ব্যবহার করেন না। এসব যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে আছে। এমনকি প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত এসব যন্ত্র কোনোটিই ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে।
আরও জানা যায়, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে এসব মেশিন কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার কোনো নির্দেশনা ডাক অধিদপ্তরের প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে আঞ্চলিক অফিসকে প্রদান না করায় এসব যন্ত্র কোনো কাজে আসেনি। প্রকল্পের প্রশিক্ষণ খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকা ধার্য থাকলেও এসব যন্ত্র ব্যবহারের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
এজাহারে বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ক্রয় পরিকল্পনা অনুসারে ক্রয় সম্পাদনের দালিলিক ও বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেলেও ক্রয়কৃত সামগ্রী কার্যক্ষম করার লক্ষ্যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং বিষয়ে ৭ কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার না করে এবং সংশ্লিষ্ট মেশিন ক্রয় করে সরকারের অর্থের অপব্যবহার করেছেন আসামিরা।
আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে মাদারীপুরের ৩০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। আজ শুক্রবার (৬ মে) সবচেয়ে বড় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
২৩ মিনিট আগেঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্র) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিরাজ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন যাত্রী। আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল আনুমানিক সোয়া ৬টার দিকে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্রাক মোড় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে অর্ধশতাধিক পরিবার
৩৪ মিনিট আগেসৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরে ১১টি গ্রামে আজ শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি এই ঈদুল আজহা উদযাপন করে।
৩৮ মিনিট আগে