Ajker Patrika

রামপুরা থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ, ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অপহৃত আরেফিন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ছবি; সংগৃহীঅত
অপহৃত আরেফিন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ছবি; সংগৃহীঅত

রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে আরেফিন কামরুল ইসলাম (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহৃত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা হারুন অর রশিদ খাঁন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব রামপুরার বাসা থেকে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয় আরেফিন। এরপর গতকাল রাত পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ সময়ের মধ্যে দুটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আরেফিনের বাবাকে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে তিনি কয়েক দফায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৬ হাজার টাকা দিয়েছেন। তবে এখনো ছেলেকে ফেরত পাননি।

আরেফিনের বাবা হারুন অর রশিদ জানান, তাঁদের বাসা পূর্ব রামপুরার সালামবাগ মসজিদ এলাকায়। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে তাঁর ছেলে আরেফিন কামরুল ইসলাম রামপুরার মোল্লাবাড়ী সোহরাবের গলিতে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। তার সঙ্গে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ছিল। রাতেও সে বাসায় না ফেরায় তার মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তার বন্ধুর ও আত্মীয়স্বজনদের বাসায় খোঁজখবর নিয়েও কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরেফিনের বন্ধু জানায়, গতকাল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মিলিয়ে সন্ধ্যার আগেই আরেফিন তার বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

এরপর রাত ১টা ৯ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে আরেফিনের বাবা হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তিনি জানান, কল দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আরেফিনকে অপহরণের কথা বলে। তাকে ফেরত পেতে হলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। এরপর অপহরণকারীরা অন্য একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে।

হারুন অর রশিদ মোট ১২ বারে ওই নম্বরে ২৬ হাজার টাকা পাঠান। টাকা দিতে না পারলে আরেফিনকে হত্যা করে হাতিরঝিল ব্রিজের ওপর রেখে যাবে বলেও জানায় অপহরণকারীরা। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত অপহরণকারীরা আরেফিনকে ফেরত দেয়নি।

আজ শুক্রবার বিকেলে আরেফিনের বাবা হারুন অর রশিদ রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত