শ্যামপুর-কদমতলী প্রতিনিধি
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ ও দুই দিন সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকার চট্টগ্রাম রোডের গাড়িগুলোতেও দেখা গেছে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের ছুটির মতো মানুষ দলে দলে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকের মুখে আনন্দের হাসি দেখা গেলেও কারও কারও মুখে ছিল উৎকণ্ঠার ছাপ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত ছিল টিকিট কাউন্টার।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া রোডের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার মিনি টার্মিনালে অসংখ্য বাস ও যাত্রীদের ভিড়। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, নড়াইল, খুলনা, ফরিদপুর মোংলাসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ যাত্রী ছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এসব যাত্রীদের ভিড়। এদিকে পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবহনেও ছিল যাত্রীদের চাপ। ফলে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে খুলনাগামী যাত্রী সুমনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কারণে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকায় বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি।’
বরিশালগামী যাত্রী জয়নাল বলেন, ‘দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশে যাচ্ছি।’
সপরিবারে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন রবিউল। তিনি বলেন, ‘আমি ফার্নিচারের ব্যবসা করি, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে ব্যবসা একেবারেই মন্দা। তাই সপরিবারে দেশে বেড়াতে যাচ্ছি।’
সায়েদাবাদ টার্মিনালের সিলেটগামী যাত্রী লিপি বলেন, ‘একসঙ্গে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় পড়েছি চরম দুর্ভোগে।’
এদিকে মোংলার আশা পরিবহনের হেলপার জনি বলেন, ‘ঈদের মতো যাত্রীদের ভিড়। তাই যাত্রীতে গাড়ি পরিপূর্ণ করে যাচ্ছি।’
শরীয়তপুর পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কর্মী জুবায়ের বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। পরিবহনগুলোতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। গাড়িরও সংকট নেই। তবে তিন দিন বিএনপি জামাতের অবরোধ ও দুই দিন সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির কারণে ঘরমুখী মানুষের চাপ খুবই বেড়েছে, এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকেই।’
এদিকে সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের চালক মকবুল বলেন, ‘আগামীকাল থেকে অবরোধের কারণে ভয়ে ঢাকা ছাড়ছেন অনেক মানুষ।’
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাহবুব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবরোধ ও সরকারি ছুটির কারণে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেড়েছে। এর ফলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও আমরা তা নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকে ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ গ্রামে যাচ্ছে ও কিছু মানুষ ঢাকায় আসছে। তবে আসার চেয়ে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেশি। গাড়ির সংকট নেই।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ ও দুই দিন সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকার চট্টগ্রাম রোডের গাড়িগুলোতেও দেখা গেছে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের ছুটির মতো মানুষ দলে দলে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকের মুখে আনন্দের হাসি দেখা গেলেও কারও কারও মুখে ছিল উৎকণ্ঠার ছাপ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত ছিল টিকিট কাউন্টার।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া রোডের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার মিনি টার্মিনালে অসংখ্য বাস ও যাত্রীদের ভিড়। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, নড়াইল, খুলনা, ফরিদপুর মোংলাসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ যাত্রী ছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এসব যাত্রীদের ভিড়। এদিকে পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবহনেও ছিল যাত্রীদের চাপ। ফলে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে খুলনাগামী যাত্রী সুমনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কারণে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকায় বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি।’
বরিশালগামী যাত্রী জয়নাল বলেন, ‘দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশে যাচ্ছি।’
সপরিবারে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন রবিউল। তিনি বলেন, ‘আমি ফার্নিচারের ব্যবসা করি, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে ব্যবসা একেবারেই মন্দা। তাই সপরিবারে দেশে বেড়াতে যাচ্ছি।’
সায়েদাবাদ টার্মিনালের সিলেটগামী যাত্রী লিপি বলেন, ‘একসঙ্গে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় পড়েছি চরম দুর্ভোগে।’
এদিকে মোংলার আশা পরিবহনের হেলপার জনি বলেন, ‘ঈদের মতো যাত্রীদের ভিড়। তাই যাত্রীতে গাড়ি পরিপূর্ণ করে যাচ্ছি।’
শরীয়তপুর পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কর্মী জুবায়ের বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। পরিবহনগুলোতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। গাড়িরও সংকট নেই। তবে তিন দিন বিএনপি জামাতের অবরোধ ও দুই দিন সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির কারণে ঘরমুখী মানুষের চাপ খুবই বেড়েছে, এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকেই।’
এদিকে সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের চালক মকবুল বলেন, ‘আগামীকাল থেকে অবরোধের কারণে ভয়ে ঢাকা ছাড়ছেন অনেক মানুষ।’
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাহবুব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবরোধ ও সরকারি ছুটির কারণে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেড়েছে। এর ফলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও আমরা তা নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকে ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ গ্রামে যাচ্ছে ও কিছু মানুষ ঢাকায় আসছে। তবে আসার চেয়ে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেশি। গাড়ির সংকট নেই।
নিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৩২ মিনিট আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৩৮ মিনিট আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে।
১ ঘণ্টা আগে