Ajker Patrika

থানায় নির্যাতন: ওসি ও এসআইকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ সিআইডির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

চট্টগ্রামে আসামিকে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে থেকে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপপরিদর্শককে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে সিআইডি। অন্যদিকে তদন্ত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে নারাজি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মামলার বাদী।

আজ সোমবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহনেওয়াজ খালেদ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগী মায়ের ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ মোস্তাকিম প্রকাশ মুন্তাকিম। এরপর পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও এসআই আবদুল আজিজকে আসামিকে করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে আদালত সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার পর থেকে ওসি নাজিম এবং মামলার আরেক আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ এই পর্যন্ত ৮০ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত। আলোচিত মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি (তথ্যগত ভুল) বলে উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘সার্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য তথ্যগত ভুল মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।’

এই বিষয়ে মামলার বাদী মোহাম্মদ মোস্তাকিম প্রকাশ মুন্তাকিম বলেন, ‘মামলায় প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তদন্তের ফলাফল বাদীকে জানানোর আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি জানতেই পারলাম না। এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করে আমি আদালতে নারাজি দেব।’

উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে মুস্তাকিমকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর রিমান্ডও চেয়ে বসে পুলিশ। আদালত পরে এই রিমান্ড আবেদন ফিরিয়ে দেন। পরে গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মামলার এজাহারে মোস্তাকিম জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন থানায় নিয়ে যাওয়ার পর মুস্তাকিমকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় ওসির নির্দেশে। একটি নির্জন কক্ষে তাঁকে আটকে রেখে ওসির নির্দেশে আব্দুল মজিদ মারধর করেন। ওই সময় তাঁকে বলা হয় ‘ওসি স্যারের সঙ্গে আর বেয়াদবি করবি! তোরে রিমান্ডে এনে আরও পেটাতে হবে। তারপর বুঝবি পুলিশ কি জিনিস।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত