Ajker Patrika

রায়পুরে বিএনপি নেতা হত্যা: ৩ দিন পর মামলা, দল থেকে ১৬ জন বহিষ্কার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর করা বাড়িঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর করা বাড়িঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দলের নেতা সাইজ উদ্দিন নিহতের ঘটনার তিন দিন পর হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁর ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় দলের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৬০ জনকে আসামি করা হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে সংঘর্ষ ও একজন নিহতের ঘটনা পর থেকে উভয় পক্ষের পরিবারগুলোর পুরুষ সদস্যরা গ্রেপ্তার থেকে এড়াতে বাড়িছাড়া রয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার তিন দিন পার হলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

এদিকে সংঘর্ষ ও কর্মী নিহতের ঘটনায় উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান অভিযুক্ত শামীম গাজী, ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিক আহাম্মদ তারেকসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সালেহ আহম্মদ ও সদস্যসচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার রাতে বিএনপিসহ দলের সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সালেহ আহম্মদ।

দীর্ঘদিন ধরে রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামীম গাজী পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি মাছঘাট, মেঘনার চর, কাঁচাবাজার নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে গত সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্পেন প্রবাসী বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন। এর জেরে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুট করা হয় ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র। এই হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজ একে অপরের সমর্থদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত