Ajker Patrika

কুমিল্লা ও গাইবান্ধা কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ শিক্ষার্থী

কুমিল্লা ও সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মে ২০২৩, ১১: ০০
কুমিল্লা ও গাইবান্ধা কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ শিক্ষার্থী

কুমিল্লা ও গাইবান্ধায় কারাগারে বসে ছয়জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা কারাগারেই চারজন। আর দুজন গাইবান্ধায়, তারা হত্যা মামলার আসামি। 

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার অধীনে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন রোববার (৩০ এপ্রিল) কুমিল্লা কারাগারে বসে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়েছে এক ছাত্রীসহ তিন পরীক্ষার্থী। গণিত বিষয়ে আরও এক কারাবন্দী শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কুমিল্লা জেলহাজতে রয়েছে। 

আদালতের অনুমতি নিয়ে কারাগারে থেকে পরীক্ষা দিয়েছে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসুম মিম, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মাহমুদা বেগম উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মো. সজীব উদ্দিন এবং নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত। 

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বোর্ড সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৩-এর বিচারকের নির্দেশনায় কারাগারে থেকে রোববার পরীক্ষায় অংশ নেয় মেঘনা উপজেলার মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসুম মিম। লক্ষ্মীপুরের রামগতির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পরীক্ষা দিচ্ছে রামগতি মাহমুদা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সজীব উদ্দিন। আর নোয়াখালীর (আমলি আদালত-৮) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পরীক্ষা দিচ্ছে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আরাফাত। 

এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার দুই আসামি কারাগারে থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তারা হলো উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের মো. আতাউর রহমানের ছেলে মো. আবদুর রাজ্জাক মিয়া এবং একই গ্রামের মো. ফরিদুল ইসলামের ছেলে মো. বাদশা মিয়া। দুজনেই বেলকা এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের ধর্মপুর ডিডি এম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কারাগারের পরীক্ষাকক্ষে ডেপুটি জেলার ও একজন সহকারী শিক্ষকসহ পুলিশ কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন। তারা দুজনেই পরীক্ষা ভালোভাবেই শেষ করেছে বলেও জানিয়েছেন জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম।’ 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ জুলাই বেলকা এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘটনার পরদিন ১৫ জুলাই শিহাবের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয় কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদী থেকে। ১৬ জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন শিহাবের বাবা মো. আনিছুর রহমান। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মো. জিন্নাহ মিয়া নামে আরেক আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত