Ajker Patrika

ইপিজেডের বর্জ্যে ৫০ গ্রামের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত, দ্রুত সমাধানে স্মারকলিপি প্রদান

কুমিল্লা প্রতিনিধি
ইপিজেডের বর্জ্যে ৫০ গ্রামের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত, দ্রুত সমাধানে স্মারকলিপি প্রদান

কুমিল্লা ইপিজেড এবং এর বাইরের দুইটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত তরল বর্জ্য আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসলের জমি, খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে মিশে যাচ্ছে। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এই অভিযোগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ, অর্ধশতাধিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সাবেক সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে নগর ভবন মিলনায়তনে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। 

এ সময় তিনি কৃষকদের জমির ফসল ও লক্ষাধিক পরিবারের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর প্রতিকারের দাবি জানান। অন্যথায় কুসিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা নগরীর পয়ঃ ও পানি ৩টি খাল দিয়ে দক্ষিণের ডাকাতিয়া নদীতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এসব খালের পানির সঙ্গে ইপিজেডের বিষাক্ত রাসায়নিক তরল বর্জ্য দিশাবন্দ, ঢুলিপাড়া, কাজীপাড়া, উত্তর হীরাপুর, শ্রীবল্লভপুর, গোপীনাথপুর, দক্ষিণ রামপুর, দুর্গাপুর, হোসেনপুর, নোয়াপাড়া, শ্রীনিবাস, উত্তর বিজয়পুর, ছনগাঁওসহ শহরের দক্ষিণাংশের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষি জমি, খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে মিশছে। এ ছাড়া দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকার সফিউল আলম স্টিল মিল ও বাতাবাড়িয়া এলাকার সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্য এসব এলাকার পানিতে মিশে একাকার হয়ে কৃষি জমির ফসল, গাছ-পালা, বাড়িঘর ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এর প্রতিকার করা না গেলে শহরের দক্ষিণের অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকার মানুষজনকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। 

কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, এ বিষয়ে শিগগির একটি কমিটি করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে সার্ভে করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে এবং প্রতিকারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করলেও তারা ২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে না, বাকি বর্জ্য শোধন ছাড়াই ড্রেনে ছেড়ে দেওয়ায় এমন ক্ষতি হচ্ছে। তারা কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তিনিও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইপিজেডের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে এর প্রতিকারের উদ্যোগ নেবেন বলে ভুক্তভোগী এলাকার জনগণকে আশ্বস্ত করেন। 
 
কুমিল্লা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। আমরা নিজেদের বর্জ্য নিজেরা নিয়ন্ত্রণে রাখি। কুমিল্লা শহরের পানি ও বর্জ্য ইপিজেডের পাশের বড় ড্রেন দিয়ে খালে প্রবাহিত হয়ে একাকার হয়। নগরীর পানি প্রবাহের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হলে পরিবেশ দূষণ কমে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত