
৩৫ বছরের পৌরসভা, কিন্তু নেই একটি ডাম্পিং স্টেশন। ফলে মহাসড়কের পাশেই ফেলে রাখা হয় বর্জ্য, দেখে মনে হবে যেন ময়লার বেড়িবাঁধ। এভাবেই পচা গন্ধ আর বিষাক্ত জীবনের সঙ্গে বসবাস পটিয়াবাসীর। একদিকে পরিবেশ ধ্বংস, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যের চরম ঝুঁকি।

ঢাকা-মাওয়া ব্যস্ততম সড়কের ওপর স্থাপিত ময়লার ভাগাড়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। দুর্গন্ধ ছাড়াও এ বর্জ্যের কারণে সড়ক সংকুচিত হওয়ায় প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এলাকাবাসী দ্রুত এটি অন্যত্র নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বাজারের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন পাশের জুড়ী নদীতে ফেলেন ময়লা-আবর্জনা। এসব বর্জ্য কোনো বাধা ছাড়াই গিয়ে পড়ছে দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরে। এতে যেমন নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, তেমনি বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে হাওর।