রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বিভিন্ন অংশ এবং শাখা খালে ভেসে উঠেছে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে রং পরিবর্তন হয়ে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে। রাউজান, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন খাল হয়ে এসব বর্জ্য নদীতে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে হালদা নদীর মা মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) এবং চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে হালদা ও ১৭টি শাখা খালে দূষণ প্রতিরোধে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ব্যয়ে নদীতে মাইকিং করা হয়। তবে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও কোরবানির পশুর বর্জ্যে নদী রক্ষা করা যায়নি।
হালদার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, ‘হালদা আমাদের সম্পদ। আমরা যারা এই নদীর ডিম আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করি, তারা কেউ নদীতে পশুর বর্জ্য ফেলবে না। শাখা খালগুলো হয়ে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি নদীতে আসছে। হালদার পানি বিবর্ণ হয়ে উঠেছে।’
এদিকে, ফটিকছড়ির হালদার শাখা খালে কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে নদী দূষণের ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলার বাদী ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘নদী পরিব্রাজক চট্টগ্রাম মোহনা’ হালদা নদী থেকে ৫৫ টির বেশি কোরবানির পশুর নাড়িভুঁড়ি অপসারণ করেছে। এ ছাড়া রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার গঠিত টিম নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য তুলে মাটি চাপা দেয়।
রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, ‘আমরা মাইকিং করে সচেতনতা প্রচার করেও রক্ষা করতে পারিনি। এরপরও নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি ভেসে থাকতে দেখা গেছে। আমাদের একটি টিম তা অপসারণ করে মাটি চাপা দিয়েছে।’
হালদা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা নদীর প্রায় ১৯টি শাখা খাল দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি প্রবেশ করে নদীর পানি দূষিত হয়ে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে। এতে অক্সিজেন কমে গিয়ে অ্যামোনিয়া তৈরি হচ্ছে, যা মাছ ও জীববৈচিত্র্যের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’
গবেষকদের মতে, এই ধরনের দূষণকে ‘ইউট্রোফিকেশন’ বলা হয়, যা নদীর ইকোসিস্টেমের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বুধবার পর্যন্ত বড় মাছ কিংবা গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যুর খবর না মিললেও, সোমবার নদীর উপরাংশে ছোট মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির ঈদে একই ঘটনা ঘটে, যা সত্যিই দুঃখজনক। হালদার জলজ বাস্তুতন্ত্রকে দূষণমুক্ত রাখতে প্রশাসনিকভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মাছ, ডলফিনসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী নিরাপদে বাস করতে পারে।’
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বিভিন্ন অংশ এবং শাখা খালে ভেসে উঠেছে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে রং পরিবর্তন হয়ে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে। রাউজান, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন খাল হয়ে এসব বর্জ্য নদীতে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে হালদা নদীর মা মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) এবং চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে হালদা ও ১৭টি শাখা খালে দূষণ প্রতিরোধে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ব্যয়ে নদীতে মাইকিং করা হয়। তবে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও কোরবানির পশুর বর্জ্যে নদী রক্ষা করা যায়নি।
হালদার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, ‘হালদা আমাদের সম্পদ। আমরা যারা এই নদীর ডিম আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করি, তারা কেউ নদীতে পশুর বর্জ্য ফেলবে না। শাখা খালগুলো হয়ে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি নদীতে আসছে। হালদার পানি বিবর্ণ হয়ে উঠেছে।’
এদিকে, ফটিকছড়ির হালদার শাখা খালে কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে নদী দূষণের ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলার বাদী ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘নদী পরিব্রাজক চট্টগ্রাম মোহনা’ হালদা নদী থেকে ৫৫ টির বেশি কোরবানির পশুর নাড়িভুঁড়ি অপসারণ করেছে। এ ছাড়া রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার গঠিত টিম নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য তুলে মাটি চাপা দেয়।
রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, ‘আমরা মাইকিং করে সচেতনতা প্রচার করেও রক্ষা করতে পারিনি। এরপরও নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি ভেসে থাকতে দেখা গেছে। আমাদের একটি টিম তা অপসারণ করে মাটি চাপা দিয়েছে।’
হালদা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা নদীর প্রায় ১৯টি শাখা খাল দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি প্রবেশ করে নদীর পানি দূষিত হয়ে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে। এতে অক্সিজেন কমে গিয়ে অ্যামোনিয়া তৈরি হচ্ছে, যা মাছ ও জীববৈচিত্র্যের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’
গবেষকদের মতে, এই ধরনের দূষণকে ‘ইউট্রোফিকেশন’ বলা হয়, যা নদীর ইকোসিস্টেমের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বুধবার পর্যন্ত বড় মাছ কিংবা গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যুর খবর না মিললেও, সোমবার নদীর উপরাংশে ছোট মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির ঈদে একই ঘটনা ঘটে, যা সত্যিই দুঃখজনক। হালদার জলজ বাস্তুতন্ত্রকে দূষণমুক্ত রাখতে প্রশাসনিকভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মাছ, ডলফিনসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী নিরাপদে বাস করতে পারে।’
বান্দরবান জেলায় এনসিপির ২৯ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মো. শহীদুর রহমান সোহেলকে প্রধান সমন্বয়কারী করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। গত ৫ জুন এসসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি
২১ মিনিট আগেমাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের খাগছাড়া গ্রামে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
২২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচি আহ্বানের কারণে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে দশমিনা সদর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ জরুরি অবস্থা চলবে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত।
২৮ মিনিট আগেরাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যুর সাত বছর পার হলেও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষের জীবনে আসেনি নিরাপত্তা। এখনো থেমে নেই পাহাড় কাটা ও ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের মতো পরিবেশবিনাশী কার্যক্রম।
১ ঘণ্টা আগে