ফরিদা আখতার বলেন, ‘এ নদীর পোনাগুলো মুক্তার মতো। এখান থেকে বছরে শত শত কোটি টাকার মাছ উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু দূষণের কারণে হালদার মা মাছ এখন একবারই ডিম দেয়, আগে দিত তিনবার। এটা বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বিভিন্ন অংশ এবং শাখা খালে ভেসে উঠেছে কোরবানির পশুর চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে রং পরিবর্তন হয়ে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ফেলা হয়েছে হালদা নদীর শাখা তেলপারই খালে। খালে ফেলা চামড়ায় ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। এতে মারাত্মক দূষণের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে রুইজাতীয় মা মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ২টার পর থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করেন ডিম সংগ্রহকারীরা।