দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে রুইজাতীয় মা মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ২টার পর থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত দুইটার দিকে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া
এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার মুহূর্তে আবারও পেটে ডিমসহ মা মাছ মাছের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত মৃগেল মাছটি উদ্ধার করে স্থানীয় কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী। মাছটির ওজন ৫ কেজি ১০০ গ্রাম।
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার আগে প্রায় ৫ কেজির একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। রোববার বেলা তিনটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মাদার্শার মুন্সিমাঝির ঘাটের পাশে নদীতে মৃত কাতলা মাছ ভাসতে দেখে এটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারী রোসাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ আনোয়ার।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বারোমাসিয়া খালের গতি পরিবর্তন করে হালদা নদীর পানি উত্তোলনের অভিযোগে হালদা ভ্যালি চা-বাগানে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় বারোমাসিয়া খালে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। অভিযান চলাকালে পানি
হালদা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এখানে প্রজনন মৌসুমে রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউশসহ মিঠাপানির সব মাছ ডিম দেয়। হালদার রেণুর কদর সারা দেশে। হালদার পোনা মাছচাষির কাছে অমূল্য সম্পদ। তবে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে ৮৭ প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য হালদা আজ সংকটে। বলা চলে হ
হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামে রাউজানের হালদা থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার হালদা নদীর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন কাগতিয়া খালে ভেসে যাওয়ার সময় মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এটি ৪৫তম মৃত ডলফিন।
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পারে গড়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা। রাউজান অংশে ইটভাটার মাটির জোগান দিতে কাটা হচ্ছে নদীর পাড়। বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি আনতে নদীতে ব্যবহার করা হচ্ছে যান্ত্রিক নৌকা। ভাটাগুলোর শ্রমিকেরা হালদায় মাছ শিকার করছেন—এসব কারণে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীববৈচিত্র্
হাটহাজারীর হালদা নদীর রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মরা অর্ধগলিত ডলফিন ভেসে উঠেছে। ডলফিনটি উদ্ধার করে সুরতহাল তথা নমুনা সংগ্রহ করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতের আদেশে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর সব বালুমহাল ইজারা প্রদান, বালু ও মাটি উত্তোলন, চর কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে এই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় হালদা নদীর পাড় কাটা হচ্ছে। এতে ক্রমেই অরক্ষিত হচ্ছে হালদা। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এ নদী।
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদায় ভেসে উঠছে মৃত মা মাছ। এতে উদ্বিগ্ন ডিম সংগ্রহকারীরাসহ সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাখা খাল দিয়ে কলকারখানার বর্জ্যে নদীদূষণ ও মৎস্য শিকারিদের নিয়ম না মানার কারণে মা মাছের মৃত্যু ঘটছে। তা ছাড়া নদীর ফটিকছড়ির ভূজপুর ও হারুয়ালছড়ি এলাকার দুই রাবার ড্যাম
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ভাসতে থাকা দুটি মৃত মা কাতল মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন হালদা নদীর কুমারখালী ঘাট এলাকা থেকে মা কাতল দুটি উদ্ধার করেন।
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়লেও এখনো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি মা মাছ। গত কয়েক দিন সকালের বজ্রসহ বৃষ্টি এবং সোমবার শুরু হওয়া পূর্ণিমার তিথি বা জোতে ডিম ছাড়ার আশা করছেন ডিম আহরণকারীরা।
মহামান্য হাইকোর্ট নদীকে ‘জীবন্তসত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালে ৩৫০৩ / ২০০৯ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে নদ-নদী সংরক্ষণ বিষয়ে হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশনা জারি করেন। সংবিধানের ১৮ (ক) ধারায় উল্লেখ আছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্
কুয়াইশ খাল, কৃষ্ণ খাল ও কাটাখালী খালের বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী। শিল্পবর্জ্যের দূষণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠেকানো গেলেও, গৃহস্থালি ও পোলট্রি বর্জ্য নদীটির জীববৈচিত্র্য নষ্ট করছে। এ কারণে দেশের ‘স্বাস্থ্য’ হিসেবে পরিচি
হালদা নদীর পূর্ব পাশের রাউজান অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমনকি দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জমে থাকা বর্জ্য গিয়ে পড়ে নদীতে। এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদার রাউজান অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্