রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে রুইজাতীয় মা মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ২টার পর থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটানা ডিম সংগ্রহ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
আজ বেলা ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদা নদীর গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, হালদা নদী হাটহাজারী অংশ মাদার্শা আমতুয়া এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে পুরোদমে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। পরে ডিম হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ শুরু করেন। এ ছাড়া রাউজানের আজিমেরঘাট, পশ্চিম গহিরার মোবারকখীল এলাকায় ডিম সংগ্রহের ধুম লাগে।
জানা গেছে, প্রায় ৩০০ নৌকা নিয়ে গত বুধবার থেকে হালদা নদীতে অপেক্ষায় ছিলেন ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী। তিন দিন ধরে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নির্ঘুম রাত কাটান। এর আগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল দুই দফায় স্বল্প পরিমাণে ডিম ছাড়ে মা মাছ। স্বল্প পরিমাণ হওয়ায় একে নমুনা ডিম বলেন সংগ্রহকারীরা।
ডিম সংগ্রহকারী মো. হাসান, সোহেল, মুন্না জানান, গত মঙ্গলবার ও গতকাল হালদা নদীতে কয়েকটি নৌকায় কিছু নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। পরে নদীতে শতাধিক নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া, বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হওয়ায় হালদা নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল রাত ২টার দিকে হালদা নদীতে পরিপূর্ণভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে।
হালদার প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর জানান, তাঁরা ডিম সংগ্রহের জন্য গত বুধবার সকাল থেকে নৌকা নিয়ে হালদায় অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল রাত ২টা থেকে নদীতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে বৃষ্টি ও আবহাওয়া উত্তপ্ত এবং নদীতে পানি বেশি থাকায় অনেক ডিম স্রোতে চলে গেছে। এরপরও প্রতিটি নৌকা ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে।
রাউজান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, রাতে হালদার মা মাছ ডিম ছেড়েছে। রাতভর ডিম সংগ্রহ চলেছে। এখনো নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন মাস হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। মৌসুমের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে নদীতে পানি বাড়ে। আর এতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা নদীতে গতকাল রাতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। প্রায় ৩০০ নৌকা নিয়ে অন্তত ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করে। কী পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে, এর হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ডিম ভালো পাওয়া যাবে।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল আনুমানিক রাত ২টার পর থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। সকাল ৭টা পর্যন্ত হালদা নদীর দুই পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেছেন। এতে ডিম সংগ্রহকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল হালদা নদীতে বিভিন্ন স্থানে কয়েকবার সামান্য পরিমাণে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।’
হালদা গবেষকেরা জানান, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জোয়ার থাকতে হবে। একই সময়ে নদীর স্থানীয় ও খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে হবে। ফলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে। উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুইজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে রুইজাতীয় মা মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ২টার পর থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটানা ডিম সংগ্রহ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
আজ বেলা ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদা নদীর গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, হালদা নদী হাটহাজারী অংশ মাদার্শা আমতুয়া এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে পুরোদমে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। পরে ডিম হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ শুরু করেন। এ ছাড়া রাউজানের আজিমেরঘাট, পশ্চিম গহিরার মোবারকখীল এলাকায় ডিম সংগ্রহের ধুম লাগে।
জানা গেছে, প্রায় ৩০০ নৌকা নিয়ে গত বুধবার থেকে হালদা নদীতে অপেক্ষায় ছিলেন ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী। তিন দিন ধরে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নির্ঘুম রাত কাটান। এর আগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল দুই দফায় স্বল্প পরিমাণে ডিম ছাড়ে মা মাছ। স্বল্প পরিমাণ হওয়ায় একে নমুনা ডিম বলেন সংগ্রহকারীরা।
ডিম সংগ্রহকারী মো. হাসান, সোহেল, মুন্না জানান, গত মঙ্গলবার ও গতকাল হালদা নদীতে কয়েকটি নৌকায় কিছু নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। পরে নদীতে শতাধিক নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া, বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হওয়ায় হালদা নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল রাত ২টার দিকে হালদা নদীতে পরিপূর্ণভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে।
হালদার প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর জানান, তাঁরা ডিম সংগ্রহের জন্য গত বুধবার সকাল থেকে নৌকা নিয়ে হালদায় অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল রাত ২টা থেকে নদীতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে বৃষ্টি ও আবহাওয়া উত্তপ্ত এবং নদীতে পানি বেশি থাকায় অনেক ডিম স্রোতে চলে গেছে। এরপরও প্রতিটি নৌকা ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে।
রাউজান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, রাতে হালদার মা মাছ ডিম ছেড়েছে। রাতভর ডিম সংগ্রহ চলেছে। এখনো নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন মাস হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। মৌসুমের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে নদীতে পানি বাড়ে। আর এতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা নদীতে গতকাল রাতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। প্রায় ৩০০ নৌকা নিয়ে অন্তত ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করে। কী পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে, এর হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ডিম ভালো পাওয়া যাবে।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল আনুমানিক রাত ২টার পর থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। সকাল ৭টা পর্যন্ত হালদা নদীর দুই পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেছেন। এতে ডিম সংগ্রহকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল হালদা নদীতে বিভিন্ন স্থানে কয়েকবার সামান্য পরিমাণে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।’
হালদা গবেষকেরা জানান, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জোয়ার থাকতে হবে। একই সময়ে নদীর স্থানীয় ও খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে হবে। ফলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে। উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুইজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
বগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। এ কারণে ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তার ...
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের দুলাল হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজের সন্ধানে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। জুটেছিল কাজও। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর উত্তরায় মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। তবে যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন, তা এখন ফিকে...
১ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আবুল বাশার সুজন। এর আগে ছিলেন পশুর হাটের ইজারাদার। অল্প সময়ের মধ্যেই ফারুকের ডান হাত হন। কিছুদিন পর তানোর পৌরসভার মেয়র হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুজন। সেখানে বাড়ি করেন...
২ ঘণ্টা আগেদরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগে