Ajker Patrika

হালদা ঘুরে যেটা দেখলাম, তা হাজার বই পড়েও জানা যেত না: ফরিদা আখতার

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা মোবারকখীল এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে হালদা নদী পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা মোবারকখীল এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে হালদা নদী পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘হালদা ঘুরে যেটা দেখলাম, তা হাজার বই পড়েও জানা যেত না। এটি দেশের বড় ঐতিহ্য। এ নদীতে যে প্রাকৃতিক প্রজনন হয়, তা এক বিশাল বিস্ময়। মা মাছের ডিম দেওয়াটা অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখে।’

আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা মোবারকখীল এলাকায় হালদা নদী পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নদীসংলগ্ন এলাকাবাসী, ডিম সংগ্রহকারী, স্বেচ্ছাসেবক, পাহারাদার ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘এ নদীর পোনাগুলো মুক্তার মতো। এখান থেকে বছরে শত শত কোটি টাকার মাছ উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু দূষণের কারণে হালদার মা মাছ এখন একবারই ডিম দেয়, আগে দিত তিনবার। এটা বন্ধ করতে হবে।’

হালদার দূষণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা নদীর পরিবেশদূষণ করে, তারা নির্যাতন করে। এটা আমি দূষণ বলবে না। তাদের নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলে দূষণ বন্ধ করা সহজ হবে। দূষণের বিষয়টা খুবই কষ্টকর। আমি নিজে হালদায় কালো পানি দেখেছি। গন্ধ পেয়েছি। সেটা বুড়িগঙ্গায়ও আছে। কিন্তু এখানে কেন হবে।’

তামাক চাষ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘তামাক শুধু মাছ নয়, পরিবেশের সবকিছুরই ক্ষতি করে। হালদার পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে। যাঁরা এটি করেন, তাঁদের ভিন্ন কৃষিকাজে সহায়তা করা হবে।’

ডিম সংগ্রহ বাড়াতে আরও হ্যাচারি স্থাপন, স্লুইসগেট সংস্কার, নাব্যতা রক্ষা এবং রাবার ড্যাম অপসারণের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘হালদা রক্ষায় আমাদের যা যা করা দরকার, সবই করতে হবে। এটা আমাদের গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তবে এসব কাজে নদীর পাড়ের মানুষদের সহযোগিতা করতে হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আবদুল করিম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুর রউফ, নৌ পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, হালদা গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া, প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও হালদা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী।

এর আগে সকালে গহিরা এলাকায় পোনা মাছ অবমুক্ত করেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। পরে স্পিডবোটযোগে নদীর মোহনা পর্যন্ত ঘুরে এসে চারটি ড্রোন ক্যামেরা উদ্বোধন করেন, যেগুলো হালদায় অবৈধ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ব্যবহার হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে ‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত