ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে...
২ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা...
২৯ মিনিট আগে
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’
২ ঘণ্টা আগে
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশা করছেন, এবার ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি হবে।
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দুই শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ১০টি নৌকা ও প্রায় ১ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার জন্য জেলেরা এখন নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছেন। জেলেরা জানান, এবারের অভিযান কঠোর ছিল এবং তারা সরকারের আইন মেনেই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলেন। তবে তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় বরাদ্দকৃত চাল (৪৪ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি হারে মোট ১ হাজার ১৪ মেট্রিক টন) কিছু ক্ষেত্রে অন্য পেশার লোকজনকে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তারা পুরোদমে আবার মাছ ধরা শুরু করবেন।

এবারের অভিযান সফল হয়েছে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "গতবারের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। " তিনি আশা করেন, এ বছর লক্ষ্মীপুরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেট্রিক টন হবে, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের কঠোর অভিযান অব্যাহত ।

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশা করছেন, এবার ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি হবে।
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দুই শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ১০টি নৌকা ও প্রায় ১ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার জন্য জেলেরা এখন নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছেন। জেলেরা জানান, এবারের অভিযান কঠোর ছিল এবং তারা সরকারের আইন মেনেই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলেন। তবে তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় বরাদ্দকৃত চাল (৪৪ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি হারে মোট ১ হাজার ১৪ মেট্রিক টন) কিছু ক্ষেত্রে অন্য পেশার লোকজনকে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তারা পুরোদমে আবার মাছ ধরা শুরু করবেন।

এবারের অভিযান সফল হয়েছে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "গতবারের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। " তিনি আশা করেন, এ বছর লক্ষ্মীপুরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেট্রিক টন হবে, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের কঠোর অভিযান অব্যাহত ।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা...
২৯ মিনিট আগে
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’
২ ঘণ্টা আগে
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকও বিএনপিতে যোগদান করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামত’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে। জনসভার প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বিধান চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সবুজ, আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এইচএম ইদ্রীস আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহারিয়ার আলম রনি, কৃষক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম এবং কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মতিনুর রহমান মতিন প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকও বিএনপিতে যোগদান করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামত’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে। জনসভার প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বিধান চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সবুজ, আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এইচএম ইদ্রীস আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহারিয়ার আলম রনি, কৃষক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম এবং কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মতিনুর রহমান মতিন প্রমুখ।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে...
২ মিনিট আগে
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’
২ ঘণ্টা আগে
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চারটি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় শহীদ মিনার মঞ্চে মানবকল্যাণ সংস্থা ‘ইনসাফ’-এর আয়োজনে এই বিয়ে চারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পূর্ণ বিনা যৌতুকে ও নামমাত্র খরচে আয়োজিত এই বিয়ের আয়োজন স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল উলামা নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি মাওলানা উবায়দুর রহমান। বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ।
ইনসাফ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বিয়েতে অযথা আড়ম্বর ও ব্যয়বহুল আয়োজনের কারণে অনেক যুবক বিয়ে করতে সাহস পান না। এই পরিস্থিতিতে ইসলামি রীতি মেনে, স্বল্প খরচে ও সম্পূর্ণ যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন শুরু করেছে সংস্থাটি।
যৌতুকবিহীন বিয়েতে অংশ নেন চার যুগল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন,
প্রথম যুগল—পশ্চিম শিমুলতলা গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ও ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী এবং বাগিচাপুর গ্রামের বজলুর রশিদের মেয়ে আলেমা মোছাম্মদ হাবিবা।
দ্বিতীয় যুগল—নাকশী গ্রামের সাইফুল আলমের ছেলে ও ইনসাফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হাসান এবং ফুলপুর বান্দেরবাজার গ্রামের রূপচাঁদ মিয়ার মেয়ে মোছা. ইভা ইসলাম।
তৃতীয় যুগল—বাইপাস দক্ষিণ কালিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং গাজির খামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রেশমা।
চতুর্থ যুগল—ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলি আহসান মোজাহিদ এবং ফুলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জাকিয়া খাতুন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আল্লামা মুফতি ওয়াহিদুল আলম, মুফতি শহীদুল্লাহ মাহমুদ এবং নালিতাবাড়ী নূর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আরিফুর রহমান।
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চারটি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় শহীদ মিনার মঞ্চে মানবকল্যাণ সংস্থা ‘ইনসাফ’-এর আয়োজনে এই বিয়ে চারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পূর্ণ বিনা যৌতুকে ও নামমাত্র খরচে আয়োজিত এই বিয়ের আয়োজন স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল উলামা নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি মাওলানা উবায়দুর রহমান। বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ।
ইনসাফ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বিয়েতে অযথা আড়ম্বর ও ব্যয়বহুল আয়োজনের কারণে অনেক যুবক বিয়ে করতে সাহস পান না। এই পরিস্থিতিতে ইসলামি রীতি মেনে, স্বল্প খরচে ও সম্পূর্ণ যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন শুরু করেছে সংস্থাটি।
যৌতুকবিহীন বিয়েতে অংশ নেন চার যুগল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন,
প্রথম যুগল—পশ্চিম শিমুলতলা গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ও ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী এবং বাগিচাপুর গ্রামের বজলুর রশিদের মেয়ে আলেমা মোছাম্মদ হাবিবা।
দ্বিতীয় যুগল—নাকশী গ্রামের সাইফুল আলমের ছেলে ও ইনসাফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হাসান এবং ফুলপুর বান্দেরবাজার গ্রামের রূপচাঁদ মিয়ার মেয়ে মোছা. ইভা ইসলাম।
তৃতীয় যুগল—বাইপাস দক্ষিণ কালিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং গাজির খামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রেশমা।
চতুর্থ যুগল—ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলি আহসান মোজাহিদ এবং ফুলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জাকিয়া খাতুন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আল্লামা মুফতি ওয়াহিদুল আলম, মুফতি শহীদুল্লাহ মাহমুদ এবং নালিতাবাড়ী নূর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আরিফুর রহমান।
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে...
২ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা...
২৯ মিনিট আগে
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সপ্তাহ দুয়েক পর শুরু হবে পুরোদমে আম ধান কাটা-মাড়াই। কৃষকের গোলায় উঠবে নতুন আমন ধান। এর মধ্যে মাজরা ও কারেন্ট পোকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমনচাষিরা। মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। বেশ কিছু জমিতে ধানগাছ শুকিয়ে গেছে। কৃষকেরা ফসলের মাঠে ওষুধ স্প্রে করছেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
মাদিলা হাট এলাকার কৃষক আবু সালেহ ও আলাদীপুর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘জমিতে পোকার আক্রমণে চরম সমস্যায় পড়েছি। ধানের শিষ বের হয়েছে, অথচ জমিতে এখন কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, তবু পোকার হাত থাকে রেহাই মিলছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, তালিকাভুক্ত কিছু নির্দিষ্ট কৃষক ছাড়া কৃষি কর্মকর্তা কিংবা মাঠকর্মীরা তাঁদের কোনো খোঁজ রাখেন না। ফলে কীটনাশকের দোকানদারেরা যে ওষুধ দেন, তা জমিতে স্প্রে করা হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাঁপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ বিভিন্ন আগাম জাতের ধান ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের এসব আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আবওহাওয়ার কারণে এবার একটু বেশি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে (৩৪) সুগন্ধি ধান যেহেতু শেষে পাকে, তা নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত।
কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে। আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কৃষকদের ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।

সপ্তাহ দুয়েক পর শুরু হবে পুরোদমে আম ধান কাটা-মাড়াই। কৃষকের গোলায় উঠবে নতুন আমন ধান। এর মধ্যে মাজরা ও কারেন্ট পোকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমনচাষিরা। মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। বেশ কিছু জমিতে ধানগাছ শুকিয়ে গেছে। কৃষকেরা ফসলের মাঠে ওষুধ স্প্রে করছেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
মাদিলা হাট এলাকার কৃষক আবু সালেহ ও আলাদীপুর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘জমিতে পোকার আক্রমণে চরম সমস্যায় পড়েছি। ধানের শিষ বের হয়েছে, অথচ জমিতে এখন কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, তবু পোকার হাত থাকে রেহাই মিলছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, তালিকাভুক্ত কিছু নির্দিষ্ট কৃষক ছাড়া কৃষি কর্মকর্তা কিংবা মাঠকর্মীরা তাঁদের কোনো খোঁজ রাখেন না। ফলে কীটনাশকের দোকানদারেরা যে ওষুধ দেন, তা জমিতে স্প্রে করা হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাঁপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ বিভিন্ন আগাম জাতের ধান ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের এসব আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আবওহাওয়ার কারণে এবার একটু বেশি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে (৩৪) সুগন্ধি ধান যেহেতু শেষে পাকে, তা নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত।
কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে। আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কৃষকদের ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে...
২ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা...
২৯ মিনিট আগে
ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’
২ ঘণ্টা আগে