Ajker Patrika

ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৩৫ রোহিঙ্গা আটক 

হাতিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ২৯
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৩৫ রোহিঙ্গা আটক 

ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে আবারও নিজ নিজ আবাসস্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে আটকের পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়। 

জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় ৩৫ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করেছেন কোস্টগার্ড ও এপিবিএনের সদস্যরা। তাঁরা সবাই ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণের ৫০ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করেন। তাঁদের আটক করে ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে ভাসানচরে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাঁদের নিজ নিজ ক্লাস্টারে ফেরত পাঠান। 

এ বিষয়ে ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। তাঁদের রাতে একটি ট্রলারে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য আগেই তারা ভাসানচরের দক্ষিণ পাশে কেওড়াবাগানে অপেক্ষা করছিল। পরে তাদের সতর্ক করে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। 

ভাসানচর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত রোববার দিবাগত রাতের কোনে এক সময় ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ক্লাস্টার থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায় ৩৫ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে ভাসানচর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ জঙ্গলে অভিযান চালান এপিবিএন ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় ওই জঙ্গল থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে ভাসানচর থানার পুলিশের মাধ্যমে আটককৃতদের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। 

এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ছয়টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে। 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে। যাতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

র‍্যাবের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র সিয়াম মাদক কারবারি নয়, দাবি পরিবারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত