Ajker Patrika

হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, বৃষ্টি হলে ছাড়তে পারে পুরোদমে

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা মাছের ডিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা মাছের ডিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের নাপিতের ঘাট থেকে শুরু করে গড়দোয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকার কিছু অংশে সামান্য পরিমাণে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। নয়াহাটকুম এলাকায় শহীদুল্লাহ, ইউনূছ মুন্সি ও কাদের, কাটাখালী স্লুইসগেট এলাকায় হাসান, রামদাস হাটে ইকবাল ও মাছুয়াঘোনা স্লুইসগেট এলাকায় হোসেন কিছু ডিম সংগ্রহ করেছেন।

হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত মৌসুম সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। এ সময় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে নদীতে ঢলের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় আর এতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এপ্রিলে দুটি তিথি চলে গেলেও মা মাছ ডিম ছাড়েনি। এখন কয়েক দিন ধরে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া, বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হওয়ায় নদীতে ঢলের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে হালদার মৎস্য সম্পদের ওপর। এর প্রভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে হালদা থেকে সংগৃহীত ডিমের পরিমাণ ব্যাপক হারে কমেছে।

এই গবেষক জানান, এবার চতুর্থ অমাবস্যার জো বা তিথিতে নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। এই জো চলবে ২৫ থেকে ২৯ মে। আজ রাতে পুরোদমে ডিম ছাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনুকূল পরিবেশ না পেলে এই জোতে পুরোদমে ডিম না ছাড়লে পরবর্তী পূর্ণিমার জোতে ৮ থেকে ১৪ জুন ডিম ছাড়বে কার্প জাতীয় মা মাছ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে হালদা নদীর কয়েকটি স্থানে ৫০-৬০টি নমুনা ডিম পাওয়া গেছে। আশা করা যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার বৃষ্টি হলে মা মাছ নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে।’

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান আজ দুপুরের দিকে জানান, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে হালদায় এবার আশানুরূপ ডিম পাওয়া যাবে। নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য সরকারি হ্যাচারিগুলো ইতিমধ্যে সংস্কার ও প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজহারুলের আপিলে তাজুলের প্রসিকিউশন টিম, স্বার্থের সংঘাত দেখছেন ডেভিড বার্গম্যানও

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত