Ajker Patrika

বিলুপ্তপ্রায় ১৭ প্রজাতির মাছ

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৪৩
Thumbnail image

চট্টগ্রাম শহরের আশপাশের পাঁচ নদী থেকে গত এক দশকে অন্তত ১৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে চলে গেছে। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) দুজন শিক্ষকের গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০০০ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু, শিকলবাহা ও চাঁদখালী নদীতে এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন আইআইইউসির সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নদী গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন নদী গবেষক ড. মোহাম্মদ আরশাদ উল আলম।

গবেষণায় পাঁচ নদীতে মোট ১৩০ প্রজাতির মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়ার খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ১১২ প্রজাতির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি ও কাঁকড়া রয়েছে। ১১২ প্রজাতির মাছের মধ্যে নাইলোটিকা মাছকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৬ প্রজাতির মাছ বিপন্ন এবং ১১ প্রজাতির মাছ অস্তিত্বের হুমকিতে রয়েছে।

বিপন্ন অবস্থায় থাকা দেশীয় মাছের মধ্যে আছে বাইম, অলুয়া, গ্যাং মাগুর, গুলশা, ট্যাংরা, বাগাড়, চরপমহাল, নাককাটা, ঢেলা, শিং ওয়ালা রুই, ছেপচেলা, কালাবাটা, ঘোড়াচেলা, শিলবাইলা, চ্যাং মাছ, টাকি, ভোটবাইলা, শোলসহ বেশ কিছু মাছ।

গবেষণায় দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীতে ১১০ প্রজাতির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি-কাঁকড়া আছে। সাঙ্গু নদীতে আছে ১১১ প্রজাতির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি-কাঁকড়া। এ ছাড়া শিকলবাহা নদীতে ৭৪ প্রজাতির মাছ ও ১১ প্রজাতির চিংড়ি-কাঁকড়া এবং চাঁদখালী নদী থেকে ৭২ প্রজাতির মাছ ও ১১ প্রজাতির চিংড়ি-কাঁকড়ার অস্তিত্ব রেকর্ড করা হয়েছে। একইভাবে হালদায় ৮৩ প্রজাতির মাছ ও ১০ প্রজাতির চিংড়ি-কাঁকড়া পাওয়া গেছে। গবেষকেরা এসব মাছ ২০টি বর্গ (Order) ও ৪৭টি পরিবারে (Family) ভাগ করেছেন।

জেলা মৎস্য বিভাগের জরিপ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নদীতে কলকারখানার বর্জ্য প্রবাহের কারণে মাছের খাদ্য ও ডিম নষ্ট হয়। ফলে মাছের উৎপাদন কমে বিলুপ্ত হয়। সাঙ্গু নদীতে এখন ৮ প্রজাতির মাছ একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। স্বল্প পরিমাণে এখনো টিকে আছে ৩০ প্রজাতির, বিপন্নপ্রায় ১২ প্রজাতির মাছ।

চট্টগ্রামে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন মাহবুবুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি এসব বিলুপ্ত মাছের কিছু কিছু কালচার তৈরির। এর মধ্যে অনেক মাছের কালচার তৈরি করা হয়েছে। কেসকি মাছের কালচার তৈরি প্রক্রিয়াধীন। গুইল্যা মাছের কালচার এখন চাষ পর্যায়ে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত