মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামত ও পুনর্নির্মাণে এ মানবিক সহায়তা বরাদ্দ দেওয়ার কথা। অথচ অধিকাংশই পেয়েছেন সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা ও সচ্ছল মানুষ।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘর নির্মাণের জন্য ৪০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। পরে ইউএনও কার্যালয় থেকে ১৬ জনের নামে ২৪ বান্ডিল টিন ও প্রতি বান্ডিলে ৩ হাজার করে ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে সচ্ছলদের বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেও টাকা ও টিন নেওয়া হয়।
বরাদ্দের তালিকায় দেখা গেছে, ২ নম্বরে থাকা মনির আহাম্মদ ইউএনও কার্যালয়ের গাড়িচালক রাহাত হোসেনের বাবা। তিনি পেয়েছেন দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। ৬ নম্বরে থাকা রাজিয়া সুলতানার স্বামী মায়েদুল ইসলাম মাদু যুবলীগের স্থানীয় নেতা। তাঁর বসতবাড়ি পাকা ভবনের হলেও তাঁকে দেওয়া হয়েছে দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। টিনগুলো দিয়ে মায়েদুল গরুর ঘরের চাল বানিয়েছেন।
এ নিয়ে কথা হলে মায়েদুল বলেন, ‘আমার ছেলে রাকিবুল ইসলাম তদবির করে ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে টিন ও টাকা বরাদ্দ এনেছেন। বসতঘর পাকা হওয়ায় এগুলো দিয়ে গরুর ঘরের চাল মেরামত করেছি।’
তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছেন পৌরসভার মধুপুর গ্রামের সামছুন নাহার। তাঁর স্বামী মফিজ উল্যা সদ্য বিদেশফেরত। এখনো তিন ছেলে প্রবাসে রয়েছেন। তাঁদের বাস পাকা ভবনে। তাঁর নামে বরাদ্দ হয়েছে দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। তবে তাঁর দাবি, এগুলো তিনি নেননি।
সামছুন নাহার বলেন, ‘মধুপুরে জমি কিনে পাকা ভবন করে আমরা বসবাস করছি। বন্যার সময় স্থানীয় একজনের মাধ্যমে আমার এনআইডি কার্ডটি নেওয়া হয়। পরে জানতে পারি, ওই কার্ডটি দিয়ে ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মোবারক হোসেন দুই বান্ডিল টিন ও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।’
একই কথা জানিয়েছেন তালিকার ১৩ নম্বরে থাকা খোকন চন্দ্র দাস। তিনিও কোনো টিন বা টাকা পাওয়ার কথা জানেন না। অথচ তাঁর নামেই উত্তোলন দেখানো হয়েছে ৫ হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল টিন।
এদিকে স্থানীয় সমাজকর্মী নাসির আল ইমরান অভিযোগ করেছেন, এ অনিয়মের ঘটনা ফেসবুকে তুলে ধরায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি গরিবের হক আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল হাই খান বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের আগে বরাদ্দগুলো এসেছে। যাচাই করে কয়েকটি অনিয়ম পাওয়া গেছে। এগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, ‘অসহায় ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা সচ্ছলদের পাওয়ার সুযোগ নেই। কয়েকজনকে বিশ্বাস করে বরাদ্দ দেওয়ায় এমনটি হয়েছে। তালিকায় থাকা কয়েকটি নামের বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। সচ্ছলদের নাম বাতিল করে ওই টিন ও টাকা উদ্ধার করে অসচ্ছলদের দেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামত ও পুনর্নির্মাণে এ মানবিক সহায়তা বরাদ্দ দেওয়ার কথা। অথচ অধিকাংশই পেয়েছেন সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা ও সচ্ছল মানুষ।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘর নির্মাণের জন্য ৪০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। পরে ইউএনও কার্যালয় থেকে ১৬ জনের নামে ২৪ বান্ডিল টিন ও প্রতি বান্ডিলে ৩ হাজার করে ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে সচ্ছলদের বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেও টাকা ও টিন নেওয়া হয়।
বরাদ্দের তালিকায় দেখা গেছে, ২ নম্বরে থাকা মনির আহাম্মদ ইউএনও কার্যালয়ের গাড়িচালক রাহাত হোসেনের বাবা। তিনি পেয়েছেন দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। ৬ নম্বরে থাকা রাজিয়া সুলতানার স্বামী মায়েদুল ইসলাম মাদু যুবলীগের স্থানীয় নেতা। তাঁর বসতবাড়ি পাকা ভবনের হলেও তাঁকে দেওয়া হয়েছে দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। টিনগুলো দিয়ে মায়েদুল গরুর ঘরের চাল বানিয়েছেন।
এ নিয়ে কথা হলে মায়েদুল বলেন, ‘আমার ছেলে রাকিবুল ইসলাম তদবির করে ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে টিন ও টাকা বরাদ্দ এনেছেন। বসতঘর পাকা হওয়ায় এগুলো দিয়ে গরুর ঘরের চাল মেরামত করেছি।’
তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছেন পৌরসভার মধুপুর গ্রামের সামছুন নাহার। তাঁর স্বামী মফিজ উল্যা সদ্য বিদেশফেরত। এখনো তিন ছেলে প্রবাসে রয়েছেন। তাঁদের বাস পাকা ভবনে। তাঁর নামে বরাদ্দ হয়েছে দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা। তবে তাঁর দাবি, এগুলো তিনি নেননি।
সামছুন নাহার বলেন, ‘মধুপুরে জমি কিনে পাকা ভবন করে আমরা বসবাস করছি। বন্যার সময় স্থানীয় একজনের মাধ্যমে আমার এনআইডি কার্ডটি নেওয়া হয়। পরে জানতে পারি, ওই কার্ডটি দিয়ে ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মোবারক হোসেন দুই বান্ডিল টিন ও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।’
একই কথা জানিয়েছেন তালিকার ১৩ নম্বরে থাকা খোকন চন্দ্র দাস। তিনিও কোনো টিন বা টাকা পাওয়ার কথা জানেন না। অথচ তাঁর নামেই উত্তোলন দেখানো হয়েছে ৫ হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল টিন।
এদিকে স্থানীয় সমাজকর্মী নাসির আল ইমরান অভিযোগ করেছেন, এ অনিয়মের ঘটনা ফেসবুকে তুলে ধরায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি গরিবের হক আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল হাই খান বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের আগে বরাদ্দগুলো এসেছে। যাচাই করে কয়েকটি অনিয়ম পাওয়া গেছে। এগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, ‘অসহায় ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা সচ্ছলদের পাওয়ার সুযোগ নেই। কয়েকজনকে বিশ্বাস করে বরাদ্দ দেওয়ায় এমনটি হয়েছে। তালিকায় থাকা কয়েকটি নামের বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। সচ্ছলদের নাম বাতিল করে ওই টিন ও টাকা উদ্ধার করে অসচ্ছলদের দেওয়া হবে।’
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৪ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে