সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হলো প্রসূতির। আজ বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই নারীর নাম কুলসুমা বেগম। তিনি সন্দ্বীপ পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের বাড়ির বাসিন্দা।
কুলসুমা বেগমের স্বামী সাইফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে রাত সাড়ে ১২টার সময় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভোর রাত ৪টার সময় সেখানকার চিকিৎসকেরা দ্রুত চিটাগং নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
রাত ৪টা ১০ মিনিটের সময় রোগী বের গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছায় সকাল ৬টায়।
নিহতের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, ‘জরুরি রোগী পারাপার করার জন্য কিছু আছে কি না জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের ভেতর থেকে জবাব দিয়ে বলে কোনো কিছু নাই, থাকলেও দেওয়া যাবে না ৭টায় জাহাজে করে নিয়ে যাইয়েন। জাহাজ সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৮টার সময় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে কুমিরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।’
স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র সুপারভাইজার ফসিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে এই রোগী রাত সাড়ে তিনটার দিকে আসে তখন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। রোগী কথা বলতে পারতে ছিল না। আসার পথে দুই তিন বার জ্ঞান হারিয়েছে। এই রোগী পূর্বেও সিজারে বাচ্চা হয়ে ছিল। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে কোনো চেক আপ করা হয় নাই। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সিজারের ক্ষেত্রে প্রসব বেদনা ওঠার ১০-১৫ দিন আগে সিজার করাতে হয় তারা সম্ভবত নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করছিল। ওইটা আমাদের কাছে লুকিয়েছে। আমাদের কর্তব্যরত গায়নি ডাক্তার রোগীকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম বা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
জরুরি রোগী পারাপারের জন্য ২৪ ঘণ্টা লাইফ বোটের ব্যবস্থা থাকলেও কেন টিকিট দেওয়া হয়নি এ নিয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাইফুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজ যদি সি অ্যাম্বুলেন্স থাকত বা দ্রুত চিটাগং নিয়ে যেতে পারতাম আমার স্ত্রী মারা যেতো না। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত রোগী পারাপারের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করুন যাতে আর কোনো প্রসূতি মায়ের মৃত্যু না হয়। ’
হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হলো প্রসূতির। আজ বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই নারীর নাম কুলসুমা বেগম। তিনি সন্দ্বীপ পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের বাড়ির বাসিন্দা।
কুলসুমা বেগমের স্বামী সাইফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে রাত সাড়ে ১২টার সময় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভোর রাত ৪টার সময় সেখানকার চিকিৎসকেরা দ্রুত চিটাগং নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
রাত ৪টা ১০ মিনিটের সময় রোগী বের গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছায় সকাল ৬টায়।
নিহতের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, ‘জরুরি রোগী পারাপার করার জন্য কিছু আছে কি না জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের ভেতর থেকে জবাব দিয়ে বলে কোনো কিছু নাই, থাকলেও দেওয়া যাবে না ৭টায় জাহাজে করে নিয়ে যাইয়েন। জাহাজ সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৮টার সময় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে কুমিরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।’
স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র সুপারভাইজার ফসিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে এই রোগী রাত সাড়ে তিনটার দিকে আসে তখন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। রোগী কথা বলতে পারতে ছিল না। আসার পথে দুই তিন বার জ্ঞান হারিয়েছে। এই রোগী পূর্বেও সিজারে বাচ্চা হয়ে ছিল। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে কোনো চেক আপ করা হয় নাই। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সিজারের ক্ষেত্রে প্রসব বেদনা ওঠার ১০-১৫ দিন আগে সিজার করাতে হয় তারা সম্ভবত নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করছিল। ওইটা আমাদের কাছে লুকিয়েছে। আমাদের কর্তব্যরত গায়নি ডাক্তার রোগীকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম বা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
জরুরি রোগী পারাপারের জন্য ২৪ ঘণ্টা লাইফ বোটের ব্যবস্থা থাকলেও কেন টিকিট দেওয়া হয়নি এ নিয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাইফুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজ যদি সি অ্যাম্বুলেন্স থাকত বা দ্রুত চিটাগং নিয়ে যেতে পারতাম আমার স্ত্রী মারা যেতো না। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত রোগী পারাপারের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করুন যাতে আর কোনো প্রসূতি মায়ের মৃত্যু না হয়। ’
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৫ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে