Ajker Patrika

ভালো ফলনের পর এবার দশমিনায় তরমুজের চাষ বাড়ল

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪: ৩৭
Thumbnail image

গত বছর তরমুজের ভালো ফলন পেয়ে এবার পটুয়াখালীর দশমিনার চাষিরা লাভের আশায় আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করছেন। এবারও ভালো ফলনের আশায় জমি প্রস্তুতে নেমেছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দশমিনায় গত বছর ৪০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়। এবার হচ্ছে ৫০০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ, আগের বছরের চেয়ে চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ। কৃষকদের তরমুজ চাষে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

গতবার ২৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন চর শাহজালাল এলাকার চাষি মো. মাসুদ। এবার তিনি ৭৫ একর জমি চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন।

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ চাষ করে লাভ করেছি ২৫ লাখ টাকা। তাই এ বছর তিন গুণ জমি তরমুজ চাষের জন্য প্রস্তুত করেছি।’

মাসুদ জানান, ভোলার চরফ্যাশনের চাষিদের কাছ থেকে চাষাবাদ শিখে দ্বিতীয়বারের মতো তরমুজ চাষ করছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শের অপেক্ষা না করে তিনি নিজে ‘ড্রাগন’ ও ‘বিগ ফ্যামিলি’ জাতের বীজ রোপণ করেছেন।

চরফ্যাশন এলাকার অনেক কৃষক দশমিনায় জমি বন্ধক নিয়ে তরমুজের চাষ করছেন। তাঁদের সঙ্গে থেকে উপজেলার সদর ইউনয়নের গোলখালী এলাকার মাহাবুল সরদার তরমুজ চাষের পদ্ধতি শিখেছেন।

মাহাবুল সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা চতুর্থবার তরমুজ চাষ করছি। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে ফলন আসা পর্যন্ত নিজ থেকে কীটনাশক, ভিটামিন, ছত্রাকনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহার করি। আমার খেতের তরমুজ ছয় থেকে আট কেজি ওজনের হয়।’

তরমুজ চাষাবাদ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, উপজেলায় চলতি বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হচ্ছে। কৃষি কার্যালয় থেকে বিনা মূল্যে সার ও কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত