মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
গ্যাজেট
সোশ্যাল মিডিয়া
নো হাউ
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
শিল্প-সাহিত্য
গল্প
কবিতা
প্রবন্ধ
রম্য
আলোচনা
শিশুতোষ
কোনো এক দিনে
বৃষ্টিহীন সোমবারের উষ্ণ সকাল। হাতুড়ে দাঁতের ডাক্তার অরিলিও এস্কোবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সকাল ৬টায় তার চেম্বার খুলল। গ্লাসকেস থেকে কিছু নকল দাঁত হাতে নিল যেগুলোর শরীরের উঁচু অংশে এখনো কিছুটা চুনকামের ছাঁচ অবশিষ্ট আছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি রাখা টেবিলের ওপর দাঁতগুলো বড় থেকে ছোট আকারে সাজাল, দেখে মনে হ
শুভাশিস সিনহার একগুচ্ছ কবিতা
অনেক অনেক দিন যাই না তোমার কাছে তুমি তো সবুজ ঘাস, ধুলোয় গিয়েছ ঢেকে...
জাকির তালুকদারের উপন্যাসে চলনবিলের দীর্ঘশ্বাস
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলনবিল। রাজশাহী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার অংশবিশেষ জুড়ে এর অবস্থান। এ বিল বিভিন্ন জলখাত দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত ছোট-বড় অনেকগুলো বিলের সমষ্টি। বর্ষাকালে তা প্রায় ৩৬৮ বর্গ কিমি বিস্তৃত একটি জলরাশিতে পরিণত হয়। ‘হাঁটতে থাকা মানুষের গান’ উপন্যাসজুড়ে ঔপন্যাসিক জাকির তালুকদার চলনবিলের
চিরকালের বাঙালি রবীন্দ্রনাথ
অনেক সময় মনে হয় রবীন্দ্রনাথ লোক ছিলেন না অতিশয় দীনহীন এই বাংলাদেশের। পৌরুষে-প্রাণে, স্বভাবে-আচরণে, উদ্যম-উদ্ভাবনায় একক তিনি, একাকীও; তাঁর সঙ্গে এ দেশের আর-পাঁচটি খর্বাকৃতি বস্তুর সাদৃশ্য নেই। মনে হয় অনেক ঊর্ধ্বে তিনি, এসেছেন ব্যত্যয় হিসেবে, অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার মতো আকস্মিকতায়, অপ্রত্যাশিত রূপে। কিন্তু
রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত দুটি ভিন্ন ভাষার কবিতা
আমি আপনার কাছ থেকে পান করিআপনি পর্বতের ঝরনাধারা,আপনি ফুঁসে উঠে নিচে নেমে আসেন দ্রুত মর্মর প্রস্তর, বাঁক ও শ্যামলিমা ধুয়ে দেন।(আপনার স্বচ্ছপুষ্পমাল্য, আপনার ফেস্টুন! ও সৌর-আভার একটি মুহূর্ত!)
বিলাতে রবীন্দ্রনাথের প্রথম ঠিকানায় পা
সম্প্রতি প্রায় দেড় শ বছর পর বিলাতে রবীন্দ্রনাথের প্রথম ঠিকানাটি খুঁজে বের করা হলো এবং সেখানে বসানো হলো একটা ফলক। সুযোগ হলো সেই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। সে গল্পটাই শোনাই।
আবুল হাসানের অনন্য আলেখ্য
আমরা যারা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে লেখালেখি শুরু করেছিলাম, তাদের মধ্যে এমন কাউকে পাওয়া কঠিন হবে, যে অবলীলায় বলে দিতে পারবে না আবুল হাসানের কবিতার পঙ্ক্তি। ‘ঝিনুক নীরবে সহো/ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্তা ফলাও!’ —এ রকম উজ্জ্বল পঙ্ক্তি মুখে মুখে ফিরত। তো, আমাদেরই
রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে ব্যাখ্যার সুযোগ রয়েছে
প্রথমেই বলি, যেকোনো শিল্পকর্ম বহুমাত্রিক ব্যাখ্যার দাবিদার। একধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় পাঠ্যপুস্তকে, যাকে প্রথাগত বলা যায়। একাডেমিক চর্চায় মাঝেমধ্যে নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, কিন্তু বেশির ভাগ একাডেমিক চর্চাই ঘুরেফিরে একই কথা বলে। ৭০-৮০ বছর ধরে চিন্তার জগতে নানা আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে। এক-দুই দশক পর পরই ন
মহাদেব সাহা: কবিতা ছাড়া যাঁর আর কোনো সম্বল নেই
কবি মহাদেব সাহার তেমন বৈষয়িক কোনো প্রত্যাশা নেই, প্রলোভনও নেই। চাইলেই উপার্জন করতে পারতেন বাড়ি-গাড়ি, উচ্চ পদ-পদবি। জীবনে বৈষয়িক তেমন কিছুই করেননি। শুধু কবিতায় সমর্পণ করেছেন নিজেকে। কবিতা নিয়ে একটা জীবন রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কবিই আমার একমাত্র পরিচয়। এর বাইরে আমার অন্য কোনো পরি
সাম্প্রতিক কালে রবীন্দ্রসাহিত্য কতখানি প্রাসঙ্গিক?
সাম্প্রতিক কালে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসাহিত্য কতখানি প্রাসঙ্গিক—এ রকম একটি প্রশ্ন কেউ কেউ তুলতে চান, তুলেও থাকেন। সাহিত্যের দীক্ষিত পাঠক থেকে শুরু করে অদীক্ষিত শখের পাঠকও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন—আদতেই রবীন্দ্রনাথ কিংবা রবীন্দ্রসাহিত্যের ‘দরকার’ আছে কি না! প্রশ্নটি অথবা প্রশ্নগুচ্ছে জড়িয়ে থাকে প্রায়োগিক
যে কারণে আবুল হাসানের কবিতার প্রেমে পড়েছিলাম
আবুল হাসান হচ্ছেন সন্ধি আর সমাসের রাজা–এ নিয়েও গবেষণা হতে পারে। উপমা আর চিত্রকল্পে তো তিনি অঘোষিত রাজা হয়েই আছেন। তো, তাঁকে নিয়ে ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ কেন আর কীভাবে লিখতে বসলাম—প্রশ্নটা আমাকে একাধিক দিনে একাধিক পরিবেশে জিজ্ঞেস করা হলে আমিও প্রতিবারই নতুনভাবে উত্তর দিতে পারব। কোনো সংস্করণই মিথ্যাভাষণ হবে
তামিম ইয়ামীনের চারটি কবিতা
যেসব পাখিরা সুখী সঙ্গমের নিজস্ব নিয়মে কবুলবিহীন যারা মিলে যায় ঠোঁটে ও পাখায় তার সেই পাখসাট শূন্যে খসে পড়ার আগেই অনুবাদ করে নিই যথারীতি বাংলা ভাষায়
বৃষ্টি
সদ্য হাঁটা শিখছে—এমন শিশুরমতন হাঁটছ—বিশৃঙ্খল, মেপে। নৌকা ভাসছে—রহস্য কী? দেখি, বৃষ্টি নামছে তোমার শরীর ব্যেপে। যেমন কেরোসিনবিহীন এ চাঁদ ঘণ্টা-মিনিটব্যাপী হচ্ছে ম্লানই, তেমন করে অবিচ্ছিন্নভাবে
ঠিকানা
আজন্ম লালিত বিষাদ, তুমি নাম দিলে মেঘ। টেনে দিলে সীমানাপ্রাচীর, আর সেই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছো দেয়ালের ওপাশে। আমি প্রতিদিন পড়ি, একই ভাষার নানা ব্যঞ্জনা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। মাঝরাতে পাড়ি দিই অভিমানের ঘর। যদিও তখন
বাইরে আসার বিষ্টিদিন
জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলো টানা বিষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে ভেজা ট্রাফিক পুলিশ যেন রমনার রেইনট্রি ডালে বসে থাকা ভেজা কাক হাতে শীতল বাঁশি...
ইশকুলে গেল পেট মোটা ব্যাগ শাকিব হুসাইন
আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।
কাম্যুর ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’
বইয়ের শেষ বাক্যটা দিয়ে শুরু করি, ‘ওয়ান মাস্ট ইমাজিন সিসিফাস হ্যাপি।’ সিসিফাসের অর্থহীন পৌনঃপুনিকতার জীবনকে একেবারে অসুখী জীবন বলে মেনে নিতে চাননি আলব্যার কাম্যু। সিসিফাস যে কাজ করছে, অনন্তকাল সেই কাজই তাকে করে যেতে হবে, কখনোই চূড়ান্ত কোনো গন্তব্যে বা লক্ষ্যে পৌঁছানো হবে না। তবু ভেবে নিতে হবে, সিসিফা