নিজাম বিশ্বাস
দেয়ালঘড়ি
দেয়ালঘড়ির কাঁটা
থামল এমন জায়গায় এসে
যেখানে তুমিও এসে থেমেছিলে একদিন,
ব্যাটারির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে জেনেও
সেকেন্ডের কাঁটার প্রাণপণ চেষ্টা
বিকেলটা থেমে আছে,
সংলাপহীন মুখাভিনয়ের মতো
উড়ছে বাতাসে জানালার পর্দা—
দেয়ালঘড়ির দাম্ভিক খরগোশ
ঘুমিয়ে পড়েছে
আমি বুকে রংধনু নিয়ে
পূবের আকাশ হয়ে আছি,
নিম ফুলের ঘ্রাণের মতো অন্ধকার নামছে,
স্থির হয়ে আছে রেডিয়ামের আলো!
সার্কাসে
শীতের সার্কাসে আমি দর্শক সারিতে বসে ছিলাম
হঠাৎ আমাকে রিংমাস্টার ডাকল, কিছুক্ষণ আগে
পায়রা ওড়ানো জাদুর খেলায় ডেকেছিল আমার বান্ধবীকে,
আমাকে ডাকল ছুরি নিক্ষেপে অংশ নিতে
বরফের ছুরি ছুটে আসছে আমার দিকে—
চোখ ঘেঁষে ছুরিটা গাঁথল পেছনের দেয়ালে
আরেকটা ছুরি চলে গেল হৃৎপিণ্ড ঘেঁষে
একটা ছুরির ফলা গাঁথল আমার উরুসন্ধির নিকটে
দর্শকের হাসি আর মুহুর্মুহু করতালি,
দেখলাম বান্ধবীর চোখে কোনো আতঙ্ক নাই
আর সব দর্শকের মতো সেও উৎসুক চোখ নিয়ে
দেখল একটা ছুরি কীভাবে বুকের পাশ ঘেঁষে যায়
যাক কেটে মাঘ, এই সার্কাসে মাস—
তুমি বারবার সুদর্শন রিংমাস্টারের প্রেমে পড়ো
তোমাকে সে পায়রা ওড়ানো জাদুর খেলায় ডাকে
তোমার শরীর থেকে বের করে আনে গোলাপের তোড়া
আর ছুরি নিক্ষেপের পর্ব এলে ডাকে শুধু আমাকে!
সুগন্ধা
আমি হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি
আর তুমি কখনো হওনি পর্বত আরোহী!
আমাদের দেখা তবে হলো কি বরফগলা নদীর পাড়ে
বৈশ্বিক উষ্ণতায় গলে গলে- আমার শরীর গলে
ঢলে ঢলে নেমেছি তোমার সম্মুখ সমতলে!
মানুষ হয়েই বোঝানো যায়নি যখন
কী আর বুঝবে সুগন্ধার জলের স্পর্শে-
ঝিরিঝিরি বাতাসে ওড়াবে চুল, বিকেলের নদী
জোয়ারের আহ্বান উপেক্ষা করে দেখবে তোমায়,
তুমি মাছ হয়ে জলে নেমে এসো, প্রিয় মারমেইড!
জমিয়ে চোখের সব জল মেঘ হয়ে উড়ে এসো
আমরা আসব আবার যুগল হয়ে সুগন্ধার তীরে—
হোগলাবনের ওপারে রঙধনু হয়ে সাজাবো আকাশ,
বাতাসের ছোঁয়ায় হোগলা রেণু ওড়াবে হলুদ মেঘ
আমরা বাতাসে মিশে যাব এক ঘূর্ণিঝড়ের দিনে!
দেয়ালঘড়ি
দেয়ালঘড়ির কাঁটা
থামল এমন জায়গায় এসে
যেখানে তুমিও এসে থেমেছিলে একদিন,
ব্যাটারির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে জেনেও
সেকেন্ডের কাঁটার প্রাণপণ চেষ্টা
বিকেলটা থেমে আছে,
সংলাপহীন মুখাভিনয়ের মতো
উড়ছে বাতাসে জানালার পর্দা—
দেয়ালঘড়ির দাম্ভিক খরগোশ
ঘুমিয়ে পড়েছে
আমি বুকে রংধনু নিয়ে
পূবের আকাশ হয়ে আছি,
নিম ফুলের ঘ্রাণের মতো অন্ধকার নামছে,
স্থির হয়ে আছে রেডিয়ামের আলো!
সার্কাসে
শীতের সার্কাসে আমি দর্শক সারিতে বসে ছিলাম
হঠাৎ আমাকে রিংমাস্টার ডাকল, কিছুক্ষণ আগে
পায়রা ওড়ানো জাদুর খেলায় ডেকেছিল আমার বান্ধবীকে,
আমাকে ডাকল ছুরি নিক্ষেপে অংশ নিতে
বরফের ছুরি ছুটে আসছে আমার দিকে—
চোখ ঘেঁষে ছুরিটা গাঁথল পেছনের দেয়ালে
আরেকটা ছুরি চলে গেল হৃৎপিণ্ড ঘেঁষে
একটা ছুরির ফলা গাঁথল আমার উরুসন্ধির নিকটে
দর্শকের হাসি আর মুহুর্মুহু করতালি,
দেখলাম বান্ধবীর চোখে কোনো আতঙ্ক নাই
আর সব দর্শকের মতো সেও উৎসুক চোখ নিয়ে
দেখল একটা ছুরি কীভাবে বুকের পাশ ঘেঁষে যায়
যাক কেটে মাঘ, এই সার্কাসে মাস—
তুমি বারবার সুদর্শন রিংমাস্টারের প্রেমে পড়ো
তোমাকে সে পায়রা ওড়ানো জাদুর খেলায় ডাকে
তোমার শরীর থেকে বের করে আনে গোলাপের তোড়া
আর ছুরি নিক্ষেপের পর্ব এলে ডাকে শুধু আমাকে!
সুগন্ধা
আমি হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি
আর তুমি কখনো হওনি পর্বত আরোহী!
আমাদের দেখা তবে হলো কি বরফগলা নদীর পাড়ে
বৈশ্বিক উষ্ণতায় গলে গলে- আমার শরীর গলে
ঢলে ঢলে নেমেছি তোমার সম্মুখ সমতলে!
মানুষ হয়েই বোঝানো যায়নি যখন
কী আর বুঝবে সুগন্ধার জলের স্পর্শে-
ঝিরিঝিরি বাতাসে ওড়াবে চুল, বিকেলের নদী
জোয়ারের আহ্বান উপেক্ষা করে দেখবে তোমায়,
তুমি মাছ হয়ে জলে নেমে এসো, প্রিয় মারমেইড!
জমিয়ে চোখের সব জল মেঘ হয়ে উড়ে এসো
আমরা আসব আবার যুগল হয়ে সুগন্ধার তীরে—
হোগলাবনের ওপারে রঙধনু হয়ে সাজাবো আকাশ,
বাতাসের ছোঁয়ায় হোগলা রেণু ওড়াবে হলুদ মেঘ
আমরা বাতাসে মিশে যাব এক ঘূর্ণিঝড়ের দিনে!
হিমালয় পাই এর নতুন বই’ ডিটাচমেন্ট টু ডিপার্চার’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বাজারে এনেছে জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনী। বইটিতে মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর পরিভ্রমণের প্রেক্ষিতে লেখকের সোশিওলজিকাল, পলিটিক্যাল কালচারাল, হিস্টরিকাল, এনথ্রোপলজিকাল যেসব পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে সেগুলোকেই সোশ্যাল থিসিসরূ
১৫ দিন আগে‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৫। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কবিতার এই আসর। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এটি জানানো হয়েছে...
২১ দিন আগেবাংলা একাডেমি ২০২৪ সালের ষাণ্মাসিক ফেলোশিপ এবং ছয়টি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং ভাষা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, নাটক এবং কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হচ্
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪সূক্ষ্মচিন্তার খসড়াকে ধারণ করে শিল্প-সাহিত্য ভিত্তিক ছোটকাগজ ‘বামিহাল’। বগুড়ার সবুজ শ্যামল মায়াময় ‘বামিহাল’ গ্রামের নাম থেকেই এর নাম। ‘বামিহাল’ বিশ্বাস করে বাংলার আবহমান জীবন, মানুষ-প্রকৃতি কিংবা সুচিন্তার বিশ্বমুখী সূক্ষ্ম ভাবনার প্রকাশই আগামীর সবুজ-শ্যামল মানববসতি বিনির্মাণ করতে পারে...
২১ ডিসেম্বর ২০২৪