সম্পাদকীয়
ছোটবেলায় সব মানুষেরই মনের মধ্যে নানা ধরনের শখ জেগে ওঠে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একবার শখ হয়েছিল তিনি মিস্ত্রি হবেন। চীনে মিস্ত্রিরা পাখির ঘর গড়ছিল বাড়িতে। জাল দিয়ে ঘেরা একটা মন্দিরও তৈরি হচ্ছিল। মুগ্ধ নয়নে অবনীন্দ্রনাথ দেখতেন মিস্ত্রিদের। দেখতেন তাঁদের কাজের সরঞ্জাম। হাতুড়ি-পেরেক দিয়ে কীভাবে তাঁরা কাজ করেন, তা দেখে কাজগুলো করার শখ হলো তাঁর। কিন্তু সুযোগ তো মেলে না!
একদিন অবশ্য মিলে গেল সে সুযোগ। কারিগরেরা সবাই গেছেন টিফিন করতে, সেই ফাঁকে ঘরটার দিকে তাকালেন শিশু অবনীন্দ্রনাথ। দেখলেন পড়ে আছে হাতুড়ি আর বাটালি। ব্যস! তিনি নিজেই হয়ে গেলেন কারিগর। ফস করে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের ডগায় চালিয়ে দিলেন বাটালির এক ঘা। আর কি রক্ষে আছে! খাঁচার গায়ে দু-চার ফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ল।
রক্ত মুছবেন কী করে, বুঝতে না পেরে দ্রুত চলে গেলেন বাগানবাড়িতে। খানিক ধুলোবালি নিয়ে রক্ত থামানোর চেষ্টা করলেন কিন্তু তাতে রক্ত পড়া থামল না। ফলে সব দোষ স্বীকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় রইল না।
ধমক অবশ্য তিনি খেলেন না। ধমক খেলেন কারিগরেরা। কারণ, শিশুদের হাতের কাছে যন্ত্রপাতি রেখে তাঁরা কেন চলে গিয়েছিলেন? বাটালির ঘায়ে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ক্ষত আঙুলের ডগা থেকে আর কখনোই মিলিয়ে যায়নি।
আরেকবার তাঁর শখ হয়েছিল গড়গড়িতে তামাক খাওয়ার। কোথা থেকে একটা গাড়ু জোগাড় করে তার ভেতরে খানিক পানি ভরে টানতে শুরু করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। হঠাৎ কারও পায়ের শব্দে চমকে উঠে পালাতে যেই গেছেন, অমনি সেই শখের গড়গড়িটা উল্টে পড়েছিল ঠোঁটের ওপর। নীল মাধব ডাক্তার এসে বরফ আর ধমক দিয়ে শুশ্রূষা করেছিলেন।
অবনীন্দ্রনাথ ভেবেছেন, যদি দুষ্টুমির শাস্তির চিহ্ন থাকত শরীরে, তাহলে গুরুজনেরা আর মারপিট করতেন না; কিন্তু দুষ্টুমি করেও যদি অক্ষত শরীর থাকত, তাহলে বেত বা ধমকের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেত না।
সূত্র: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আপন কথা, পৃষ্ঠা ৬৭-৬৯
ছোটবেলায় সব মানুষেরই মনের মধ্যে নানা ধরনের শখ জেগে ওঠে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একবার শখ হয়েছিল তিনি মিস্ত্রি হবেন। চীনে মিস্ত্রিরা পাখির ঘর গড়ছিল বাড়িতে। জাল দিয়ে ঘেরা একটা মন্দিরও তৈরি হচ্ছিল। মুগ্ধ নয়নে অবনীন্দ্রনাথ দেখতেন মিস্ত্রিদের। দেখতেন তাঁদের কাজের সরঞ্জাম। হাতুড়ি-পেরেক দিয়ে কীভাবে তাঁরা কাজ করেন, তা দেখে কাজগুলো করার শখ হলো তাঁর। কিন্তু সুযোগ তো মেলে না!
একদিন অবশ্য মিলে গেল সে সুযোগ। কারিগরেরা সবাই গেছেন টিফিন করতে, সেই ফাঁকে ঘরটার দিকে তাকালেন শিশু অবনীন্দ্রনাথ। দেখলেন পড়ে আছে হাতুড়ি আর বাটালি। ব্যস! তিনি নিজেই হয়ে গেলেন কারিগর। ফস করে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের ডগায় চালিয়ে দিলেন বাটালির এক ঘা। আর কি রক্ষে আছে! খাঁচার গায়ে দু-চার ফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ল।
রক্ত মুছবেন কী করে, বুঝতে না পেরে দ্রুত চলে গেলেন বাগানবাড়িতে। খানিক ধুলোবালি নিয়ে রক্ত থামানোর চেষ্টা করলেন কিন্তু তাতে রক্ত পড়া থামল না। ফলে সব দোষ স্বীকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় রইল না।
ধমক অবশ্য তিনি খেলেন না। ধমক খেলেন কারিগরেরা। কারণ, শিশুদের হাতের কাছে যন্ত্রপাতি রেখে তাঁরা কেন চলে গিয়েছিলেন? বাটালির ঘায়ে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ক্ষত আঙুলের ডগা থেকে আর কখনোই মিলিয়ে যায়নি।
আরেকবার তাঁর শখ হয়েছিল গড়গড়িতে তামাক খাওয়ার। কোথা থেকে একটা গাড়ু জোগাড় করে তার ভেতরে খানিক পানি ভরে টানতে শুরু করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। হঠাৎ কারও পায়ের শব্দে চমকে উঠে পালাতে যেই গেছেন, অমনি সেই শখের গড়গড়িটা উল্টে পড়েছিল ঠোঁটের ওপর। নীল মাধব ডাক্তার এসে বরফ আর ধমক দিয়ে শুশ্রূষা করেছিলেন।
অবনীন্দ্রনাথ ভেবেছেন, যদি দুষ্টুমির শাস্তির চিহ্ন থাকত শরীরে, তাহলে গুরুজনেরা আর মারপিট করতেন না; কিন্তু দুষ্টুমি করেও যদি অক্ষত শরীর থাকত, তাহলে বেত বা ধমকের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেত না।
সূত্র: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আপন কথা, পৃষ্ঠা ৬৭-৬৯
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
২ দিন আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৪ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৫ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৬ দিন আগে