শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
আঠারো শতকের ব্রিটেন। এখন যুক্তরাজ্য বলা হলেও তখন বলা হতো গ্রেট ব্রিটেন। রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার সেই ব্রিটিশ সমাজে পুরুষেরা সবকিছুতে এগিয়ে থাকবেন নারীদের থেকে, সেটাই ছিল তখনকার সাধারণ ভাবনা। স্বাভাবিকভাবে তখন নারীদের পড়ালেখার সুযোগ ছিল সীমিত। ফলে নারীদের চাকরির সম্ভাবনা ছিল সুদূরপরাহত। এমনকি বিয়ের পর ব্রিটিশ নারীর নিজস্ব সম্পত্তির মালিকানাও চলে যেত স্বামীর হাতে।
সেকালের যুক্তরাজ্যের নারীদের এই অসহায় চিত্র বদলাতে শুরু করে উনিশ শতকের শেষের দিকে এসে। এ সময় সমাজের আচরণে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। এর একটা বড় লক্ষণ ছিল নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া। এই কাজে অগ্রগণ্য ছিল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন। ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রথম সে দেশে সামাজিক স্তর, ধর্ম ও লিঙ্গনির্বিশেষে সবাইকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়। এখান থেকেই ১৮৭৮ সালে ব্রিটেনের নারীরা প্রথম স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
তবে মুখের কথায় নারীরা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন, বিষয়টি এমন নয়। ১৮৬৮ সালের জুনে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সিনেট মিটিংয়ে নারীদের ভর্তি করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন সিনেট সদস্যরা। তবে শর্ত ছিল তাঁদের পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সেখানে ভর্তি হতে হবে। প্রার্থীদের বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়েছিল। সেগুলো ছিল লাতিন ও ইংরেজি ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, প্রাকৃতিক দর্শন, গ্রিক, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইতালীয় ভাষার যেকোনো দুটি এবং রসায়ন বা উদ্ভিদবিদ্যা। ‘সাধারণ পরীক্ষা’ নামের এই পরীক্ষা তৎকালীন ব্রিটেনের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার চেয়ে কম কঠিন ছিল না। এই সাধারণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম ব্যাচের ছয় নারী শিক্ষার্থীর হাতে ১৮৭৮ সালের ১৫ জানুয়ারি স্নাতক সনদ তুলে দিয়েছিল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মূলত অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ এ দুটি ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়। এর প্রথম তত্ত্বাবধায়ক লিওনার্ড হর্নার ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। এর আগে কোনো বিজ্ঞানী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন না। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জেরমি বেনথাম। তাঁর আধুনিক ও প্রভাবশালী চিন্তা-চেতনাই রক্ষণশীল ব্রিটিশ সমাজে জাত-ধর্ম-লিঙ্গনির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন বা ইউসিএলের কমপক্ষে ২৯ সদস্য ও শিক্ষার্থী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন ফিজিওলজি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। প্রভাবশালী নারী ম্যারি শার্লট কারমাইকেল স্টোপস বা সংক্ষেপে আমরা যাঁকে ম্যারি স্টোপস নামে চিনি, তিনি ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের শিক্ষার্থী। তিনি ছিলেন একাধারে একজন লেখক, প্যালিওবোটানিস্ট ও নারী অধিকারকর্মী।
তিনি উদ্ভিদ জীবাশ্মবিদ্যা ও কয়লার শ্রেণি বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ম্যারি স্টোপস ছিলেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষক।
আঠারো শতকের ব্রিটেন। এখন যুক্তরাজ্য বলা হলেও তখন বলা হতো গ্রেট ব্রিটেন। রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার সেই ব্রিটিশ সমাজে পুরুষেরা সবকিছুতে এগিয়ে থাকবেন নারীদের থেকে, সেটাই ছিল তখনকার সাধারণ ভাবনা। স্বাভাবিকভাবে তখন নারীদের পড়ালেখার সুযোগ ছিল সীমিত। ফলে নারীদের চাকরির সম্ভাবনা ছিল সুদূরপরাহত। এমনকি বিয়ের পর ব্রিটিশ নারীর নিজস্ব সম্পত্তির মালিকানাও চলে যেত স্বামীর হাতে।
সেকালের যুক্তরাজ্যের নারীদের এই অসহায় চিত্র বদলাতে শুরু করে উনিশ শতকের শেষের দিকে এসে। এ সময় সমাজের আচরণে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। এর একটা বড় লক্ষণ ছিল নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া। এই কাজে অগ্রগণ্য ছিল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন। ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রথম সে দেশে সামাজিক স্তর, ধর্ম ও লিঙ্গনির্বিশেষে সবাইকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়। এখান থেকেই ১৮৭৮ সালে ব্রিটেনের নারীরা প্রথম স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
তবে মুখের কথায় নারীরা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন, বিষয়টি এমন নয়। ১৮৬৮ সালের জুনে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সিনেট মিটিংয়ে নারীদের ভর্তি করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন সিনেট সদস্যরা। তবে শর্ত ছিল তাঁদের পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সেখানে ভর্তি হতে হবে। প্রার্থীদের বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়েছিল। সেগুলো ছিল লাতিন ও ইংরেজি ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, প্রাকৃতিক দর্শন, গ্রিক, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইতালীয় ভাষার যেকোনো দুটি এবং রসায়ন বা উদ্ভিদবিদ্যা। ‘সাধারণ পরীক্ষা’ নামের এই পরীক্ষা তৎকালীন ব্রিটেনের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার চেয়ে কম কঠিন ছিল না। এই সাধারণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম ব্যাচের ছয় নারী শিক্ষার্থীর হাতে ১৮৭৮ সালের ১৫ জানুয়ারি স্নাতক সনদ তুলে দিয়েছিল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মূলত অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ এ দুটি ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়। এর প্রথম তত্ত্বাবধায়ক লিওনার্ড হর্নার ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। এর আগে কোনো বিজ্ঞানী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন না। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জেরমি বেনথাম। তাঁর আধুনিক ও প্রভাবশালী চিন্তা-চেতনাই রক্ষণশীল ব্রিটিশ সমাজে জাত-ধর্ম-লিঙ্গনির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন বা ইউসিএলের কমপক্ষে ২৯ সদস্য ও শিক্ষার্থী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন ফিজিওলজি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। প্রভাবশালী নারী ম্যারি শার্লট কারমাইকেল স্টোপস বা সংক্ষেপে আমরা যাঁকে ম্যারি স্টোপস নামে চিনি, তিনি ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের শিক্ষার্থী। তিনি ছিলেন একাধারে একজন লেখক, প্যালিওবোটানিস্ট ও নারী অধিকারকর্মী।
তিনি উদ্ভিদ জীবাশ্মবিদ্যা ও কয়লার শ্রেণি বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ম্যারি স্টোপস ছিলেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষক।
বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন
৩ দিন আগেপ্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
৫ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৬ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৬ দিন আগে