শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে ছিটকে যাওয়া রাজপুত্তুর হ্যারি তাঁর কন্যার নাম রেখেছেন লিলিবেট ডায়ানা মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। রাজকন্যার নামের প্রথম অংশের লিলিবেট নামটি কোথা থেকে এল? সেই গল্পের গোড়া বাঁধা আছে সূর্যাস্ত না যাওয়া সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের সঙ্গে।
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কাটিয়েছেন বর্ণাঢ্য জীবন। অথচ তাঁর কখনোই
রানি হওয়ার কথা ছিল না। আর তাঁর বাবারও রাজা হওয়ার কথা ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম জর্জের বড় ছেলে অষ্টম অ্যাডওয়ার্ডের রাজা হওয়ার কথা। কিন্তু অষ্টম অ্যাডওয়ার্ড বিয়ে করেছিলেন এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে।
যে কারণে তিনি হারিয়েছিলেন রাজা হওয়ার যোগ্যতা। তাই এলিজাবেথের বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন। নিয়ম অনুযায়ী অ্যালবার্টের মৃত্যুর পর বড় মেয়ে হিসেবে ১৯৫২ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনে রয়েছে অনেক চমকপ্রদ ঘটনা। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা ব্যক্তি তিনি। মাত্র এক বছর বয়সে এলিজাবেথের ছবি ছাপা হয় ভোগ ম্যাগাজিনে। তিন বছর বয়সে মা ডাচেস অব ইয়র্কের সঙ্গে রানির ছবি ছাপা হয় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে। যে ছবি খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছোট্ট এলিজাবেথকে তারকা করে তুলেছিল।
এলিজাবেথকে শৈশবে তাঁর দাদা জর্জ আদর করে লিলিবেট নামে ডাকতেন। লিলিবেট নামটি ডাকনাম হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ‘ভালো’ নাম হিসেবে তেমন একটা সাড়া ফেলেনি কখনোই। কিন্তু রানির মৃত্যুর পর ব্রিটেনজুড়ে বেড়েছে এই নামের জনপ্রিয়তা।
১৯৫৩ সালের ২ জুন যখন সোনায় মোড়ানো গাড়িতে লিলিবেট নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন, হর্ষধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল ব্রিটেনের হাজারো মানুষ। সেদিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে যে করতালি বেজে ছিল, তার শব্দে হয়তো চাপা পড়ে গিয়েছিল জর্জের আদরে ডাকা লিলিবেট নামটি।
কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজকীয় জীবনের গহিনে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শৈশবের ছোট্ট লিলিবেটকে। পৃথিবীর সবার কাছে সম্রাজ্ঞী হলেও রাশভারী রানি স্বামীর কাছে ছিলেন কৈশোরে প্রেমে পড়া লিলিবেট হয়েই। ৮ বছরের প্রেম এবং ৭৫ বছরের সংসারজীবন কাটিয়েছেন তাঁরা! প্রেমজীবনে লিলিবেট নামেই চালাচালি করেছিলেন চিঠি।
নামটি যে রানির নিজের খুব প্রিয় ছিল, সেটা প্রকাশ্যে আসে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর। রানির নিজের হাতে লেখা শেষ চিঠিটি রাখা হয়েছিল ফিলিপের কফিনে। সেই চিঠির নিচে রানি সই করেছিলেন নিজের নাম—লিলিবেট।
লিলিবেট ছিলেন বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতী। পুরো দুনিয়ার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করার পরেও ছিলেন একজন স্নেহময়ী মা, মমতাময়ী স্ত্রী এবং নাতি-নাতনিদের কাছে প্রিয়তম পিতামহী। আভিজাত্যের কঠোর প্রথা আর রাজনীতির প্রবল চাপে নিমজ্জিত থেকেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ লিলিবেটের অস্তিত্ব লালন করে গেছেন মৃত্যুর আগপর্যন্ত।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে রেখে গেছেন লিলিবেটের প্রভাব। রাজপরিবার থেকে ছিটকে গেলেও হ্যারি সেই প্রভাব ছিন্ন করতে পারেননি। সবকিছুর ওপরে উঠে হ্যারি তাই স্বীকার করে নিয়েছেন লিলিবেট নামের এক প্রেমময়ী, স্নেহময়ী নারীকে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে ছিটকে যাওয়া রাজপুত্তুর হ্যারি তাঁর কন্যার নাম রেখেছেন লিলিবেট ডায়ানা মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। রাজকন্যার নামের প্রথম অংশের লিলিবেট নামটি কোথা থেকে এল? সেই গল্পের গোড়া বাঁধা আছে সূর্যাস্ত না যাওয়া সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের সঙ্গে।
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কাটিয়েছেন বর্ণাঢ্য জীবন। অথচ তাঁর কখনোই
রানি হওয়ার কথা ছিল না। আর তাঁর বাবারও রাজা হওয়ার কথা ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম জর্জের বড় ছেলে অষ্টম অ্যাডওয়ার্ডের রাজা হওয়ার কথা। কিন্তু অষ্টম অ্যাডওয়ার্ড বিয়ে করেছিলেন এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে।
যে কারণে তিনি হারিয়েছিলেন রাজা হওয়ার যোগ্যতা। তাই এলিজাবেথের বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন। নিয়ম অনুযায়ী অ্যালবার্টের মৃত্যুর পর বড় মেয়ে হিসেবে ১৯৫২ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনে রয়েছে অনেক চমকপ্রদ ঘটনা। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা ব্যক্তি তিনি। মাত্র এক বছর বয়সে এলিজাবেথের ছবি ছাপা হয় ভোগ ম্যাগাজিনে। তিন বছর বয়সে মা ডাচেস অব ইয়র্কের সঙ্গে রানির ছবি ছাপা হয় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে। যে ছবি খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছোট্ট এলিজাবেথকে তারকা করে তুলেছিল।
এলিজাবেথকে শৈশবে তাঁর দাদা জর্জ আদর করে লিলিবেট নামে ডাকতেন। লিলিবেট নামটি ডাকনাম হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ‘ভালো’ নাম হিসেবে তেমন একটা সাড়া ফেলেনি কখনোই। কিন্তু রানির মৃত্যুর পর ব্রিটেনজুড়ে বেড়েছে এই নামের জনপ্রিয়তা।
১৯৫৩ সালের ২ জুন যখন সোনায় মোড়ানো গাড়িতে লিলিবেট নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন, হর্ষধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল ব্রিটেনের হাজারো মানুষ। সেদিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে যে করতালি বেজে ছিল, তার শব্দে হয়তো চাপা পড়ে গিয়েছিল জর্জের আদরে ডাকা লিলিবেট নামটি।
কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজকীয় জীবনের গহিনে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শৈশবের ছোট্ট লিলিবেটকে। পৃথিবীর সবার কাছে সম্রাজ্ঞী হলেও রাশভারী রানি স্বামীর কাছে ছিলেন কৈশোরে প্রেমে পড়া লিলিবেট হয়েই। ৮ বছরের প্রেম এবং ৭৫ বছরের সংসারজীবন কাটিয়েছেন তাঁরা! প্রেমজীবনে লিলিবেট নামেই চালাচালি করেছিলেন চিঠি।
নামটি যে রানির নিজের খুব প্রিয় ছিল, সেটা প্রকাশ্যে আসে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর। রানির নিজের হাতে লেখা শেষ চিঠিটি রাখা হয়েছিল ফিলিপের কফিনে। সেই চিঠির নিচে রানি সই করেছিলেন নিজের নাম—লিলিবেট।
লিলিবেট ছিলেন বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতী। পুরো দুনিয়ার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করার পরেও ছিলেন একজন স্নেহময়ী মা, মমতাময়ী স্ত্রী এবং নাতি-নাতনিদের কাছে প্রিয়তম পিতামহী। আভিজাত্যের কঠোর প্রথা আর রাজনীতির প্রবল চাপে নিমজ্জিত থেকেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ লিলিবেটের অস্তিত্ব লালন করে গেছেন মৃত্যুর আগপর্যন্ত।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে রেখে গেছেন লিলিবেটের প্রভাব। রাজপরিবার থেকে ছিটকে গেলেও হ্যারি সেই প্রভাব ছিন্ন করতে পারেননি। সবকিছুর ওপরে উঠে হ্যারি তাই স্বীকার করে নিয়েছেন লিলিবেট নামের এক প্রেমময়ী, স্নেহময়ী নারীকে।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
৩ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৪ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৪ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৪ দিন আগে