ইশতিয়াক হাসান
চীনের হুয়ানের বেইলং এলিভেটরের সঙ্গে আধুনিক কোনো এলিভেটরেরও তুলনা হয় না। অনেক উঁচু এক পাহাড় থেকে একে খাড়া নেমে আসতে দেখলে বা নিচ থেকে পাহাড় বেয়ে উঠতে দেখলে শরীরে রোমাঞ্চের একটি শিহরণ বয়ে যাবে। ১০৭০ ফুট দীর্ঘ এলিভেটরটি অবশ্য রেকর্ড বুকে নিজের নাম লিখিয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম আউটডোর এলিভেটর হিসেবে। সবকিছু মিলিয়ে এটি এমনিতেই পর্যটকদের নজরে ছিল, বিশেষ করে চীনে। তবে ২০০৯ সালে ‘অ্যাভাটার’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর এটি গোটা দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়ে যায়।
হুনান প্রদেশের ঝাংঝিয়াঝি ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক বিখ্যাত চুনাপাথরের উঁচু সব স্তম্ভের কারণে। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ৩ হাজার ফুটেরও বেশি। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ চলচ্চিত্রটিতে দেখানো কল্পজগৎ প্যান্ডোরা তৈরি করা হয়েছে এই জাতীয় উদ্যানটিতে অনুপ্রাণিত হয়ে। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাও ঝাংঝিয়াঝি ন্যাশনাল পার্কের বাস্তব জগতের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন সেই কল্পজগতের।
ঝাংঝিয়াঝি ন্যাশনাল পার্কের প্রাকৃতিক এসব স্তম্ভের মাঝখান থেকে মানবসৃষ্ট একটি উঁচু কাঠামোও উঠে গেছে। ইস্পাত ও কাচের সমন্বয়ে বানানো এই এলিভেটরের নাম বেইলং এলিভেটর। বাংলায় যার অর্থ শত ড্রাগনের এলিভেটর।
১৯৯৯ সালে নির্মাণ শুরু হয় এর। ২০০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এলিভেটরটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ২০০২ সালে। খুব সাবধানে বাছাই করা চুনাপাথরের একটি পাহাড়ের গায়ে নির্মাণ করা হয় এটি। সেখানে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সামনে কাচের দেয়ালের তিনটি দোতলা এলিভেটর তৈরি করা হয়।
লিফটটির উচ্চতা ৩২৬ মিটার বা ১০৭০ ফুট। এলিভেটরগুলো থেকে চারপাশের চুনাপাথরের স্তম্ভ, পর্বত আর গহিন জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকেরা। ২০১৫ সালে কিছু সংস্কারের পর এলিভেটরগুলো ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে চূড়ায় উঠতে বা নামতে পারে। এক একটি এলিভেটর ৪৯০০ কেজি বা অন্তত ৫০ জন মানুষ বহনে সক্ষম।
সবকিছু মিলিয়ে এই এলিভেটরের তুলনা না থাকলেও এটি কিছু বিতর্কেরও জন্ম দেয়। নিরাপত্তার তাগিদে ২০০২-২০০৩ সালের দিকে ১০ মাস এটি বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ করে ওই এলাকা একটি ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকা হওয়ায় দুশ্চিন্তা ছিল বেশি। এখন অবশ্য লিফটের খাঁচাগুলোতে ভূমিকম্প ডিটেক্টর আছে। যেন সংকেত পেলে দ্রুত আরোহীদের নামানোর ব্যবস্থা করা যায়।
আরও একটি বিতর্কের জন্ম হয় এলিভেটরটিকে নিয়ে। সেটি একটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানে ইস্পাতের এমন বিশাল এক কাঠামো তৈরি করায়। তা ছাড়া পরিবেশবাদীদের দাবি ছিল, এই এলিভেটর এই এলাকায় পর্যটকের চাপ আরও বাড়াবে। এতে এখানকার পরিবেশ সংকটে পড়তে পারে।
অবশ্য এলিভেটরের পক্ষ যাঁরা নেন, তাঁদের যুক্তি ছিল পর্যটকেরা পর্বতের পথ ধরে না হেঁটে এলিভেটর ধরে ওঠানামা করায় পর্বতের পথগুলোর ক্ষতি অনেক কমে যাবে।
তবে সব বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে বেইলং এলিভেটর পর্যটকদের কাছে এখন খুব জনপ্রিয়। এমনিতে এলিভেটরে চেপে পাহাড়ে ওঠার মজা কম নয়। তার ওপর আছে ঝাংঝিয়াঝি ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কের অসাধারণ সব দৃশ্য উপভোগের সুযোগ। এদিকে ‘অ্যাভাটার’ভক্তরা তাঁদের ঘুরে বেড়ানোর তালিকায় ওপরের দিকেই রাখেন ঝাংঝিয়াঝির জঙ্গল আর বেইলং এলিভেটরের নাম।
এই লিফটে চড়ার সুযোগ পেতে হলে কী করতে হবে তা প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। হুনান প্রদেশের ঝাংঝিয়াঝি শহর থেকে বাসে ৪৫-৬০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন ওলিংইয়ানে।
বিমানবন্দর থেকে শাটল বাসও পাবেন। একবার পার্কের ভেতরে ঢুকে পড়লে চারটি পথ পাবেন বাসের। এর দুটি থামে এলিভেটরের সামনে। এলিভেটরে ওঠানামার খরচ সাড়ে ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১০০ টাকা। ঝাংঝিয়াঝি পৃথিবীর দীর্ঘতম বানজি লাফের জন্যও বিখ্যাত। ঝাংঝিয়াঝি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গ্লাস ব্রিজ থেকে এই লাফ দিতে হয়। কাজেই এক ভ্রমণে পাবেন করা ও দেখার মতো অনেক কিছু।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, সিএনএন
চীনের হুয়ানের বেইলং এলিভেটরের সঙ্গে আধুনিক কোনো এলিভেটরেরও তুলনা হয় না। অনেক উঁচু এক পাহাড় থেকে একে খাড়া নেমে আসতে দেখলে বা নিচ থেকে পাহাড় বেয়ে উঠতে দেখলে শরীরে রোমাঞ্চের একটি শিহরণ বয়ে যাবে। ১০৭০ ফুট দীর্ঘ এলিভেটরটি অবশ্য রেকর্ড বুকে নিজের নাম লিখিয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম আউটডোর এলিভেটর হিসেবে। সবকিছু মিলিয়ে এটি এমনিতেই পর্যটকদের নজরে ছিল, বিশেষ করে চীনে। তবে ২০০৯ সালে ‘অ্যাভাটার’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর এটি গোটা দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়ে যায়।
হুনান প্রদেশের ঝাংঝিয়াঝি ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক বিখ্যাত চুনাপাথরের উঁচু সব স্তম্ভের কারণে। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ৩ হাজার ফুটেরও বেশি। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ চলচ্চিত্রটিতে দেখানো কল্পজগৎ প্যান্ডোরা তৈরি করা হয়েছে এই জাতীয় উদ্যানটিতে অনুপ্রাণিত হয়ে। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাও ঝাংঝিয়াঝি ন্যাশনাল পার্কের বাস্তব জগতের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন সেই কল্পজগতের।
ঝাংঝিয়াঝি ন্যাশনাল পার্কের প্রাকৃতিক এসব স্তম্ভের মাঝখান থেকে মানবসৃষ্ট একটি উঁচু কাঠামোও উঠে গেছে। ইস্পাত ও কাচের সমন্বয়ে বানানো এই এলিভেটরের নাম বেইলং এলিভেটর। বাংলায় যার অর্থ শত ড্রাগনের এলিভেটর।
১৯৯৯ সালে নির্মাণ শুরু হয় এর। ২০০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এলিভেটরটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ২০০২ সালে। খুব সাবধানে বাছাই করা চুনাপাথরের একটি পাহাড়ের গায়ে নির্মাণ করা হয় এটি। সেখানে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সামনে কাচের দেয়ালের তিনটি দোতলা এলিভেটর তৈরি করা হয়।
লিফটটির উচ্চতা ৩২৬ মিটার বা ১০৭০ ফুট। এলিভেটরগুলো থেকে চারপাশের চুনাপাথরের স্তম্ভ, পর্বত আর গহিন জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকেরা। ২০১৫ সালে কিছু সংস্কারের পর এলিভেটরগুলো ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে চূড়ায় উঠতে বা নামতে পারে। এক একটি এলিভেটর ৪৯০০ কেজি বা অন্তত ৫০ জন মানুষ বহনে সক্ষম।
সবকিছু মিলিয়ে এই এলিভেটরের তুলনা না থাকলেও এটি কিছু বিতর্কেরও জন্ম দেয়। নিরাপত্তার তাগিদে ২০০২-২০০৩ সালের দিকে ১০ মাস এটি বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ করে ওই এলাকা একটি ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকা হওয়ায় দুশ্চিন্তা ছিল বেশি। এখন অবশ্য লিফটের খাঁচাগুলোতে ভূমিকম্প ডিটেক্টর আছে। যেন সংকেত পেলে দ্রুত আরোহীদের নামানোর ব্যবস্থা করা যায়।
আরও একটি বিতর্কের জন্ম হয় এলিভেটরটিকে নিয়ে। সেটি একটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানে ইস্পাতের এমন বিশাল এক কাঠামো তৈরি করায়। তা ছাড়া পরিবেশবাদীদের দাবি ছিল, এই এলিভেটর এই এলাকায় পর্যটকের চাপ আরও বাড়াবে। এতে এখানকার পরিবেশ সংকটে পড়তে পারে।
অবশ্য এলিভেটরের পক্ষ যাঁরা নেন, তাঁদের যুক্তি ছিল পর্যটকেরা পর্বতের পথ ধরে না হেঁটে এলিভেটর ধরে ওঠানামা করায় পর্বতের পথগুলোর ক্ষতি অনেক কমে যাবে।
তবে সব বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে বেইলং এলিভেটর পর্যটকদের কাছে এখন খুব জনপ্রিয়। এমনিতে এলিভেটরে চেপে পাহাড়ে ওঠার মজা কম নয়। তার ওপর আছে ঝাংঝিয়াঝি ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কের অসাধারণ সব দৃশ্য উপভোগের সুযোগ। এদিকে ‘অ্যাভাটার’ভক্তরা তাঁদের ঘুরে বেড়ানোর তালিকায় ওপরের দিকেই রাখেন ঝাংঝিয়াঝির জঙ্গল আর বেইলং এলিভেটরের নাম।
এই লিফটে চড়ার সুযোগ পেতে হলে কী করতে হবে তা প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। হুনান প্রদেশের ঝাংঝিয়াঝি শহর থেকে বাসে ৪৫-৬০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন ওলিংইয়ানে।
বিমানবন্দর থেকে শাটল বাসও পাবেন। একবার পার্কের ভেতরে ঢুকে পড়লে চারটি পথ পাবেন বাসের। এর দুটি থামে এলিভেটরের সামনে। এলিভেটরে ওঠানামার খরচ সাড়ে ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১০০ টাকা। ঝাংঝিয়াঝি পৃথিবীর দীর্ঘতম বানজি লাফের জন্যও বিখ্যাত। ঝাংঝিয়াঝি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গ্লাস ব্রিজ থেকে এই লাফ দিতে হয়। কাজেই এক ভ্রমণে পাবেন করা ও দেখার মতো অনেক কিছু।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, সিএনএন
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
৪ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
৫ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
৭ দিন আগেভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুর জেলায় এক স্বামীর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়। লোধসা গ্রামের বাসিন্দা মেরাজ নামের ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নাসিমুন প্রতিরাতে সাপের রূপ ধারণ করে এবং তাঁকে কামড়ানোর চেষ্টা করে। অদ্ভুত এই অভিযোগে রীতিমতো হতবাক স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ...
৮ দিন আগে