অনলাইন ডেস্ক
হাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
মঠটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৯৬ সালে, হাঙ্গেরি রাজ্য গঠনের চার বছর আগে। উত্তর-পশ্চিম হাঙ্গেরির একটি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত মঠটি শুধু দেশটিরই নয়, গোটা মধ্য ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানে সংরক্ষিত রয়েছে ৪ লাখের বেশি বই ও নথি, যার অনেকগুলো এক হাজার বছরের পুরোনো।
সম্প্রতি মঠের লাইব্রেরিতে ধরা পড়ে এক ধরনের পোকার আক্রমণ। এগুলো ‘ড্রাগস্টোর বিটল’—যা মূলত এক ধরনের গুবরে পোক—নামে পরিচিত। এই পোকাগুলো সাধারণত শুকনো খাবারে পাওয়া গেলেও, এগুলো বইয়ের জেলাটিন ও স্টার্চভিত্তিক আঠাতেও আকৃষ্ট হয়। পোকাগুলোর আক্রমণে কয়েকটি বইয়ের স্পাইনে গর্ত দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বইগুলো পরিষ্কার করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে।
লাইব্রেরির প্রধান সংস্কারক জসোফিয়া এডিট হাজদু বলেন, ‘এক ব্যাপক পোকামাকড়ের আক্রমণ লাইব্রেরির বিভিন্ন অংশে ধরা পড়েছে, তাই পুরো সংগ্রহটিকে সংক্রামিত হিসাবে তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর আগে এমন মাত্রার সংক্রমণ দেখিনি।’
বর্তমানে পোকার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি বই সাবধানে বাক্সে ভরে রাখা হচ্ছে বায়ুরোধী প্লাস্টিকের বস্তায়। এসব বস্তা থেকে বের করে দেওয়া হবে অক্সিজেন। ছয় সপ্তাহ ধরে বইগুলো থাকবে নাইট্রোজেনের পরিবেশে। এরপর প্রত্যেকটি বই ভ্যাকুয়াম করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বইগুলো আলাদা করে রাখা হবে সংস্কারের জন্য।
মঠের লাইব্রেরির পরিচালক ইলোনা আসভানি বলেন, ‘এটা ভাবতে গেলে মাথা ঘুরে যায় যে, এক হাজার বছর আগেও এখানে একটি লাইব্রেরি ছিল এবং আমরা হাঙ্গেরির প্রথম বইয়ের রক্ষক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি একটি পোকায় কাটা বা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বই দেখি, তখন আমার মনে হয় যে, যত কপিই প্রকাশিত হোক না কেন এবং বইটি যতই প্রতিস্থাপনযোগ্য হোক না কেন, সংস্কৃতির একটি অংশ হারিয়ে গেছে।’
এই ঐতিহাসিক সংগ্রহে রয়েছে ১৩শ শতাব্দীর একটি সম্পূর্ণ বাইবেলসহ ১৯টি কোডেক্স। এ ছাড়া, আছে ১৫ শতাব্দীতে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের আগের শত শত পাণ্ডুলিপি এবং ১৬শ শতকের দশ হাজারের বেশি বই। মঠ কর্তৃপক্ষের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনও এই সংক্রমণের পেছনে একটি কারণ হতে পারে। হাঙ্গেরিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে, যার ফলে পোকাগুলোর প্রজনন চক্রও বেড়েছে।
প্রধান সংস্কারক হাজদু বলেন, ‘উচ্চ তাপমাত্রা পোকামাকড়ের জীবনের জন্য অনুকূল। এখন পর্যন্ত আমরা বেশির ভাগই ডিপোজিটরি এবং খোলা সংগ্রহগুলোতে ছাঁচের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করেছি। তবে এখন আমি মনে করি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে আরও বেশি পোকামাকড়ের সংক্রমণ দেখা যাবে।’
মঠের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো সম্পত্তিকে পবিত্র বেদির মতো মূল্যবান বলে বিবেচনা করা হয়। এই নীতিকে সামনে রেখে আসভানি বলেন, ‘এই সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের আসল অর্থ কী, সেই দায়িত্ব আমি অনুভব করি।’ মঠ কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামী বছরের শুরুতে আবারও লাইব্রেরি উন্মুক্ত করা যাবে। তবে তত দিন পর্যন্ত, হাজার বছরের জ্ঞান-ধনকে রক্ষায় চলবে নিঃশব্দ এক যুদ্ধ।
হাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
মঠটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৯৬ সালে, হাঙ্গেরি রাজ্য গঠনের চার বছর আগে। উত্তর-পশ্চিম হাঙ্গেরির একটি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত মঠটি শুধু দেশটিরই নয়, গোটা মধ্য ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানে সংরক্ষিত রয়েছে ৪ লাখের বেশি বই ও নথি, যার অনেকগুলো এক হাজার বছরের পুরোনো।
সম্প্রতি মঠের লাইব্রেরিতে ধরা পড়ে এক ধরনের পোকার আক্রমণ। এগুলো ‘ড্রাগস্টোর বিটল’—যা মূলত এক ধরনের গুবরে পোক—নামে পরিচিত। এই পোকাগুলো সাধারণত শুকনো খাবারে পাওয়া গেলেও, এগুলো বইয়ের জেলাটিন ও স্টার্চভিত্তিক আঠাতেও আকৃষ্ট হয়। পোকাগুলোর আক্রমণে কয়েকটি বইয়ের স্পাইনে গর্ত দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বইগুলো পরিষ্কার করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে।
লাইব্রেরির প্রধান সংস্কারক জসোফিয়া এডিট হাজদু বলেন, ‘এক ব্যাপক পোকামাকড়ের আক্রমণ লাইব্রেরির বিভিন্ন অংশে ধরা পড়েছে, তাই পুরো সংগ্রহটিকে সংক্রামিত হিসাবে তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর আগে এমন মাত্রার সংক্রমণ দেখিনি।’
বর্তমানে পোকার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি বই সাবধানে বাক্সে ভরে রাখা হচ্ছে বায়ুরোধী প্লাস্টিকের বস্তায়। এসব বস্তা থেকে বের করে দেওয়া হবে অক্সিজেন। ছয় সপ্তাহ ধরে বইগুলো থাকবে নাইট্রোজেনের পরিবেশে। এরপর প্রত্যেকটি বই ভ্যাকুয়াম করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বইগুলো আলাদা করে রাখা হবে সংস্কারের জন্য।
মঠের লাইব্রেরির পরিচালক ইলোনা আসভানি বলেন, ‘এটা ভাবতে গেলে মাথা ঘুরে যায় যে, এক হাজার বছর আগেও এখানে একটি লাইব্রেরি ছিল এবং আমরা হাঙ্গেরির প্রথম বইয়ের রক্ষক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি একটি পোকায় কাটা বা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বই দেখি, তখন আমার মনে হয় যে, যত কপিই প্রকাশিত হোক না কেন এবং বইটি যতই প্রতিস্থাপনযোগ্য হোক না কেন, সংস্কৃতির একটি অংশ হারিয়ে গেছে।’
এই ঐতিহাসিক সংগ্রহে রয়েছে ১৩শ শতাব্দীর একটি সম্পূর্ণ বাইবেলসহ ১৯টি কোডেক্স। এ ছাড়া, আছে ১৫ শতাব্দীতে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের আগের শত শত পাণ্ডুলিপি এবং ১৬শ শতকের দশ হাজারের বেশি বই। মঠ কর্তৃপক্ষের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনও এই সংক্রমণের পেছনে একটি কারণ হতে পারে। হাঙ্গেরিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে, যার ফলে পোকাগুলোর প্রজনন চক্রও বেড়েছে।
প্রধান সংস্কারক হাজদু বলেন, ‘উচ্চ তাপমাত্রা পোকামাকড়ের জীবনের জন্য অনুকূল। এখন পর্যন্ত আমরা বেশির ভাগই ডিপোজিটরি এবং খোলা সংগ্রহগুলোতে ছাঁচের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করেছি। তবে এখন আমি মনে করি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে আরও বেশি পোকামাকড়ের সংক্রমণ দেখা যাবে।’
মঠের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো সম্পত্তিকে পবিত্র বেদির মতো মূল্যবান বলে বিবেচনা করা হয়। এই নীতিকে সামনে রেখে আসভানি বলেন, ‘এই সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের আসল অর্থ কী, সেই দায়িত্ব আমি অনুভব করি।’ মঠ কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামী বছরের শুরুতে আবারও লাইব্রেরি উন্মুক্ত করা যাবে। তবে তত দিন পর্যন্ত, হাজার বছরের জ্ঞান-ধনকে রক্ষায় চলবে নিঃশব্দ এক যুদ্ধ।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় হাতির বাচ্চাদের নিষ্পাপ ও কৌতুক উদ্রেককারী কার্যকলাপের সুন্দর ভিডিওগুলো সব সময়ই মন দর্শকদের মনে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যেখানে একটি ছোট হাতির বাচ্চাকে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
১ দিন আগেহিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
৪ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
৪ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৭ দিন আগে