নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুট ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১১ জুলাই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন কামরুল গাইন (৫৮) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি ওই উপজেলার ফয়জুল্লাহপুর গ্রামে।
এর আগে ৫ জুলাই পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটের সময় বাধা দিলে গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শামীম সরকার আজ সকালেই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই দিন রাজশাহী এলে বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাছিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভর্থ্যনা জানান শামীম। সেই ছবি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতেও পোস্ট দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল, ঘটনা সত্য। আমি মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে আছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে এ পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারিনি। তারা পলাতক।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাঘা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মো. বেল্লাল, মুন্তাজ মণ্ডল, টুটুল মণ্ডল, মো. লাভলু ও কিশোরপুর গ্রামের সামিউল ইসলাম, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মো. চঞ্চল এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার পলাশী গ্রামের সোহেল কারি।
তাঁদের মধ্যে লাভলু ও বেল্লাল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান ও ইমো হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামিরা তাঁদের সহযোগী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বাঘা উপজেলার চর আলাইপুর এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে বালু উত্তোলন না করে তাঁরা পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বালুবাহী নৌকার ঢেউয়ের কারণে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের অনেক জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
এ কারণে এলাকাবাসী বারবার নৌকার মাঝিদের ওই এলাকা থেকে বালু না তোলার জন্য বলে আসছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাঁরা জোরপূর্বক ওই এলাকা থেকেই বালু তুলে আসছিলেন।
আরও বলা হয়, এর জেরে ৫ জুলাই আসামি শামীম সরকারের যোগসাজশ, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় তিনিসহ অন্য আসামিরা স্পিডবোট নিয়ে জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহপুর যান। তাঁদের হাতে ছিল পিস্তল, শটগান, বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। তাঁরা এলাকাবাসীকে ভয় দেখাতে অতর্কিতভাবে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়িভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। আসামি বেল্লাল পিস্তল, চঞ্চল শটগান ও মুন্তাজ বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে এলাকাবাসী ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
তবে মামলার বাদী কামরুল গাইনের ভাই আমিরুল গাইন (৪৮) পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আমিরুলের পেটে ও বাঁ হাতের আঙুলে গুলি লেগে বের হয়ে যায়। আসামিদের ছোড়া গুলি এলাকার অনেক মানুষের বাড়িঘরের সামনে পড়ে থাকে। এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী বাহিনী। বালু তুলতে আর বাধা দেওয়া হলে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তাঁরা চলে আসেন।
বাদী কামরুল গাইন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শামীম সরকারের নির্দেশনায় গ্রামবাসীর ওপর প্রকাশ্যেই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু মামলা করার পরও এখন পর্যন্ত আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক। তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময় তারা আবার আসতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার বলেন, ‘আমি আজকালের মধ্যেই মামলার বিষয়টা জেনেছি। আমি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানি না। মামলার বাদীকেও চিনি না। আমার মনে হয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা রাজনীতি করে, তারা এভাবে প্রকাশ্যে গোলাগুলি করতে পারে না। মামলা হলে জামিন নিতে হবে।’
বালুমহাল নিয়ন্ত্রণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের নামে কোনো লাইসেন্স নেই। আমি বালুর ব্যবসা করি না। আমার কিছু ছেলেপিলে আছে। তারা করে।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনকে কয়েক দফা যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি।
আরও খবর পড়ুন:

পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুট ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১১ জুলাই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন কামরুল গাইন (৫৮) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি ওই উপজেলার ফয়জুল্লাহপুর গ্রামে।
এর আগে ৫ জুলাই পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটের সময় বাধা দিলে গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শামীম সরকার আজ সকালেই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই দিন রাজশাহী এলে বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাছিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভর্থ্যনা জানান শামীম। সেই ছবি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতেও পোস্ট দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল, ঘটনা সত্য। আমি মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে আছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে এ পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারিনি। তারা পলাতক।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাঘা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মো. বেল্লাল, মুন্তাজ মণ্ডল, টুটুল মণ্ডল, মো. লাভলু ও কিশোরপুর গ্রামের সামিউল ইসলাম, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মো. চঞ্চল এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার পলাশী গ্রামের সোহেল কারি।
তাঁদের মধ্যে লাভলু ও বেল্লাল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান ও ইমো হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামিরা তাঁদের সহযোগী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বাঘা উপজেলার চর আলাইপুর এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে বালু উত্তোলন না করে তাঁরা পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বালুবাহী নৌকার ঢেউয়ের কারণে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের অনেক জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
এ কারণে এলাকাবাসী বারবার নৌকার মাঝিদের ওই এলাকা থেকে বালু না তোলার জন্য বলে আসছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাঁরা জোরপূর্বক ওই এলাকা থেকেই বালু তুলে আসছিলেন।
আরও বলা হয়, এর জেরে ৫ জুলাই আসামি শামীম সরকারের যোগসাজশ, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় তিনিসহ অন্য আসামিরা স্পিডবোট নিয়ে জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহপুর যান। তাঁদের হাতে ছিল পিস্তল, শটগান, বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। তাঁরা এলাকাবাসীকে ভয় দেখাতে অতর্কিতভাবে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়িভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। আসামি বেল্লাল পিস্তল, চঞ্চল শটগান ও মুন্তাজ বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে এলাকাবাসী ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
তবে মামলার বাদী কামরুল গাইনের ভাই আমিরুল গাইন (৪৮) পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আমিরুলের পেটে ও বাঁ হাতের আঙুলে গুলি লেগে বের হয়ে যায়। আসামিদের ছোড়া গুলি এলাকার অনেক মানুষের বাড়িঘরের সামনে পড়ে থাকে। এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী বাহিনী। বালু তুলতে আর বাধা দেওয়া হলে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তাঁরা চলে আসেন।
বাদী কামরুল গাইন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শামীম সরকারের নির্দেশনায় গ্রামবাসীর ওপর প্রকাশ্যেই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু মামলা করার পরও এখন পর্যন্ত আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক। তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময় তারা আবার আসতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার বলেন, ‘আমি আজকালের মধ্যেই মামলার বিষয়টা জেনেছি। আমি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানি না। মামলার বাদীকেও চিনি না। আমার মনে হয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা রাজনীতি করে, তারা এভাবে প্রকাশ্যে গোলাগুলি করতে পারে না। মামলা হলে জামিন নিতে হবে।’
বালুমহাল নিয়ন্ত্রণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের নামে কোনো লাইসেন্স নেই। আমি বালুর ব্যবসা করি না। আমার কিছু ছেলেপিলে আছে। তারা করে।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনকে কয়েক দফা যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজে
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
২৩ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজে
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
৩ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে তুহিনকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভবনে আটকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তুহিনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সাত দিন ধরে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এ ঘটনায় তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর বুড়িচং থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মো. নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মো. জহির (৪২) এবং আবদুল আলিম (৪৫)।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে তুহিনকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভবনে আটকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তুহিনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সাত দিন ধরে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এ ঘটনায় তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর বুড়িচং থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মো. নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মো. জহির (৪২) এবং আবদুল আলিম (৪৫)।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর রহমান খোকন শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। আর আহত বাঁধন (২৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল রোববার রাতে সেউজগাড়ী এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার জেরে খুনের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বাসির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত ৯টার দিকে ইসকন মন্দিরের সামনে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, অন্ধকারে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে আইনজীবী স্টিকার লাগানো।
জানা গেছে, হতাহত দুই যুবক ছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে খান্দার এলাকা থেকে সেউজগাড়ী হয়ে শহরে ফিরছিলেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা কিছু যুবক মোটরসাইকেল মহড়া থেকে দুই যুবককে তুলে নিয়ে ইসকন মন্দিরের দিকে অন্ধকারে কুপিয়ে ফেলে রেখে যান।
এ ঘটনায় শহর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর রহমান খোকন শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। আর আহত বাঁধন (২৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল রোববার রাতে সেউজগাড়ী এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার জেরে খুনের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বাসির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত ৯টার দিকে ইসকন মন্দিরের সামনে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, অন্ধকারে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে আইনজীবী স্টিকার লাগানো।
জানা গেছে, হতাহত দুই যুবক ছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে খান্দার এলাকা থেকে সেউজগাড়ী হয়ে শহরে ফিরছিলেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা কিছু যুবক মোটরসাইকেল মহড়া থেকে দুই যুবককে তুলে নিয়ে ইসকন মন্দিরের দিকে অন্ধকারে কুপিয়ে ফেলে রেখে যান।
এ ঘটনায় শহর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজে
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।
বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।
আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।
বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।
আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

মামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজে
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে