সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে তিন বছর আগে মিথ্যা ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির ঘটনায় একটি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় চার কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ওই আমদানির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। মামলার চার্জশিটে অবৈধভাবে এসব পণ্য আমদানির সঙ্গে জাহাজটির দায়িত্বে থাকা শিপিং এজেন্টের মালিক ও কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
২১ জুলাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে ওই দুই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চান এবং সেদিনই জামিন পেয়ে যান। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন রিচ ফিল্ড শিপিং (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এ জামান (৬৯) ও এস এম মাহবুবুর রহমান (৭২)।
এর আগে ২০২২ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি কনটেইনার পরীক্ষা করে মিথ্যা ঘোষণায় আনা আমদানি-নিষিদ্ধ হুইস্কি, স্কচসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪ হাজার ৭৬৭ লিটার বিদেশি মদ ও ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে ২৫ জুলাই বন্দর থানায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ বাদী হয়ে কাস্টমস ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের চার কর্মকর্তা সুনীল কোহেলি, জুগেন্দ্র শেঠি, আশিস সাহা ও অজয় পাঠককে। অভিযুক্ত সবাই ভারতীয় নাগরিক।
মামলাটির তদন্ত বন্দর থানা পুলিশের পর পিবিআইয়ের হাতে যায়। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত চার আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে নতুন দুজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। গত ১৩ মে মামলাটির সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অবৈধভাবে বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
দেশের অন্যতম বৃহৎ লাগেজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে এই ধরনের পণ্য আমদানির জন্য কোনো এলসি কিংবা আইপি খোলা হয়নি।
চক্রটি প্রতিষ্ঠানটির আগে ব্যবহৃত আইপি ও এলসি ব্যবহার করেছে। দুবাই থেকে কনটেইনার বুকিং দেওয়া হয়েছিল।
যে জাহাজে কনটেইনারটি এসেছিল, তার শিপিং এজেন্ট ছিল রিচ ফিল্ড শিপিং (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। শিপিং এজেন্টটি ২০২২ সালের ১ জুলাই আইজিএম দাখিল করে। পরদিন কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালেও সেটি খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কিংবা তাদের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি, অ্যাসেসমেন্ট লেটারসহ আমদানির কাগজপত্র সরবরাহ করেনি। ফলে কারা অবৈধভাবে পণ্য আমদানি করেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।
চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সাবেক পরিদর্শক এনায়েত কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দরে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির ঘটনায় পুলিশের চার্জশিট দেওয়ার আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ তদন্ত করেছে। তাঁরা একটি বিশদ প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে অবৈধ আমদানির জন্য শিপিং লাইনকে দায়ী করা হয়। কারণ, তারাই এসব মালপত্র জাহাজে করে বন্দরে এনেছে।
মালগুলো কারা বুকিং করেছে, কোন দেশ থেকে এসেছে, এ বিষয়ে তারা কোনো কাগজপত্র বা তথ্য দিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ মাল বহনের অপরাধে শিপিং লাইনের সংশ্লিষ্টতা থাকছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মামলার এজাহারে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হলেও তদন্তে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। একজন ঘটনার আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। মূলত আগে ব্যবহৃত আইপি ও এলসির কাগজ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা কাস্টমসের তদন্তে উঠে আসে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, আদালতে জামিন আবেদনের পর বিচারক বয়স ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে জামিন মঞ্জুর করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাঁরা এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন। ২১ জুলাই তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা মঞ্জুর হয়।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জিয়া হাবিব আহসান বলেন, চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে আদালত চাইলে জামিন দিতে পারেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে তিন বছর আগে মিথ্যা ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির ঘটনায় একটি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় চার কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ওই আমদানির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। মামলার চার্জশিটে অবৈধভাবে এসব পণ্য আমদানির সঙ্গে জাহাজটির দায়িত্বে থাকা শিপিং এজেন্টের মালিক ও কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
২১ জুলাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে ওই দুই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চান এবং সেদিনই জামিন পেয়ে যান। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন রিচ ফিল্ড শিপিং (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এ জামান (৬৯) ও এস এম মাহবুবুর রহমান (৭২)।
এর আগে ২০২২ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি কনটেইনার পরীক্ষা করে মিথ্যা ঘোষণায় আনা আমদানি-নিষিদ্ধ হুইস্কি, স্কচসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪ হাজার ৭৬৭ লিটার বিদেশি মদ ও ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে ২৫ জুলাই বন্দর থানায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ বাদী হয়ে কাস্টমস ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের চার কর্মকর্তা সুনীল কোহেলি, জুগেন্দ্র শেঠি, আশিস সাহা ও অজয় পাঠককে। অভিযুক্ত সবাই ভারতীয় নাগরিক।
মামলাটির তদন্ত বন্দর থানা পুলিশের পর পিবিআইয়ের হাতে যায়। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত চার আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে নতুন দুজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। গত ১৩ মে মামলাটির সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অবৈধভাবে বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
দেশের অন্যতম বৃহৎ লাগেজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে এই ধরনের পণ্য আমদানির জন্য কোনো এলসি কিংবা আইপি খোলা হয়নি।
চক্রটি প্রতিষ্ঠানটির আগে ব্যবহৃত আইপি ও এলসি ব্যবহার করেছে। দুবাই থেকে কনটেইনার বুকিং দেওয়া হয়েছিল।
যে জাহাজে কনটেইনারটি এসেছিল, তার শিপিং এজেন্ট ছিল রিচ ফিল্ড শিপিং (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। শিপিং এজেন্টটি ২০২২ সালের ১ জুলাই আইজিএম দাখিল করে। পরদিন কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালেও সেটি খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কিংবা তাদের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি, অ্যাসেসমেন্ট লেটারসহ আমদানির কাগজপত্র সরবরাহ করেনি। ফলে কারা অবৈধভাবে পণ্য আমদানি করেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।
চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সাবেক পরিদর্শক এনায়েত কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দরে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির ঘটনায় পুলিশের চার্জশিট দেওয়ার আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ তদন্ত করেছে। তাঁরা একটি বিশদ প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে অবৈধ আমদানির জন্য শিপিং লাইনকে দায়ী করা হয়। কারণ, তারাই এসব মালপত্র জাহাজে করে বন্দরে এনেছে।
মালগুলো কারা বুকিং করেছে, কোন দেশ থেকে এসেছে, এ বিষয়ে তারা কোনো কাগজপত্র বা তথ্য দিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ মাল বহনের অপরাধে শিপিং লাইনের সংশ্লিষ্টতা থাকছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মামলার এজাহারে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হলেও তদন্তে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। একজন ঘটনার আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। মূলত আগে ব্যবহৃত আইপি ও এলসির কাগজ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা কাস্টমসের তদন্তে উঠে আসে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, আদালতে জামিন আবেদনের পর বিচারক বয়স ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে জামিন মঞ্জুর করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাঁরা এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন। ২১ জুলাই তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা মঞ্জুর হয়।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জিয়া হাবিব আহসান বলেন, চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে আদালত চাইলে জামিন দিতে পারেন।
নগরবাসীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে স্থাপিত এসব ক্যামেরায় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নম্বর শনাক্তকরণ, মানুষের মুখাবয়ব চেনার স
৪৩ মিনিট আগেরাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৪ ঘণ্টা আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
৪ ঘণ্টা আগে