Ajker Patrika

ঝালকাঠি সদর

গাইড ওয়াল ভেঙে কোটি টাকার সড়ক ঝুলছে শূন্যে

  • সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪১ টাকা।
  • উদ্বোধনের দুই মাসের মধ্যে গাইড ওয়াল ধসে ঝুঁকিতে পড়েছে সড়ক।
  • পাইলিং না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও তদারকির ঘাটতিকে দুষছেন স্থানীয়রা।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৫৩
উদ্বোধনের দুই মাসের মাথায় ধসে পড়া আরসিসি সড়কের গাইড ওয়াল। সম্প্রতি ঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্বোধনের দুই মাসের মাথায় ধসে পড়া আরসিসি সড়কের গাইড ওয়াল। সম্প্রতি ঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪১ টাকা। অথচ বর্ষার পানি ও মাটি ধসের কারণে দুই মাসের ব্যবধানে এমন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাইড ওয়াল নির্মাণে পাইলিং না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং প্রকৌশল তদারকির ঘাটতির কারণে এই দুর্দশা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকূলীয় শহর জলবায়ুসহিষ্ণু প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। গাবখান ব্রিজের পূর্ব ঢাল থেকে অনিল মাঝির খেয়াঘাট পর্যন্ত দীর্ঘদিন চলাচলের অযোগ্য ছিল সড়কটি।

স্থানীয় ও পৌরসভা সূত্রে যা জানা গেছে, প্রথমে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাইড ওয়াল নির্মাণ করে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেলে সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের কাজটি পৌরসভা নিজেই সম্পন্ন করে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মান ও সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গাইড ওয়াল নির্মাণে প্রযুক্তিগত কোনো স্থায়িত্ব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। পাইলিং না থাকায় বর্ষার পানিতে মাটি সরে গিয়ে গাইড ওয়াল ধসে যায় এবং রাস্তার একাংশ শূন্যে ঝুলে পড়ে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে যেকোনো সময় পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে।

গত ৮ মে সড়কটির উদ্বোধন করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন এবং অন্য কর্মকর্তারা।

সড়ক বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

পরে এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাস্তার মূল কাজ ও মান ঠিক ছিল। তবে প্রকল্পের প্রস্তাবনায় গাইড ওয়ালের পাইলিং অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ফলে বর্ষায় মাটি সরে গিয়ে ওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন

ব্যাংকে চোখ বেঁধে গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, পায়ের নখ তোলার চেষ্টা

‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে তারে কোপামু’

শুল্ক ছাড়া যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেল ভারত

সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত