শাহীন রহমান, পাবনা
আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
আসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
ভেজাল দুধ তৈরির এই কারখানার সন্ধান মিলেছে পাবনার চাটমোহরে। এতে জড়িত স্থানীয় কিছু খামারি ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভেজাল দুধ কারবারিদের সঙ্গে জড়িত প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের অভিযানে।
অভিযানে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুধ পরীক্ষা করে তার মধ্যে ডিটারজেন্ট ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
গত সোমবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ও ছাইকোলা চৌরাস্তায় প্রাণের হাব সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙলমোড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পাম তেল, সোডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছে এবং প্রতিদিনই তৈরি করা সেই বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে সরবরাহ করে আসছিল।
প্রথমে লাঙ্গলমোড়া গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরিকারকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে। সেখান থেকে ভেজাল দুধ তৈরির উপকরণ সোডা, পাম তেল, কেমিক্যালজাতীয় কিছু পদার্থসহ বেশ কিছু ড্রাম জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছাইকোলা চৌরাস্তা মোড়ে প্রাণ ডেইরি হাবের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মজুত করা ৬ হাজার লিটার জব্দ করা হয়। দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মধ্যে তেল ও ডিটারজেন্ট, কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসম্মুখে ভেজাল দুধ বিনষ্ট করা হয়।
ভেজাল দুধ সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহের অভিযোগে প্রাণ হাবের তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। তাঁরা হলেন প্রাণ ডেইরি হাবের গুরুদাসপুর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের শামসুল আলম (৩৬), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চক চিথুলয়া গ্রামের জহির রায়হান (২৭) ও পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের নাজমুল হোসাইন (৩৫)।
একই সঙ্গে ভেজাল দুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর নিয়মিত মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওখানকার প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের দুধ পরীক্ষা করি। একটাতে পেয়েছিলাম ডিটারজেন্ট আর একটাতে পেয়েছিলাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। ডিটারজেন্ট কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার জন্য এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কাপড়ে রং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হলো জীবাণুনাশক। যা দিয়ে শরীরের ক্ষত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। আবার ডিটারজেন্টও কিন্তু কাপড় পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো ক্ষারজাতীয় পদার্থ। এসব যদি পেটে যায়, তাহলে খাদ্যনালি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্যনালি। আর শিশুরা মারাও যেতে পারে।’
শিশুখাদ্যে এমন ভেজাল দুঃখজনক উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘খাদ্য হলো মৌলিক অধিকার। এখানে কোনো ভেজাল মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রাণ ডেইরি সেকশনের এ জি এম শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রাণ ডেইরি হাব আছে একটি। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে দুধ সংগ্রহ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে ২১টি। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় ৩৫-৪০ হাজার লিটার। যা ঢাকায় নিয়ে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়।’
চাটমোহরে প্রাণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ তৈরির বিষয়টি জানেন কি না, আর এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মিডিয়া বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে সরকারি অর্থ বরাদ্দের টাকায় মুক্তেশ্বরী নদী খুঁড়ে বালু তুলে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার তত্ত্বাবধানেই চলছে এ কাজ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, নদী থেকে নয়, বালু কিনে এনে মাঠ ভরাট করা
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের নৌকা সাজানো সেখানে। এটি আসলে নৌকার হাট। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়িয়ে হাটসংলগ্ন ডি এন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠেও বেচাকেনা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে‘ওর বাবার চোখের সামনেই বিমানটা ভাইঙ্গা পড়ছে। নিচতলায় তখন শুধু আগুন। দোতলায় ধোঁয়া। দরজা বন্ধ। আর্মির সাথে মিল্লা দোতলার পিছনের গ্রিল ভাইঙ্গা উনি মেয়েটারে বাইর করছেন।’ বলছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আহমেদের মা শিউলি আক্তার।
৩ ঘণ্টা আগে