বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট
অরূপ রায়, সাভার

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’
বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট
অরূপ রায়, সাভার

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
৪১ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
৪১ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১৬ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তানের মুখ দেখার আশা তাঁর আর পূরণ হলো না। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো তাঁকে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের একজন কুড়িগ্রামের শান্ত মণ্ডল (২৬)। তাঁর বাড়ি রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড় গ্রামে। তাঁর বাবা সাবেক সেনাসদস্য (মৃত) নূর ইসলাম মণ্ডল এবং মা সাহেরা বেগম। শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ল্যান্স করপোরাল পদে রয়েছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিহত শান্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাঁর মা সাহেরা বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে বিছানায় বসে রয়েছেন। বড় ভাই সোহাগ মণ্ডলের চোখ কান্নায় লাল হয়ে আছে। স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।
সোহাগ মণ্ডল বলেন, শান্ত ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তিনি সর্বশেষ বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান। সোহাগ মণ্ডল আরও বলেন, ‘মাত্র এক বছর আগে শান্ত বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে তার বাবার বাড়িতে আছে। সেও খবর পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শান্ত ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, ওদের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। হামলায় শান্ত মারা গেছে। হামলার সময় সে অস্ত্র পরিষ্কার করতে ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা। আমরা এখন তার লাশের অপেক্ষায় আছি। বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তাকে কবর দিতে চাই।’
পরিবার থেকে জানানো হয়, স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতই কথা হতো শান্তর। গতকাল শান্তর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শোকে বিহ্বল হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় এখন তিনি নেই।
শান্তর বাল্যবন্ধু সুমন বলেন, ‘শান্তর মৃত্যুর খবরে এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। নামের মতোই সে শান্ত ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ বা কটু কথা বলেনি। এমন বন্ধুর মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’

সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তানের মুখ দেখার আশা তাঁর আর পূরণ হলো না। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো তাঁকে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের একজন কুড়িগ্রামের শান্ত মণ্ডল (২৬)। তাঁর বাড়ি রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড় গ্রামে। তাঁর বাবা সাবেক সেনাসদস্য (মৃত) নূর ইসলাম মণ্ডল এবং মা সাহেরা বেগম। শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ল্যান্স করপোরাল পদে রয়েছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিহত শান্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাঁর মা সাহেরা বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে বিছানায় বসে রয়েছেন। বড় ভাই সোহাগ মণ্ডলের চোখ কান্নায় লাল হয়ে আছে। স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।
সোহাগ মণ্ডল বলেন, শান্ত ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তিনি সর্বশেষ বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান। সোহাগ মণ্ডল আরও বলেন, ‘মাত্র এক বছর আগে শান্ত বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে তার বাবার বাড়িতে আছে। সেও খবর পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শান্ত ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, ওদের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। হামলায় শান্ত মারা গেছে। হামলার সময় সে অস্ত্র পরিষ্কার করতে ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা। আমরা এখন তার লাশের অপেক্ষায় আছি। বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তাকে কবর দিতে চাই।’
পরিবার থেকে জানানো হয়, স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতই কথা হতো শান্তর। গতকাল শান্তর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শোকে বিহ্বল হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় এখন তিনি নেই।
শান্তর বাল্যবন্ধু সুমন বলেন, ‘শান্তর মৃত্যুর খবরে এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। নামের মতোই সে শান্ত ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ বা কটু কথা বলেনি। এমন বন্ধুর মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
৪১ মিনিট আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। প্রধান বিচারপতি ও উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এখানে বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তাই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকার্য পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আইনজীবী বাদে বিচারপ্রার্থী কিংবা অপ্রত্যাশিত যেকোনো ব্যক্তির এজলাস কক্ষে প্রবেশাধিকার সীমিত অথবা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো সমাবেশ ও মিছিল, বৈধ ও অবৈধ যেকোনো প্রকার অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। এই আদেশ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। প্রধান বিচারপতি ও উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এখানে বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তাই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকার্য পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আইনজীবী বাদে বিচারপ্রার্থী কিংবা অপ্রত্যাশিত যেকোনো ব্যক্তির এজলাস কক্ষে প্রবেশাধিকার সীমিত অথবা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো সমাবেশ ও মিছিল, বৈধ ও অবৈধ যেকোনো প্রকার অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। এই আদেশ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
৪১ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
১ ঘণ্টা আগে