নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
এমন ঘটনা ঘটছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। উপজেলার কাঁকনহাট গড়গড়ায় গড়ে তোলা খামারটি নাবিল গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানটির নাম নাবা মুরগি ফার্ম। প্রতিদিন এই ফার্মে বিপুল পরিমাণ বিষ্ঠা হয়। খামারে কিছু বিষ্ঠা পরিশোধন করে জৈব সারে রূপান্তর করা হয়। বাকি বিষ্ঠা রাতের আঁধারে পরিশোধন ছাড়া ফেলা হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন খালে।
এ নিয়ে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানে নাইম আলী নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাইমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা নয়াদিয়াড়ী গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাইমই রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে ফেলে আসতেন। বেশি বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে কাঁকনহাটের খাড়ি, তানোর উপজেলার বুরুজ, লব্যাতলা, ধামধুমসহ বিভিন্ন এলাকার খালে। তানোরের মাড়িয়া জোকারপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মাজাহাটি, শিবগঞ্জ উপজেলার বারেক বাজার দানিয়ালগাছির গ্যারোলি বিল, নাচোলের কাতলা কানদোর বিল এবং সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় ফেলা হয় ফার্মের বিষ্ঠা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাবিল গ্রুপের লোকজন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে কোম্পানির নিজস্ব ড্রাম ট্রাকে করে এসব বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায়। খাল ও পুকুরের পানি গ্রামের লোকজন সেচ, রান্না ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করত। এখন পানির দূষণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এই পানি ব্যবহার করলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। পুকুর ও খালের পোকামাকড় মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাবিল গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘আমি একবার ওই ফার্মে গিয়েছিলাম। ফার্মটা অনেক দূরে অবস্থিত। ফার্মের কারও সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ নেই। তাই তাদের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বলতে পারছি না।’
সম্প্রতি তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার ধারে গভীর রাতে নাবিলের বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায় একটি ড্রাম ট্রাক।
এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য তানোরের বাঁধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসগর আলী সম্প্রতি রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বর্জ্য ফেলার সময় ট্রাক আটকালে নাবিলের লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। সম্প্রতি এমন দুটি ট্রাক তানোরের বুরুজ এলাকায় আটক করে লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ট্রাকচালকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তানোরের সরনজাই ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খালের পানিতে বর্জ্য ফেলায় গ্রামের অনেক মানুষের হাঁস-মুরগি ও পুকুরের মাছ মারা গেছে। পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘরের জানালাও খুলতে পারছি না দুর্গন্ধের কারণে।’
শুক্রবারের অভিযানে প্রসিকিউটর ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা পচে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। এসব জীবাণু পশুপাখি ও মানুষের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা রিশিকুল ও পাকড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে এসব বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো বন্ধের জন্য এলাকার লোকজন নানা অভিযোগ করছিল। তারা বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত একজনকে পেয়েছি। তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
শামসুল ইসলাম বলেন, এসব বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে জৈব সারে রূপান্তর করার নিয়ম। নাবা ফার্মের যে প্লান্ট রয়েছে, তার ক্যাপাসিটি নেই।

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
এমন ঘটনা ঘটছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। উপজেলার কাঁকনহাট গড়গড়ায় গড়ে তোলা খামারটি নাবিল গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানটির নাম নাবা মুরগি ফার্ম। প্রতিদিন এই ফার্মে বিপুল পরিমাণ বিষ্ঠা হয়। খামারে কিছু বিষ্ঠা পরিশোধন করে জৈব সারে রূপান্তর করা হয়। বাকি বিষ্ঠা রাতের আঁধারে পরিশোধন ছাড়া ফেলা হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন খালে।
এ নিয়ে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানে নাইম আলী নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাইমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা নয়াদিয়াড়ী গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাইমই রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে ফেলে আসতেন। বেশি বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে কাঁকনহাটের খাড়ি, তানোর উপজেলার বুরুজ, লব্যাতলা, ধামধুমসহ বিভিন্ন এলাকার খালে। তানোরের মাড়িয়া জোকারপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মাজাহাটি, শিবগঞ্জ উপজেলার বারেক বাজার দানিয়ালগাছির গ্যারোলি বিল, নাচোলের কাতলা কানদোর বিল এবং সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় ফেলা হয় ফার্মের বিষ্ঠা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাবিল গ্রুপের লোকজন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে কোম্পানির নিজস্ব ড্রাম ট্রাকে করে এসব বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায়। খাল ও পুকুরের পানি গ্রামের লোকজন সেচ, রান্না ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করত। এখন পানির দূষণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এই পানি ব্যবহার করলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। পুকুর ও খালের পোকামাকড় মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাবিল গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘আমি একবার ওই ফার্মে গিয়েছিলাম। ফার্মটা অনেক দূরে অবস্থিত। ফার্মের কারও সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ নেই। তাই তাদের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বলতে পারছি না।’
সম্প্রতি তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার ধারে গভীর রাতে নাবিলের বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায় একটি ড্রাম ট্রাক।
এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য তানোরের বাঁধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসগর আলী সম্প্রতি রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বর্জ্য ফেলার সময় ট্রাক আটকালে নাবিলের লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। সম্প্রতি এমন দুটি ট্রাক তানোরের বুরুজ এলাকায় আটক করে লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ট্রাকচালকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তানোরের সরনজাই ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খালের পানিতে বর্জ্য ফেলায় গ্রামের অনেক মানুষের হাঁস-মুরগি ও পুকুরের মাছ মারা গেছে। পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘরের জানালাও খুলতে পারছি না দুর্গন্ধের কারণে।’
শুক্রবারের অভিযানে প্রসিকিউটর ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা পচে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। এসব জীবাণু পশুপাখি ও মানুষের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা রিশিকুল ও পাকড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে এসব বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো বন্ধের জন্য এলাকার লোকজন নানা অভিযোগ করছিল। তারা বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত একজনকে পেয়েছি। তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
শামসুল ইসলাম বলেন, এসব বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে জৈব সারে রূপান্তর করার নিয়ম। নাবা ফার্মের যে প্লান্ট রয়েছে, তার ক্যাপাসিটি নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
এমন ঘটনা ঘটছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। উপজেলার কাঁকনহাট গড়গড়ায় গড়ে তোলা খামারটি নাবিল গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানটির নাম নাবা মুরগি ফার্ম। প্রতিদিন এই ফার্মে বিপুল পরিমাণ বিষ্ঠা হয়। খামারে কিছু বিষ্ঠা পরিশোধন করে জৈব সারে রূপান্তর করা হয়। বাকি বিষ্ঠা রাতের আঁধারে পরিশোধন ছাড়া ফেলা হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন খালে।
এ নিয়ে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানে নাইম আলী নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাইমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা নয়াদিয়াড়ী গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাইমই রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে ফেলে আসতেন। বেশি বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে কাঁকনহাটের খাড়ি, তানোর উপজেলার বুরুজ, লব্যাতলা, ধামধুমসহ বিভিন্ন এলাকার খালে। তানোরের মাড়িয়া জোকারপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মাজাহাটি, শিবগঞ্জ উপজেলার বারেক বাজার দানিয়ালগাছির গ্যারোলি বিল, নাচোলের কাতলা কানদোর বিল এবং সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় ফেলা হয় ফার্মের বিষ্ঠা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাবিল গ্রুপের লোকজন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে কোম্পানির নিজস্ব ড্রাম ট্রাকে করে এসব বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায়। খাল ও পুকুরের পানি গ্রামের লোকজন সেচ, রান্না ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করত। এখন পানির দূষণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এই পানি ব্যবহার করলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। পুকুর ও খালের পোকামাকড় মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাবিল গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘আমি একবার ওই ফার্মে গিয়েছিলাম। ফার্মটা অনেক দূরে অবস্থিত। ফার্মের কারও সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ নেই। তাই তাদের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বলতে পারছি না।’
সম্প্রতি তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার ধারে গভীর রাতে নাবিলের বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায় একটি ড্রাম ট্রাক।
এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য তানোরের বাঁধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসগর আলী সম্প্রতি রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বর্জ্য ফেলার সময় ট্রাক আটকালে নাবিলের লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। সম্প্রতি এমন দুটি ট্রাক তানোরের বুরুজ এলাকায় আটক করে লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ট্রাকচালকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তানোরের সরনজাই ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খালের পানিতে বর্জ্য ফেলায় গ্রামের অনেক মানুষের হাঁস-মুরগি ও পুকুরের মাছ মারা গেছে। পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘরের জানালাও খুলতে পারছি না দুর্গন্ধের কারণে।’
শুক্রবারের অভিযানে প্রসিকিউটর ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা পচে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। এসব জীবাণু পশুপাখি ও মানুষের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা রিশিকুল ও পাকড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে এসব বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো বন্ধের জন্য এলাকার লোকজন নানা অভিযোগ করছিল। তারা বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত একজনকে পেয়েছি। তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
শামসুল ইসলাম বলেন, এসব বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে জৈব সারে রূপান্তর করার নিয়ম। নাবা ফার্মের যে প্লান্ট রয়েছে, তার ক্যাপাসিটি নেই।

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
এমন ঘটনা ঘটছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। উপজেলার কাঁকনহাট গড়গড়ায় গড়ে তোলা খামারটি নাবিল গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানটির নাম নাবা মুরগি ফার্ম। প্রতিদিন এই ফার্মে বিপুল পরিমাণ বিষ্ঠা হয়। খামারে কিছু বিষ্ঠা পরিশোধন করে জৈব সারে রূপান্তর করা হয়। বাকি বিষ্ঠা রাতের আঁধারে পরিশোধন ছাড়া ফেলা হয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন খালে।
এ নিয়ে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানে নাইম আলী নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাইমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা নয়াদিয়াড়ী গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাইমই রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে ফেলে আসতেন। বেশি বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে কাঁকনহাটের খাড়ি, তানোর উপজেলার বুরুজ, লব্যাতলা, ধামধুমসহ বিভিন্ন এলাকার খালে। তানোরের মাড়িয়া জোকারপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে বিষ্ঠা ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মাজাহাটি, শিবগঞ্জ উপজেলার বারেক বাজার দানিয়ালগাছির গ্যারোলি বিল, নাচোলের কাতলা কানদোর বিল এবং সদর উপজেলার ঝিলিম এলাকায় ফেলা হয় ফার্মের বিষ্ঠা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাবিল গ্রুপের লোকজন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে কোম্পানির নিজস্ব ড্রাম ট্রাকে করে এসব বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায়। খাল ও পুকুরের পানি গ্রামের লোকজন সেচ, রান্না ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করত। এখন পানির দূষণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এই পানি ব্যবহার করলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। পুকুর ও খালের পোকামাকড় মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাবিল গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘আমি একবার ওই ফার্মে গিয়েছিলাম। ফার্মটা অনেক দূরে অবস্থিত। ফার্মের কারও সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ নেই। তাই তাদের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বলতে পারছি না।’
সম্প্রতি তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার ধারে গভীর রাতে নাবিলের বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যায় একটি ড্রাম ট্রাক।
এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য তানোরের বাঁধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসগর আলী সম্প্রতি রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বর্জ্য ফেলার সময় ট্রাক আটকালে নাবিলের লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। সম্প্রতি এমন দুটি ট্রাক তানোরের বুরুজ এলাকায় আটক করে লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ট্রাকচালকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তানোরের সরনজাই ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খালের পানিতে বর্জ্য ফেলায় গ্রামের অনেক মানুষের হাঁস-মুরগি ও পুকুরের মাছ মারা গেছে। পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘরের জানালাও খুলতে পারছি না দুর্গন্ধের কারণে।’
শুক্রবারের অভিযানে প্রসিকিউটর ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা পচে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। এসব জীবাণু পশুপাখি ও মানুষের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা রিশিকুল ও পাকড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে এসব বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো বন্ধের জন্য এলাকার লোকজন নানা অভিযোগ করছিল। তারা বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত একজনকে পেয়েছি। তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর নাবা ফার্মকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
শামসুল ইসলাম বলেন, এসব বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে জৈব সারে রূপান্তর করার নিয়ম। নাবা ফার্মের যে প্লান্ট রয়েছে, তার ক্যাপাসিটি নেই।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
২৫ জুলাই ২০২৫
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
২৫ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
২৫ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
২৫ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে