হাতি পালা যে বিশাল খরচের ব্যাপার, এটা বাংলা প্রবাদ জানা না থাকলেও যে কেউ বুঝতে পারবেন। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, পান্ডা পালার খরচ তার চয়ে ঢের বেশি। এর প্রমাণ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ চালাতে না পেরে আগামী নভেম্বরে দুটি পান্ডাকে চীনে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ফিনল্যান্ডের এক চিড়িয়াখানা।
চুক্তির সময়সীমা শেষের আট বছর আগেই পান্ডা দুটি ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার চিড়িয়াখানাটির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে।
লুমি ও পিরি নামের পান্ডা দুটি ফিনল্যান্ডে আনা হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। এর কয়েক মাস আগেই চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং নরডিক দেশটি ভ্রমণের সময় প্রাণী সুরক্ষায় একটি যৌথ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, বৈদেশিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বাড়াতে বিদেশি চিড়িয়াখানায় পান্ডা পাঠিয়ে আসছে চীন।
পান্ডাগুলোর বর্তমান বাসস্থান আহতারি চিড়িয়াখানা জানিয়েছে, চুক্তি অনুসারে ১৫ বছর থাকার কথা ছিল জনপ্রিয় এই প্রাণীগুলোর। কিন্তু শিগগিরই পান্ডাগুলোর এক মাসের কোয়ারেন্টাইন শুরু করা হবে। তারপর জাহাজে করে চীনে ফেরত পাঠানোর হবে এদের।
বেসরকারি এই চিড়িয়াখানার পরিচালনা পর্ষদের প্রধান রিস্টো সিভোনেন বলেন, যে জায়গায় প্রাণী দুটি রাখা হয়েছে, তার পেছনে তাদের খরচ পড়েছে ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০৮ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া সরকারকে দেওয়া একটি সংরক্ষণ ফিসহ এদের পেছনে বছরে গুনতে হয় ১৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার (কোটি টাকার বেশি)।
অর্থাৎ, বুঝতেই পারছেন পাঠক, একটি পান্ডার পেছনে বার্ষিক খরচ ১০ কোটি টাকার বেশি। এখন নিশ্চয় পান্ডা পালা যে হাতি পালার চেয়ে বেশি খরচের, এটা মেনে নেওয়ায় আপনাদের আর কোনো দ্বিধা থাকবে না।
মধ্য ফিনল্যান্ডের চিড়িয়াখানাটি কিন্তু বড় আশা নিয়ে এই পান্ডাদের এনেছিল। তাদের ধারণা ছিল এরা প্রচুর দর্শক টানবে। কিন্তু গত বছর তারা জানায়, করোনা মহামারির কারণে পর্যটক আসা কমে যাওয়ায় এই পান্ডা পোষা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান ঋণে এরা জর্জরিত করছে চিড়িয়াখানাটিকে। এদের ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে তারা।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি খরচ বাড়িয়েছে উল্লেখ করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ফিনল্যান্ডের সরকার ২০২৩ সালে তাদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। আর চীনকে এদের ফিরিয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছিল তিন বছর ধরে।
‘শেষ পর্যন্ত আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাই, যখন চীনারা জানায় এটা করা যেতে পারে।’ বলেন তিনি।
এদিকে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পান্ডাদের প্রত্যাবর্তন চিড়িয়াখানার একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত ছিল। আর এর সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি দুই দেশের সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না।
হেলসিঙ্কিতে চীনা দূতাবাস রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিড়িয়াখানাটিকে সহায়তা করার জন্য চীন চেষ্টা করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার পর পান্ডাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে।
হাতি পালা যে বিশাল খরচের ব্যাপার, এটা বাংলা প্রবাদ জানা না থাকলেও যে কেউ বুঝতে পারবেন। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, পান্ডা পালার খরচ তার চয়ে ঢের বেশি। এর প্রমাণ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ চালাতে না পেরে আগামী নভেম্বরে দুটি পান্ডাকে চীনে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ফিনল্যান্ডের এক চিড়িয়াখানা।
চুক্তির সময়সীমা শেষের আট বছর আগেই পান্ডা দুটি ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার চিড়িয়াখানাটির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে।
লুমি ও পিরি নামের পান্ডা দুটি ফিনল্যান্ডে আনা হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। এর কয়েক মাস আগেই চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং নরডিক দেশটি ভ্রমণের সময় প্রাণী সুরক্ষায় একটি যৌথ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, বৈদেশিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বাড়াতে বিদেশি চিড়িয়াখানায় পান্ডা পাঠিয়ে আসছে চীন।
পান্ডাগুলোর বর্তমান বাসস্থান আহতারি চিড়িয়াখানা জানিয়েছে, চুক্তি অনুসারে ১৫ বছর থাকার কথা ছিল জনপ্রিয় এই প্রাণীগুলোর। কিন্তু শিগগিরই পান্ডাগুলোর এক মাসের কোয়ারেন্টাইন শুরু করা হবে। তারপর জাহাজে করে চীনে ফেরত পাঠানোর হবে এদের।
বেসরকারি এই চিড়িয়াখানার পরিচালনা পর্ষদের প্রধান রিস্টো সিভোনেন বলেন, যে জায়গায় প্রাণী দুটি রাখা হয়েছে, তার পেছনে তাদের খরচ পড়েছে ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০৮ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া সরকারকে দেওয়া একটি সংরক্ষণ ফিসহ এদের পেছনে বছরে গুনতে হয় ১৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার (কোটি টাকার বেশি)।
অর্থাৎ, বুঝতেই পারছেন পাঠক, একটি পান্ডার পেছনে বার্ষিক খরচ ১০ কোটি টাকার বেশি। এখন নিশ্চয় পান্ডা পালা যে হাতি পালার চেয়ে বেশি খরচের, এটা মেনে নেওয়ায় আপনাদের আর কোনো দ্বিধা থাকবে না।
মধ্য ফিনল্যান্ডের চিড়িয়াখানাটি কিন্তু বড় আশা নিয়ে এই পান্ডাদের এনেছিল। তাদের ধারণা ছিল এরা প্রচুর দর্শক টানবে। কিন্তু গত বছর তারা জানায়, করোনা মহামারির কারণে পর্যটক আসা কমে যাওয়ায় এই পান্ডা পোষা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান ঋণে এরা জর্জরিত করছে চিড়িয়াখানাটিকে। এদের ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে তারা।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি খরচ বাড়িয়েছে উল্লেখ করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ফিনল্যান্ডের সরকার ২০২৩ সালে তাদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। আর চীনকে এদের ফিরিয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছিল তিন বছর ধরে।
‘শেষ পর্যন্ত আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাই, যখন চীনারা জানায় এটা করা যেতে পারে।’ বলেন তিনি।
এদিকে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পান্ডাদের প্রত্যাবর্তন চিড়িয়াখানার একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত ছিল। আর এর সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি দুই দেশের সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না।
হেলসিঙ্কিতে চীনা দূতাবাস রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিড়িয়াখানাটিকে সহায়তা করার জন্য চীন চেষ্টা করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার পর পান্ডাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় হাতির বাচ্চাদের নিষ্পাপ ও কৌতুক উদ্রেককারী কার্যকলাপের সুন্দর ভিডিওগুলো সব সময়ই মন দর্শকদের মনে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যেখানে একটি ছোট হাতির বাচ্চাকে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেহিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
২ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
৩ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৬ দিন আগে