ইমরান খান
১৮ হাজার বাড়ির মধ্যে কয়েকটি না হয় ভেঙেছে। এতেই এত শোরগোল! একটু পজেটিভ কি হওয়া যায় না? কেউ বাড়ির পিলার ধরে নাড়াচাড়া না করতেই কেন ভেঙে পড়ল, এই নিয়ে তো আপত্তি? দেখেন ভাই, বিল্ডিং তো আর কাকলি ফার্নিচার না!
সবকিছুর বাজার দর বাড়তি তা তো জানেনই। এখানে একটা পর্দার দাম ৩৭ লাখ, সুইয়ের দাম ২৫ হাজার, একটা কাঁচি সাড়ে ১০ হাজার, বালিশ ৬ হাজার টাকা। তো এই বাজারে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকায় কী হয়? এত অল্প টাকায় ম্যানেজ করে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড দিয়ে ঘর বানিয়ে দিলাম; আর কি চান? বলিহারি আপনাদের চাহিদা!
ঘরে লোক ওঠার আগেই ঘর ভেঙে পড়া নিয়ে আপনারা কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু একবার ভাবুন, লোক ওঠার পর ভাঙলে তো বাসিন্দাদের জান-মালেরও ক্ষতি হতে পারত। এই ক্ষতিটা যে হয়নি, তা ভেবে তো অন্তত একটু আনন্দিত হতে পারেন। ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলে তো গরিবেরা এই সুবিধাটা পেতেন না। আর বাড়িতে ওঠার পর দেয়াল ধসের দুশ্চিন্তায় এখন যারা ঘুমাতে পারছেন না, তাঁরা তো এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। নিশ্চিত থাকুন আপনাদের উদ্দেশ্যেই এ পি জে আবুল কালাম বলেছেন, ‘স্বপ্ন হলো সেটাই—যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’ স্বপ্ন তো দেখছেনই, এবার সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করুন। এর মাঝেও ঘুম পেলে, নাক ডাকার শব্দে ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকলে হেলমেট তো আছেই।
ভাবেন, এভাবে দালান পেয়ে যাওয়ার চিন্তা এই গৃহহীনেরা কখনো করেছে? না চাইতেই তাঁদের শোয়ার ঘর, রান্না ঘর, স্নানের ঘর দেওয়া হলো। ব্যবস্থা করা হলো সুপেয় পানিরও। এ তো বিরাট খুশির খবর! এই খুশিতে বাদ্য বাজান, ফুর্তি করেন! আর, ঘর পেতে কে কত টাকা উৎকোচ দিয়েছেন, তা নিয়ে আপনারা ‘আবার অন্য কিছু মনে কইরেন না’। ‘নট ফর মাইন্ড’, ঘরের কাজে লাগানোর কথা বলেই ওইটা নেওয়া হয়েছিল। এত কিছুর মধ্যেও ‘জনগণের টাকা’ ফোঁড়নটা কি না কাটলেই নয়?
আরও সময় নিয়ে হলেও বাজেট বাড়িয়ে অল্প লোককে হলেও মানসম্পন্ন বাড়ি দেওয়ার তালিম কেন দিচ্ছেন, ভাই? খুশি যত দ্রুত, যত বেশি লোকের মধ্যে ছড়ানো যায় ততই তো ভালো। আপনাদের খুশির নন্দনতত্ত্ব বোঝাতে আর কত ঘাম ঝরাতে হবে? আমরা কত খাটলে আপনাদের মনের কোপা কাপটা জয় করতে পারব?
বোঝানোয় তো কম বোঝালাম না। এরপরও কেন নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে গৃহায়ণের ঘর ভেঙে পড়াকে ইতিবাচকভাবে দেখতে পারছেন না? এ নিয়ে ফের দুষ্টুমি করলে কিন্তু কর্তাদের দিয়ে হালকা করে শাসিয়ে দেব—‘আগে গৃহহীনদের ঘর উপহার দিয়ে তারপর সমালোচনা করুন।’ এতেও না হলে যন্তর-মন্তর ঘরে দাওয়াতের অপশন তো আছেই। আর যদি বুঝেই যান, পাশের লোককেও বোঝান। তাঁদের বলুন—‘থিংক পজেটিভ, স্প্রেড পজেটিভিটি।’
১৮ হাজার বাড়ির মধ্যে কয়েকটি না হয় ভেঙেছে। এতেই এত শোরগোল! একটু পজেটিভ কি হওয়া যায় না? কেউ বাড়ির পিলার ধরে নাড়াচাড়া না করতেই কেন ভেঙে পড়ল, এই নিয়ে তো আপত্তি? দেখেন ভাই, বিল্ডিং তো আর কাকলি ফার্নিচার না!
সবকিছুর বাজার দর বাড়তি তা তো জানেনই। এখানে একটা পর্দার দাম ৩৭ লাখ, সুইয়ের দাম ২৫ হাজার, একটা কাঁচি সাড়ে ১০ হাজার, বালিশ ৬ হাজার টাকা। তো এই বাজারে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকায় কী হয়? এত অল্প টাকায় ম্যানেজ করে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড দিয়ে ঘর বানিয়ে দিলাম; আর কি চান? বলিহারি আপনাদের চাহিদা!
ঘরে লোক ওঠার আগেই ঘর ভেঙে পড়া নিয়ে আপনারা কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু একবার ভাবুন, লোক ওঠার পর ভাঙলে তো বাসিন্দাদের জান-মালেরও ক্ষতি হতে পারত। এই ক্ষতিটা যে হয়নি, তা ভেবে তো অন্তত একটু আনন্দিত হতে পারেন। ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলে তো গরিবেরা এই সুবিধাটা পেতেন না। আর বাড়িতে ওঠার পর দেয়াল ধসের দুশ্চিন্তায় এখন যারা ঘুমাতে পারছেন না, তাঁরা তো এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। নিশ্চিত থাকুন আপনাদের উদ্দেশ্যেই এ পি জে আবুল কালাম বলেছেন, ‘স্বপ্ন হলো সেটাই—যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’ স্বপ্ন তো দেখছেনই, এবার সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করুন। এর মাঝেও ঘুম পেলে, নাক ডাকার শব্দে ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকলে হেলমেট তো আছেই।
ভাবেন, এভাবে দালান পেয়ে যাওয়ার চিন্তা এই গৃহহীনেরা কখনো করেছে? না চাইতেই তাঁদের শোয়ার ঘর, রান্না ঘর, স্নানের ঘর দেওয়া হলো। ব্যবস্থা করা হলো সুপেয় পানিরও। এ তো বিরাট খুশির খবর! এই খুশিতে বাদ্য বাজান, ফুর্তি করেন! আর, ঘর পেতে কে কত টাকা উৎকোচ দিয়েছেন, তা নিয়ে আপনারা ‘আবার অন্য কিছু মনে কইরেন না’। ‘নট ফর মাইন্ড’, ঘরের কাজে লাগানোর কথা বলেই ওইটা নেওয়া হয়েছিল। এত কিছুর মধ্যেও ‘জনগণের টাকা’ ফোঁড়নটা কি না কাটলেই নয়?
আরও সময় নিয়ে হলেও বাজেট বাড়িয়ে অল্প লোককে হলেও মানসম্পন্ন বাড়ি দেওয়ার তালিম কেন দিচ্ছেন, ভাই? খুশি যত দ্রুত, যত বেশি লোকের মধ্যে ছড়ানো যায় ততই তো ভালো। আপনাদের খুশির নন্দনতত্ত্ব বোঝাতে আর কত ঘাম ঝরাতে হবে? আমরা কত খাটলে আপনাদের মনের কোপা কাপটা জয় করতে পারব?
বোঝানোয় তো কম বোঝালাম না। এরপরও কেন নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে গৃহায়ণের ঘর ভেঙে পড়াকে ইতিবাচকভাবে দেখতে পারছেন না? এ নিয়ে ফের দুষ্টুমি করলে কিন্তু কর্তাদের দিয়ে হালকা করে শাসিয়ে দেব—‘আগে গৃহহীনদের ঘর উপহার দিয়ে তারপর সমালোচনা করুন।’ এতেও না হলে যন্তর-মন্তর ঘরে দাওয়াতের অপশন তো আছেই। আর যদি বুঝেই যান, পাশের লোককেও বোঝান। তাঁদের বলুন—‘থিংক পজেটিভ, স্প্রেড পজেটিভিটি।’
জার্মানির একজন অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী টানা ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামার উপকূলে একটি ডুবো ক্যাপসুলের ভেতরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার নিচে ছিলেন তিনি। এই সময় কৃত্রিমভাবে চাপ কমানোর কোনো কৌশলও ব্যবহার করেননি তিনি।
৭ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি গ্রিনহাউস। বাইরে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ। এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছেন মূলত এমন একটি বিরল ও বিপন্ন উদ্ভিদের ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। এই গন্ধ অনেকটাই পচা মাংসের মতো বা ঘামে স্যাঁতসেঁতে মোজা কিংবা পচা আবর্জনার মতোও মনে হয়...
৭ দিন আগেওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
২১ দিন আগে