অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিম ফ্রান্সের ছোট্ট এক শহর বুনে। এমনিতে একে নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে একটি ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়েছে একে ঘিরে। শহরটিতে দুটি রাস্তার সংযোগ স্থলে ও এর আশপাশে অসংখ্য সাদা রেখা টেনে দেওয়া হয়েছে। এই রেখাগুলো একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গোলকধাঁধার মতো তৈরি করেছে।
গত জুলাইয়ে শহরটির রাস্তায় এমন অদ্ভুত ধরনের রেখা টানা হয়। এখানকার মেয়র বলছেন গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এমন উদ্যোগ।
তুলনামূলক বড় শহর অ্যাঙ্গারস থেকে খুব দূরে নয় বুনে, জনসংখ্যা মোটে ১৭০০। তবে শহরটিতে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যায় গাড়ি চলাচল করে। কারণ ডি৭৪ এবং ডি৮২ নামের আঞ্চলিক দুটো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে একে অপরকে ছেদ করেছে সেখানে শহরটির অবস্থান। বুনের ভেতর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩০০ গাড়ি যাতায়াত করে। অনেক চালকই শহরের ভেতর দিয়ে গাড়ি ছুটান ১০০ কিলোমিটার গতিতে। অথচ এমন জায়গায় পরিষ্কারভাবে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার লেখা আছে।
কীভাবে চালকদের এই অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা ভাবছিলেন শহরটির কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মাথায় আসে রাস্তায় এভাবে একটা আরেকটিকে অতিক্রম করে যাওয়া রেখা টানার কথা। আশ্চর্য ব্যাপার, এই অদ্ভুত কৌশল নাকি কাজও করছে!
‘শহরটির জনসংখ্যা মোটে ১৭০০ হলেও এই অঞ্চলের তিনটি প্রধান সড়ক একে অতিক্রম করে গেছে। বিশেষ করে ওই জায়গাটিতে দুটি রাস্তা অতিক্রম করেছে শহরটিকে। চালকদের জোরে গাড়ি চালানোর অভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং কাজ করবে এমন রোড সাইন খুঁজে বের করাটা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।’ বলেন লুয়া-হুচন অঞ্চলের মেয়র জঁ শার্লট পুনো। এই অঞ্চলে পড়েছে বুনেসহ সাতটি ছোট গ্রাম বা শহর।
মেয়র জানান, এলাকাটির নির্বাচিত কর্মকর্তা ও মেট্রোপলিটন এলাকা অ্যাঙ্গারসের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য ছিল এমন একটা কিছু করা যা চালকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং আসলে কী ঘটছে তা যেন তাঁরা বুঝতে পারেন।
মজার ঘটনা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে বিষয়টি। ফেসবুকে একজন যেমন লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এটি একটা তামাশা, কিন্তু আসলে বিষয়টি তা নয়।’
অনেকে আবার এটা বুমেরাং হতে পারে বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন গাড়ির গতি কমানোর বদলে বরং এটি চালকদের দ্বিধায় ফেলে দেবে। আরেকজন আবার লেখেন, ‘মেয়র ঠিক আছেন তো, এটা তো একটা ব্যক্তিগত বাগান নয়।’
আরেকজন আবার একে উল্লেখ করেছেন, ‘বোকামি ও মারাত্মক’ হিসেবে। আরেকজন আবার প্রশ্ন রেখেছেন, পথচারীরা কীভাবে এত সব রেখা অতিক্রম করবেন।
তবে পুনো বলেছেন, এটা চূড়ান্ত কোনো বিষয় না। তবে কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ তাঁরা দ্রুত এমন একটা কিছু করতে চেয়েছিলেন যেটা গাড়ির গতি কমাতে ভূমিকা রাখবে।
মেয়র জানান, তাঁদের এই অভিনব পদ্ধতি কাজেও লাগছে। চালকদের রাস্তার ওই অংশে ধীরে ধীরেই গাড়ি চালাতে দেখা যাচ্ছে।
‘আমি সচেতন যে এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যাপারে।’ বলেন পুনো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় ২০ হাজার ৬০০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এদিকে ২০২১ সালে সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৫২ শতাংশ ঘটে গ্রামীণ সড়কে।
ইউরোপিয়ান রোড সেফটি অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত কিংবা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো রাস্তায় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।’
এদিকে লুয়া-হুচন অঞ্চলের ডেপুটি মেয়র এবং স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রেগওয়ার জুলোও বেশ খুশি তাঁদের এই পিলে চমকে দেওয়া কৌশলের সাফল্যে। তিনি বলেন, রাস্তার বিভ্রান্তিকর রেখাগুলো প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করে। দেখা গেছে মোটরচালকেরা গাড়ির গতি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছেন।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন অদ্ভুত এই রেখাগুলো কাজ করার বিষয়টা সাময়িক। যখনই গাড়িচালকেরা এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তাঁরা আবার দ্রুত গতিতে ফিরে যাবেন। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর সেটা বোঝার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ইউরো নিউজ
পশ্চিম ফ্রান্সের ছোট্ট এক শহর বুনে। এমনিতে একে নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে একটি ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়েছে একে ঘিরে। শহরটিতে দুটি রাস্তার সংযোগ স্থলে ও এর আশপাশে অসংখ্য সাদা রেখা টেনে দেওয়া হয়েছে। এই রেখাগুলো একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গোলকধাঁধার মতো তৈরি করেছে।
গত জুলাইয়ে শহরটির রাস্তায় এমন অদ্ভুত ধরনের রেখা টানা হয়। এখানকার মেয়র বলছেন গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এমন উদ্যোগ।
তুলনামূলক বড় শহর অ্যাঙ্গারস থেকে খুব দূরে নয় বুনে, জনসংখ্যা মোটে ১৭০০। তবে শহরটিতে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যায় গাড়ি চলাচল করে। কারণ ডি৭৪ এবং ডি৮২ নামের আঞ্চলিক দুটো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে একে অপরকে ছেদ করেছে সেখানে শহরটির অবস্থান। বুনের ভেতর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩০০ গাড়ি যাতায়াত করে। অনেক চালকই শহরের ভেতর দিয়ে গাড়ি ছুটান ১০০ কিলোমিটার গতিতে। অথচ এমন জায়গায় পরিষ্কারভাবে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার লেখা আছে।
কীভাবে চালকদের এই অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা ভাবছিলেন শহরটির কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মাথায় আসে রাস্তায় এভাবে একটা আরেকটিকে অতিক্রম করে যাওয়া রেখা টানার কথা। আশ্চর্য ব্যাপার, এই অদ্ভুত কৌশল নাকি কাজও করছে!
‘শহরটির জনসংখ্যা মোটে ১৭০০ হলেও এই অঞ্চলের তিনটি প্রধান সড়ক একে অতিক্রম করে গেছে। বিশেষ করে ওই জায়গাটিতে দুটি রাস্তা অতিক্রম করেছে শহরটিকে। চালকদের জোরে গাড়ি চালানোর অভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং কাজ করবে এমন রোড সাইন খুঁজে বের করাটা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।’ বলেন লুয়া-হুচন অঞ্চলের মেয়র জঁ শার্লট পুনো। এই অঞ্চলে পড়েছে বুনেসহ সাতটি ছোট গ্রাম বা শহর।
মেয়র জানান, এলাকাটির নির্বাচিত কর্মকর্তা ও মেট্রোপলিটন এলাকা অ্যাঙ্গারসের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য ছিল এমন একটা কিছু করা যা চালকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং আসলে কী ঘটছে তা যেন তাঁরা বুঝতে পারেন।
মজার ঘটনা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে বিষয়টি। ফেসবুকে একজন যেমন লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এটি একটা তামাশা, কিন্তু আসলে বিষয়টি তা নয়।’
অনেকে আবার এটা বুমেরাং হতে পারে বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন গাড়ির গতি কমানোর বদলে বরং এটি চালকদের দ্বিধায় ফেলে দেবে। আরেকজন আবার লেখেন, ‘মেয়র ঠিক আছেন তো, এটা তো একটা ব্যক্তিগত বাগান নয়।’
আরেকজন আবার একে উল্লেখ করেছেন, ‘বোকামি ও মারাত্মক’ হিসেবে। আরেকজন আবার প্রশ্ন রেখেছেন, পথচারীরা কীভাবে এত সব রেখা অতিক্রম করবেন।
তবে পুনো বলেছেন, এটা চূড়ান্ত কোনো বিষয় না। তবে কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ তাঁরা দ্রুত এমন একটা কিছু করতে চেয়েছিলেন যেটা গাড়ির গতি কমাতে ভূমিকা রাখবে।
মেয়র জানান, তাঁদের এই অভিনব পদ্ধতি কাজেও লাগছে। চালকদের রাস্তার ওই অংশে ধীরে ধীরেই গাড়ি চালাতে দেখা যাচ্ছে।
‘আমি সচেতন যে এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যাপারে।’ বলেন পুনো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় ২০ হাজার ৬০০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এদিকে ২০২১ সালে সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৫২ শতাংশ ঘটে গ্রামীণ সড়কে।
ইউরোপিয়ান রোড সেফটি অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত কিংবা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো রাস্তায় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।’
এদিকে লুয়া-হুচন অঞ্চলের ডেপুটি মেয়র এবং স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রেগওয়ার জুলোও বেশ খুশি তাঁদের এই পিলে চমকে দেওয়া কৌশলের সাফল্যে। তিনি বলেন, রাস্তার বিভ্রান্তিকর রেখাগুলো প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করে। দেখা গেছে মোটরচালকেরা গাড়ির গতি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছেন।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন অদ্ভুত এই রেখাগুলো কাজ করার বিষয়টা সাময়িক। যখনই গাড়িচালকেরা এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তাঁরা আবার দ্রুত গতিতে ফিরে যাবেন। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর সেটা বোঝার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ইউরো নিউজ
জার্মানির একজন অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী টানা ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামার উপকূলে একটি ডুবো ক্যাপসুলের ভেতরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার নিচে ছিলেন তিনি। এই সময় কৃত্রিমভাবে চাপ কমানোর কোনো কৌশলও ব্যবহার করেননি তিনি।
৭ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি গ্রিনহাউস। বাইরে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ। এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছেন মূলত এমন একটি বিরল ও বিপন্ন উদ্ভিদের ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। এই গন্ধ অনেকটাই পচা মাংসের মতো বা ঘামে স্যাঁতসেঁতে মোজা কিংবা পচা আবর্জনার মতোও মনে হয়...
৭ দিন আগেওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
২১ দিন আগে