প্রায় ৫০০ বছর ধরে একই ডিজাইনের ইউনিফর্ম চালু রেখেছে ব্রিটেনের ক্রাইস্টস হাসপাতাল বোর্ডিং স্কুল। ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরোনো সরকারি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এ বিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো—প্রতিষ্ঠাকালীন টিউডর ইউনিফর্ম তারা এখনো চালু রেখেছে। সে হিসাবে ৪৭১ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে স্কুলটি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একসময় ইউনিফর্ম পরিবর্তনের দাবি তুললেও ভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।
১৫৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের পশ্চিম সাসেক্সের হরশামে অবস্থিত এ স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম হলো এটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র বিষয়। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই লম্বা নীল রঙের কোট, কোমরে বেল্ট, হাঁটু পর্যন্ত লম্বা পায়জামা, হাঁটু পর্যন্ত হলুদ মোজা ও গলায় রুমাল পরার রীতি রয়েছে। স্কুল থেকে সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে এ পোশাক সরবরাহ করা হয়।
২০১০ সালের দিকে স্কুলপ্রধানেরা এ ইউনিফর্ম হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন। পরে এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে স্কুলটির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থীর ৯৫ শতাংশই পুরোনো ইউনিফর্ম রাখার পক্ষে ভোট দেয়। মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আধুনিক ডিজাইনের পক্ষে ছিল।
এই ইউনিফর্মকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউনিফর্ম বলা হয়। প্রাচীন এই ইউনিফর্ম দেখলে যে কেউ সহজেই চিনতে পারে। রাজা ষষ্ঠ এডওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করার পর আর এ স্কুলের পোশাকের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
দাতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্রাইস্টস হাসপাতালে এতিম ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। র্যাপ সংগীতশিল্পী টাইও ক্রুজ এ স্কুলে পড়েছেন। লন্ডনের বাসিন্দারা এই শিশুদের মুক্তহস্তে দান করতেন। শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁরা নতুন জামাকাপড় পাঠাতেন।
স্কুলটির প্রাথমিক ইউনিফর্ম ছিল টিউডর শৈলী অনুসারে বেশ রঙিন। ইউনিফর্মের জন্য নীল এবং হলুদ রং বেছে নেওয়ার পেছনে ধারণা করা হয়, দুটি রংই সস্তা। পাশাপাশি এ স্কুলের শিশুদের অন্যান্য স্কুলে পড়া শিশুদের থেকে আলাদা করার জন্য নীল ও হলুদ রং বেছে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জন ফ্রাঙ্কলিন বলেন, এটি স্পষ্ট যে, বিগত প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মতো এখনকার শিক্ষার্থীরাও এ ইউনিফর্মকে গর্ব হিসেবে ধারণ করে। একে ঐক্য ও পরিচয়ের এক ইতিবাচক অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে তারা।’
শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এ ইউনিফর্মকে স্কুলের ঐতিহ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করে। তারা বলে, অন্যদের চেয়ে আলাদা ইউনিফর্মের কারণে তাদের সহজেই চেনা যায়। এতে তারা নিজেদের মধ্যে একতা অনুভব করে।
সাবেক এক শিক্ষার্থী জেসন ফ্লেমিং ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে তাঁরা এ ইউনিফর্ম আগের মতো রাখছেন। আমি এ ইউনিফর্ম সব সময় পছন্দ করতাম। এ পোশাকের অর্থ হলো, আমরা সবাই এক এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছুর অংশ।’ ফ্লেমিং জনপ্রিয় সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছে।
বাইরের মানুষের কাছে ক্রাইস্টস হাসপাতাল বোর্ডিং স্কুলটি ‘নীল কোটের স্কুল’ নামে পরিচিত। তবে শিক্ষার্থীরা স্কুলকে বলে, ‘হাউজি’ এবং তাঁদের লম্বা কোটকে বলে ‘হাউজি কোট’।
প্রায় ৫০০ বছর ধরে একই ডিজাইনের ইউনিফর্ম চালু রেখেছে ব্রিটেনের ক্রাইস্টস হাসপাতাল বোর্ডিং স্কুল। ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরোনো সরকারি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এ বিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো—প্রতিষ্ঠাকালীন টিউডর ইউনিফর্ম তারা এখনো চালু রেখেছে। সে হিসাবে ৪৭১ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে স্কুলটি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একসময় ইউনিফর্ম পরিবর্তনের দাবি তুললেও ভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।
১৫৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের পশ্চিম সাসেক্সের হরশামে অবস্থিত এ স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম হলো এটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র বিষয়। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই লম্বা নীল রঙের কোট, কোমরে বেল্ট, হাঁটু পর্যন্ত লম্বা পায়জামা, হাঁটু পর্যন্ত হলুদ মোজা ও গলায় রুমাল পরার রীতি রয়েছে। স্কুল থেকে সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে এ পোশাক সরবরাহ করা হয়।
২০১০ সালের দিকে স্কুলপ্রধানেরা এ ইউনিফর্ম হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন। পরে এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে স্কুলটির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থীর ৯৫ শতাংশই পুরোনো ইউনিফর্ম রাখার পক্ষে ভোট দেয়। মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আধুনিক ডিজাইনের পক্ষে ছিল।
এই ইউনিফর্মকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউনিফর্ম বলা হয়। প্রাচীন এই ইউনিফর্ম দেখলে যে কেউ সহজেই চিনতে পারে। রাজা ষষ্ঠ এডওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করার পর আর এ স্কুলের পোশাকের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
দাতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্রাইস্টস হাসপাতালে এতিম ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। র্যাপ সংগীতশিল্পী টাইও ক্রুজ এ স্কুলে পড়েছেন। লন্ডনের বাসিন্দারা এই শিশুদের মুক্তহস্তে দান করতেন। শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁরা নতুন জামাকাপড় পাঠাতেন।
স্কুলটির প্রাথমিক ইউনিফর্ম ছিল টিউডর শৈলী অনুসারে বেশ রঙিন। ইউনিফর্মের জন্য নীল এবং হলুদ রং বেছে নেওয়ার পেছনে ধারণা করা হয়, দুটি রংই সস্তা। পাশাপাশি এ স্কুলের শিশুদের অন্যান্য স্কুলে পড়া শিশুদের থেকে আলাদা করার জন্য নীল ও হলুদ রং বেছে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জন ফ্রাঙ্কলিন বলেন, এটি স্পষ্ট যে, বিগত প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মতো এখনকার শিক্ষার্থীরাও এ ইউনিফর্মকে গর্ব হিসেবে ধারণ করে। একে ঐক্য ও পরিচয়ের এক ইতিবাচক অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে তারা।’
শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এ ইউনিফর্মকে স্কুলের ঐতিহ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করে। তারা বলে, অন্যদের চেয়ে আলাদা ইউনিফর্মের কারণে তাদের সহজেই চেনা যায়। এতে তারা নিজেদের মধ্যে একতা অনুভব করে।
সাবেক এক শিক্ষার্থী জেসন ফ্লেমিং ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে তাঁরা এ ইউনিফর্ম আগের মতো রাখছেন। আমি এ ইউনিফর্ম সব সময় পছন্দ করতাম। এ পোশাকের অর্থ হলো, আমরা সবাই এক এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছুর অংশ।’ ফ্লেমিং জনপ্রিয় সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছে।
বাইরের মানুষের কাছে ক্রাইস্টস হাসপাতাল বোর্ডিং স্কুলটি ‘নীল কোটের স্কুল’ নামে পরিচিত। তবে শিক্ষার্থীরা স্কুলকে বলে, ‘হাউজি’ এবং তাঁদের লম্বা কোটকে বলে ‘হাউজি কোট’।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় হাতির বাচ্চাদের নিষ্পাপ ও কৌতুক উদ্রেককারী কার্যকলাপের সুন্দর ভিডিওগুলো সব সময়ই মন দর্শকদের মনে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যেখানে একটি ছোট হাতির বাচ্চাকে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
২০ ঘণ্টা আগেহিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
৩ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
৪ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৭ দিন আগে