স্নেহ, ভালোবাসা ও কোমলতা—এই গুণগুলো সমাজকে মানবিক ও শান্তিময় করে তোলে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এই মানবিক গুণাবলির জীবন্ত আদর্শ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতা ছিল অতুলনীয়।
প্রিয় নবীর প্রিয়তম সুন্নতের নাম মেসওয়াক। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত যে, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করতেন। হজরত ওয়াসিলা ইবনে আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমাকে মেসওয়াকের আদেশ করা হয়েছে। আমার আশঙ্কা হতে লাগল, না জানি তা আমার ওপর ফরজ করে দেওয়া হয়।’
দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত গাছের কাঁচা অথবা শুকনো ঢাল কিংবা শেকড়কে মেসওয়াক বলে। এটি সর্বনিম্ন এক বিঘত লম্বা এবং কনিষ্ঠা আঙুল পরিমাণ মোটা হতে হয়। মেসওয়াক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় সুন্নত। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত যে, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
তাঁর ঘাম ছিল মেশক আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। মেশক আম্বর উন্নত মানের সুগন্ধি, যা হরিণের মৃগনাভি থেকে তৈরি করা হয়। নবীজি (সা.)-এর ঘ্রাণ ছিল এর চেয়েও বেশি সুগন্ধিময়। তিনি যে পথ দিয়ে হেঁটে যেতেন, কেউ তার তালাশে বের হলে সে সুবাসের কারণে বলতে পারত রাসুল (সা.) এই পথ ধরে গমন করেছেন। পথিকেরা সেই সুবাসে...