কাউসার লাবীব
স্নেহ, ভালোবাসা ও কোমলতা—এই গুণগুলো সমাজকে মানবিক ও শান্তিময় করে তোলে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এই মানবিক গুণাবলির জীবন্ত আদর্শ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতা ছিল অতুলনীয়। তিনি নিজে ছোটদের স্নেহ করতেন, আদর মেখে দিতেন; সাহাবিদেরও এই আদর্শ শিক্ষা দিতেন। এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪৩)
একবার নবী করিম (সা.) প্রিয় নাতি হাসানকে চুমু খান। সে সময় তাঁর কাছে আকরা তামিমি (রা.) বসা ছিলেন। তিনি নবী (সা.)-কে বলেন, ‘আমার ১০টি পুত্র আছে। আমি তাদের কাউকে কোনো দিন চুমু দিইনি।’ নবীজি (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৯৭)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘এক বেদুইন এসে নবী (সা.)-কে বললেন, ‘আপনারা শিশুদের চুমু দেন, কিন্তু আমরা ওদের চুমু দিই না।’ প্রিয় নবীজি (সা.) তখন বললেন, ‘আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নেন, তাহলে তোমার ওপর আমার কি কোনো অধিকার আছে!’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৯৮)
নবী করিম (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিম শিশু বয়সেই ইন্তেকাল করেন। নবীজির কাছে যখন প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ আসে, তখন তিনি কেঁদে দেন। তাঁর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে। কান্নাভেজা কণ্ঠে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ কান্না হচ্ছে স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত। তবে আমি শুধু সে কথাগুলোই বলছি, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রিয় নবীজির (সা.) জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে করুণার ঝরনাধারা প্রবাহিত হয়েছে। শিশুদের প্রতি তাঁর দয়ার ছোঁয়া আমাদের শেখায়, একটি কোমল হৃদয়ই পারে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে। আজকের দুনিয়ায়, যখন শিশুরা নির্যাতন ও অবহেলার শিকার, তখন নবীজি (সা.)-এর এই দৃষ্টান্তগুলো আমাদের আরও মানবিক, আরও দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে।
স্নেহ, ভালোবাসা ও কোমলতা—এই গুণগুলো সমাজকে মানবিক ও শান্তিময় করে তোলে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এই মানবিক গুণাবলির জীবন্ত আদর্শ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতা ছিল অতুলনীয়। তিনি নিজে ছোটদের স্নেহ করতেন, আদর মেখে দিতেন; সাহাবিদেরও এই আদর্শ শিক্ষা দিতেন। এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪৩)
একবার নবী করিম (সা.) প্রিয় নাতি হাসানকে চুমু খান। সে সময় তাঁর কাছে আকরা তামিমি (রা.) বসা ছিলেন। তিনি নবী (সা.)-কে বলেন, ‘আমার ১০টি পুত্র আছে। আমি তাদের কাউকে কোনো দিন চুমু দিইনি।’ নবীজি (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৯৭)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘এক বেদুইন এসে নবী (সা.)-কে বললেন, ‘আপনারা শিশুদের চুমু দেন, কিন্তু আমরা ওদের চুমু দিই না।’ প্রিয় নবীজি (সা.) তখন বললেন, ‘আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নেন, তাহলে তোমার ওপর আমার কি কোনো অধিকার আছে!’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৯৮)
নবী করিম (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিম শিশু বয়সেই ইন্তেকাল করেন। নবীজির কাছে যখন প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ আসে, তখন তিনি কেঁদে দেন। তাঁর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে। কান্নাভেজা কণ্ঠে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ কান্না হচ্ছে স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত। তবে আমি শুধু সে কথাগুলোই বলছি, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রিয় নবীজির (সা.) জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে করুণার ঝরনাধারা প্রবাহিত হয়েছে। শিশুদের প্রতি তাঁর দয়ার ছোঁয়া আমাদের শেখায়, একটি কোমল হৃদয়ই পারে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে। আজকের দুনিয়ায়, যখন শিশুরা নির্যাতন ও অবহেলার শিকার, তখন নবীজি (সা.)-এর এই দৃষ্টান্তগুলো আমাদের আরও মানবিক, আরও দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে।
মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ ঘণ্টা আগেআমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন...
২ ঘণ্টা আগেইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে