আবু তালহা তারীফ, ঢাকা
গরম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এই বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক, দহনের প্রচণ্ডতায় আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে, অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠান্ডা অনুভব করো।’ (সহিহ্ বুখারি)
গরমের প্রচণ্ডতা মানুষের জীবন কঠিন করে তোলে। প্রচণ্ড গরমে মুমিনের উচিত—অসহায় ও পথিকদের সহযোগিতা করা। শীতকালে যেভাবে অসহায়দের কম্বল ও উষ্ণ কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করা হয়, সেভাবে আমরা গরমে অসহায়দের ফ্যান ও ছাতা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি। মহল্লা বা রাস্তার পাশে পথিকদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করে পিপাসার্ত ব্যক্তিকে পানি পান করিয়ে অধিক সওয়াবের সুবর্ণ সুযোগ লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ (সুনানে আবু দাউদ)
প্রচণ্ড গরমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য জিকির ও দরুদ শরিফ পাঠসহ অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করা সওয়াবের কাজ। দেশ ও দশের জন্য বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘লোকজন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা নিবেদন করলে তিনি ঈদগাহে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে নিচের দোয়া করেন। এরপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষের ছোটাছুটি দেখে নবীজি হেসে ফেলেন। দোয়াটি হলো, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফআলু মা-ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিইয়ু ওয়া নাহনুল ফুকারা। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজআল মা-আনজালতা লানা কুওয়াতান ওয়া বালাগান ইলা হিন।’ (আবু দাউদ: ১১৭৩)।
লেখক: শিক্ষক, খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
গরম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এই বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক, দহনের প্রচণ্ডতায় আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে, অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠান্ডা অনুভব করো।’ (সহিহ্ বুখারি)
গরমের প্রচণ্ডতা মানুষের জীবন কঠিন করে তোলে। প্রচণ্ড গরমে মুমিনের উচিত—অসহায় ও পথিকদের সহযোগিতা করা। শীতকালে যেভাবে অসহায়দের কম্বল ও উষ্ণ কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করা হয়, সেভাবে আমরা গরমে অসহায়দের ফ্যান ও ছাতা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি। মহল্লা বা রাস্তার পাশে পথিকদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করে পিপাসার্ত ব্যক্তিকে পানি পান করিয়ে অধিক সওয়াবের সুবর্ণ সুযোগ লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ (সুনানে আবু দাউদ)
প্রচণ্ড গরমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য জিকির ও দরুদ শরিফ পাঠসহ অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করা সওয়াবের কাজ। দেশ ও দশের জন্য বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘লোকজন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা নিবেদন করলে তিনি ঈদগাহে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে নিচের দোয়া করেন। এরপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষের ছোটাছুটি দেখে নবীজি হেসে ফেলেন। দোয়াটি হলো, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফআলু মা-ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিইয়ু ওয়া নাহনুল ফুকারা। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজআল মা-আনজালতা লানা কুওয়াতান ওয়া বালাগান ইলা হিন।’ (আবু দাউদ: ১১৭৩)।
লেখক: শিক্ষক, খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
গাছ মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। গাছপালার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জীবনধারণের অনেক উপাদান দিয়ে থাকেন। গাছ আমাদের চারপাশের সৌন্দর্য বাড়ায়, বায়ুদূষণ কমায়, অক্সিজেন সরবরাহ করে, ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ইসলামে গাছ লাগানোর
৬ ঘণ্টা আগেসালাম মুসলমানদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অভিবাদন। বহু যুগ আগে থেকেই সালামের রীতি চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমার নিকট ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে? যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম। উত্তরে তিনিও বললেন, সালাম।’ (সুরা জারিয়াত: ২৪-২৫)
১৮ ঘণ্টা আগেপরিবারে শান্তি অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। পরিবারে যখন শান্তি থাকে—সবাই মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, নিজেদের মাঝে বিশ্বাস ও সম্মান বৃদ্ধি পায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তানরা সঠিক মূল্যবোধ শিখে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা পায়। শান্তি ছাড়া পরিবার কখনো পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।
২০ ঘণ্টা আগেমৃত্যু অবধারিত । সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে । পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান:১৮৫)। মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর...
১ দিন আগে